০২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

৬ মাসে পুলিশের ওপর ২২৫ হামলা, ‘মব’ নিয়ে উদ্বেগ

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • 21

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “৬ মাসে পুলিশের ওপর ২২৫ হামলা, ‘মব’ নিয়ে উদ্বেগ”

মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবককে তল্লাশিচৌকিতে থামার জন্য ইশারা দেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলী। এর কিছুক্ষণ পর ১০-১৫ জন এসে ‘ভুয়া পুলিশ’ অপবাদ দিয়ে ওই কর্মকর্তাকে মারধর শুরু করেন। ছিনিয়ে নেওয়া হয় সঙ্গে থাকা মুঠোফোন, মানিব্যাগ ও ওয়াকিটকি।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানা এলাকার আউটার রিং রোডে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, হামলা করে এসআই ইউসুফ আলীর পোশাক ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। অসহায় অবস্থায় অঝোরে কাঁদছেন তিনি। গত সোমবার তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘যখন পুলিশের পোশাক ছিঁড়ে ফেলে, তখন আর আবেগ ধরে রাখতে পারিনি, কেঁদে ফেলেছি।’

শুধু পতেঙ্গার ঘটনাই নয়, গত ছয় মাসে পুলিশের ওপর এ ধরনের ২২৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও কোথাও হামলা করে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। বেশির ভাগ ঘটনা ঘটানো হয়েছে উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ আক্রমণে বা ‘মব’ তৈরি করে।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় মাসে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার ২২৫টি ঘটনার মধ্যে ৭০টি বড় ধরনের আলোচনা তৈরি করে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ২৪টি, অক্টোবরে ৩৪, নভেম্বরে ৪৯, ডিসেম্বরে ৪৩, জানুয়ারিতে ৩৮ এবং ফেব্রুয়ারিতে ৩৭টি হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশের এই পরিসংখ্যানের বাইরেও সড়কে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বিরূপ আচরণের বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”৫০০ অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী ফেরত পাঠাতে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র”

যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর তার সরকার সেখানে অবৈধভাবে অবস্থান করা বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে। দেশটিতে ‘অবৈধ’ বাংলাদেশিও আছে বলে অভিযোগ ট্রাম্প প্রশাসনের। এই অভিযোগে বাংলাদেশের নাগরিকদেরও ফেরত পাঠানো শুরু করেছে তারা।

কূটনৈতিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে অবস্থানের অনুমতি ও কাগজপত্র না থাকার কারণে বাংলাদেশের ৪০০-৫০০ নাগরিককে ফেরত পাঠানোর জন্য এরই মধ্যে দেশটির সরকার চিহ্নিত করেছে। সেখানে প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষা নিতে ব্যর্থ হলে তাদের সবাইকে দেশে ফিরতে হতে পারে।

ফেরত আসা ব্যক্তিদের বিষয়ে কী করা যায়, তা খতিয়ে দেখতে ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বুধ ও গতকাল বৃহস্পতিবার দুই দফা বৈঠক করেছে। বুধবারের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। গতকালের বৈঠকে অংশ নেন পুলিশের বিশেষ শাখা, ইমিগ্রেশন ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

দুটি বৈঠকেই উপস্থিত ছিলেন এমন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র সরকার এরই মধ্যে অবৈধ হয়ে পড়া ব্যক্তিদের ঢাকায় পাঠাতে শুরু করেছে। গড়ে সপ্তাহে ৬-৭ জনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, কোনো দেশে অবস্থানের অনুমতি ও প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষা না থাকার কারণে অবৈধ হয়ে পড়া নাগরিককে গ্রহণের বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। এটা শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, সব দেশের জন্য প্রযোজ্য।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “আইসিডিডিআর,বির শীর্ষ অর্থের জোগানদাতা ছিল ইউএসএআইডি”

দেশে ডায়রিয়া ও কলেরা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সংক্রামক বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সবচেয়ে অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ধরা হয় আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশকে (আইসিডিডিআর,বি)। বিভিন্ন দাতা সংস্থার অনুদান, বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন ও নিজস্ব কিছু আয় থেকে পাওয়া তহবিলের ভিত্তিতে পরিচালিত হয় প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম। এতদিন সংস্থাটিতে অনুদান হিসেবে সবচেয়ে বেশি অর্থ এসেছে মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) থেকে। আইসিডিডিআর,বি-তে দাতাদের অর্থায়নকৃত তহবিলের প্রায় এক-পঞ্চমাংশেরই জোগান দিয়েছে ইউএসএআইডি।

তবে আইসিডিডিআর,বি-তে এখন মার্কিন সংস্থাটির অর্থায়ন স্থগিত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ইউএসএআইডির সহায়তা কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা দেন। এ আদেশের প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে বলা হয়, এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিশ্বের অন্তত ৫০টি দেশ। প্রভাবিত হবে এইচআইভি, পোলিও, এমপক্স, যক্ষ্মা ও বার্ড ফ্লুর মতো রোগ মোকাবেলায় গৃহীত নানা কর্মসূচিও।

