০৭:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

পাক-অধিকৃত কাশ্মীর পেলে কাশ্মীরের পুরো সমস্যা মিটে যাবে: জয়শংকর

  • Sarakhon Report
  • ১২:৩৫:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • 23

যুক্তরাজ্যে গিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর বললেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফিরে পেলেই কাশ্মীর সমস্যা পুরোপুরি মিটবে।

কী বলেছেন জয়শংকর?

লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে এস জয়শংকর বলেছেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের বাকি সমস্যা মিটে গেছে। ৩৭০ ধারার বিলোপ হয়েছে। আর্থিক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, উন্নয়ন হচ্ছে, সামাজিক ন্যায় হচ্ছে। নির্বাচন হয়েছে। প্রচুর মানুষ ভোট দিয়েছেন। আমি মনে করি, খুব ভালো কাজ হয়েছে।”

‘একটাই ধাপ বাকি’

জয়শংকর বলেছেন, “কাশ্মীর সমস্যা পুরোপুরি মিটতে একটাই ধাপ বাকি। সেটা হলো, চুরি যাওয়া অংশ ফেরত পাওয়া। পাকিস্তান সেই অংশ বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে। আমরা যখন সেটা ফেরত পাবো, তখন পুরো সমস্যা মিটে যাবে বলে আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি।”

‘অতীতের ভুল’

জয়শংকর বলেছেন, “স্বাধীনতার পর যখন এই ঘটনা ঘটলো, তখন ভারত পাকিস্তানকে অধিকৃত কাশ্মীর ছেড়ে যেতে বলেনি। তাই এই অবস্থা চলছে। ঘরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রক্ষক যদি দায়িত্বশীল না হয়, তখন বাইরে থেকে কেউ এসে ঘরে চুরি করে নিয়ে যায়।” জয়শংকরের দাবি, “পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাই তা ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার দায়বদ্ধতা আমাদের আছে।’

পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া

জয়শংকরের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ বলেছেন, “কাশ্মীর নিয়ে বিরোধ আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃত বিরোধ।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব মেনে এবং কাশ্মীরের মানুষের ইচ্ছানুসারে এই বিরোধের নিষ্পত্তি হতে পারে।”

‘বিভ্রান্তিকর দাবি’

মমতাজ জাহরা বালোচ বলেছেন, “জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে বিরোধের একতরফা কোনো সমাধান হতে পারে না। এই ধরনের দাবি বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তব অবস্থার ছবি ধরা পড়ছে না। ভারত বেআইনিভাবে জম্মু ও কাশ্মীর দখল করে রেখেছে। তারা একতরফা কিছু সিদ্ধান্ত নিলে সেই বাস্তবতা বদলায় না।”

জাতিসংঘে কাশ্মীর প্রসঙ্গ

জেনিভায় মানবাধিকার কমিশনের ৫৮তম বৈঠকে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছিলেন, কাশ্মীরে মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকদের আটক করা হচ্ছে। সেখানে নাগরিক পরিসর সংকুচিত হচ্ছে। মণিপুরেও সহিংসতা বন্ধে আলোচনা ও মানবাধিকার রক্ষা করা দরকার বলে তিনি জানিয়েছেন।

ভারতের প্রতিক্রিয়া

জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি অরিন্দম বাগচী বলেছেন, “ভারত বারবার এই ধরনের ভুলভাল উদ্বেগের শিকার হয়। ভারতে সুস্থ, প্রাণবন্ত, বহুত্ববাদী সমাজ আছে। জম্মু ও কাশ্মীরে ভোট হয়েছে, সেখানে এখন পর্যটন শিল্পের রমরমা, দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি জটিল সমস্যা নিয়ে অতিসরলীকৃত মন্তব্য করছেন।”

ডিডাব্লিউ ডটকম

পাক-অধিকৃত কাশ্মীর পেলে কাশ্মীরের পুরো সমস্যা মিটে যাবে: জয়শংকর

১২:৩৫:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

যুক্তরাজ্যে গিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর বললেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফিরে পেলেই কাশ্মীর সমস্যা পুরোপুরি মিটবে।

কী বলেছেন জয়শংকর?

লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে এস জয়শংকর বলেছেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের বাকি সমস্যা মিটে গেছে। ৩৭০ ধারার বিলোপ হয়েছে। আর্থিক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, উন্নয়ন হচ্ছে, সামাজিক ন্যায় হচ্ছে। নির্বাচন হয়েছে। প্রচুর মানুষ ভোট দিয়েছেন। আমি মনে করি, খুব ভালো কাজ হয়েছে।”

‘একটাই ধাপ বাকি’

জয়শংকর বলেছেন, “কাশ্মীর সমস্যা পুরোপুরি মিটতে একটাই ধাপ বাকি। সেটা হলো, চুরি যাওয়া অংশ ফেরত পাওয়া। পাকিস্তান সেই অংশ বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে। আমরা যখন সেটা ফেরত পাবো, তখন পুরো সমস্যা মিটে যাবে বলে আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি।”

‘অতীতের ভুল’

জয়শংকর বলেছেন, “স্বাধীনতার পর যখন এই ঘটনা ঘটলো, তখন ভারত পাকিস্তানকে অধিকৃত কাশ্মীর ছেড়ে যেতে বলেনি। তাই এই অবস্থা চলছে। ঘরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রক্ষক যদি দায়িত্বশীল না হয়, তখন বাইরে থেকে কেউ এসে ঘরে চুরি করে নিয়ে যায়।” জয়শংকরের দাবি, “পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাই তা ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার দায়বদ্ধতা আমাদের আছে।’

পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া

জয়শংকরের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ বলেছেন, “কাশ্মীর নিয়ে বিরোধ আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃত বিরোধ।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব মেনে এবং কাশ্মীরের মানুষের ইচ্ছানুসারে এই বিরোধের নিষ্পত্তি হতে পারে।”

‘বিভ্রান্তিকর দাবি’

মমতাজ জাহরা বালোচ বলেছেন, “জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে বিরোধের একতরফা কোনো সমাধান হতে পারে না। এই ধরনের দাবি বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তব অবস্থার ছবি ধরা পড়ছে না। ভারত বেআইনিভাবে জম্মু ও কাশ্মীর দখল করে রেখেছে। তারা একতরফা কিছু সিদ্ধান্ত নিলে সেই বাস্তবতা বদলায় না।”

জাতিসংঘে কাশ্মীর প্রসঙ্গ

জেনিভায় মানবাধিকার কমিশনের ৫৮তম বৈঠকে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছিলেন, কাশ্মীরে মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকদের আটক করা হচ্ছে। সেখানে নাগরিক পরিসর সংকুচিত হচ্ছে। মণিপুরেও সহিংসতা বন্ধে আলোচনা ও মানবাধিকার রক্ষা করা দরকার বলে তিনি জানিয়েছেন।

ভারতের প্রতিক্রিয়া

জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি অরিন্দম বাগচী বলেছেন, “ভারত বারবার এই ধরনের ভুলভাল উদ্বেগের শিকার হয়। ভারতে সুস্থ, প্রাণবন্ত, বহুত্ববাদী সমাজ আছে। জম্মু ও কাশ্মীরে ভোট হয়েছে, সেখানে এখন পর্যটন শিল্পের রমরমা, দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি জটিল সমস্যা নিয়ে অতিসরলীকৃত মন্তব্য করছেন।”

ডিডাব্লিউ ডটকম