এরই মধ্যে বাংলাদেশে যক্ষ্মা গবেষণা ও প্রতিরোধ কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউএসএআইডির অর্থায়ন স্থগিত হয়ে পড়ায় এরই মধ্যে আইসিডিডিআর,বির বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পের সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুতির চিঠি দেয়া হয়েছে। জানুয়ারির শেষ দিকে তাদের এ চিঠি দেয়া হয়। তাদের বেশির ভাগই যক্ষ্মাসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। এ পরিস্থিতি চলমান থাকলে সামনের দিনগুলোয় সংস্থাটির সংকট আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে দেশের জনস্বাস্থ্যে দেখা দিতে পারে বড় ধরনের বিপত্তি।

দাতাদের কাছ থেকে দুই ধরনের অনুদান পেয়ে থাকে আইসিডিডিআর,বি। যেসব অনুদান সংস্থাটি স্বাধীনভাবে ব্যয় করতে পারে সেগুলোকে বলা হয় ‘আনরেস্ট্রিকটেড গ্র্যান্টস’। ২০২৩ সালে সংস্থাটি মোট ৩৪ লাখ ১২ হাজার ১৯৩ ডলারের আনরেস্ট্রিকটেড গ্র্যান্টস বা অবাধে ব্যয়যোগ্য অনুদান পেয়েছে। আর যেসব অনুদান সুনির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য দেয়া হয় কিংবা আইসিডিডিআর,বির সঙ্গে দাতা সংস্থার স্বাক্ষরিত পারস্পরিক চুক্তি অনুসারে সুনির্দিষ্ট কার্যক্রমে ব্যয় করার শর্ত থাকে সেগুলোকে বলা হয় ‘রেস্ট্রিকটেড গ্র্যান্টস’ বা সুনির্দিষ্ট খাতে ব্যয়যোগ্য অনুদান।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম ” ভারত ও বৃটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গ”

বৃটেন সফরে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তারা বৈঠকে ভারত ও বৃটেনের দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের ওপর জোর দেন। এছাড়া ইউক্রেনসহ তাদের আলোচনায় বর্তমান ভূরাজনৈতিক বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে। এ খবর দিয়েছে দ্য হিন্দু।

এতে বলা হয়, বুধবার এক্সের এক পোস্টে এ বিষয় নিয়ে একটি পোস্ট দেন জয়শঙ্কর। সেখানে তিনি তাদের আলোচ্য বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা ইউক্রেন সংঘাত, পশ্চিম এশিয়া, বাংলাদেশ, কমনওয়েলথসহ নানা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছি। বিশ্বজুড়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে স্থিতিশিলতার জন্য ভারত-বৃটেন সমৃদ্ধির জন্য অবদান রাখছে বলেও উল্লেখ করেছেন জয়শঙ্কর।

তবে তাদের আলোচনায় বাংলাদেশ নিয়ে কী কথা হয়েছে তা বিস্তারিত জানাননি তিনি।

কিন্তু দ্য হিন্দু বলছে, গত বছরের আগস্টে ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃটেনে আশ্রয় চেয়েছিলেন বলে কথা উঠেছিল। তবে তা হয়নি। লন্ডন তখন সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, ওই পরিস্থিতিতে বৃটেনে আশ্রয় দেয়ার জন্য বৃটেনের হাতে কোনো আইন নেই। গণমাধ্যমটি হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের বিষয়টিও তুলে ধরেছে। সেখানে বলা হয়, হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক বৃটেনের লেবার পার্টির একজন এমপি। ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি দেশটির সিটি মন্ত্রী ছিলেন। কিছু অভিযোগের মুখে তিনি পদত্যাগ করেন।

 

২০২৫ সালে ফিলিপাইনের ১২টি প্রধান অবকাঠামো প্রকল্প: রিয়েল এস্টেটের রূপান্তর

৬ মাসে পুলিশের ওপর ২২৫ হামলা, ‘মব’ নিয়ে উদ্বেগ

০৯:০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “৬ মাসে পুলিশের ওপর ২২৫ হামলা, ‘মব’ নিয়ে উদ্বেগ”

মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবককে তল্লাশিচৌকিতে থামার জন্য ইশারা দেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলী। এর কিছুক্ষণ পর ১০-১৫ জন এসে ‘ভুয়া পুলিশ’ অপবাদ দিয়ে ওই কর্মকর্তাকে মারধর শুরু করেন। ছিনিয়ে নেওয়া হয় সঙ্গে থাকা মুঠোফোন, মানিব্যাগ ও ওয়াকিটকি।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানা এলাকার আউটার রিং রোডে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, হামলা করে এসআই ইউসুফ আলীর পোশাক ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। অসহায় অবস্থায় অঝোরে কাঁদছেন তিনি। গত সোমবার তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘যখন পুলিশের পোশাক ছিঁড়ে ফেলে, তখন আর আবেগ ধরে রাখতে পারিনি, কেঁদে ফেলেছি।’

শুধু পতেঙ্গার ঘটনাই নয়, গত ছয় মাসে পুলিশের ওপর এ ধরনের ২২৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও কোথাও হামলা করে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। বেশির ভাগ ঘটনা ঘটানো হয়েছে উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ আক্রমণে বা ‘মব’ তৈরি করে।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় মাসে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার ২২৫টি ঘটনার মধ্যে ৭০টি বড় ধরনের আলোচনা তৈরি করে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ২৪টি, অক্টোবরে ৩৪, নভেম্বরে ৪৯, ডিসেম্বরে ৪৩, জানুয়ারিতে ৩৮ এবং ফেব্রুয়ারিতে ৩৭টি হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশের এই পরিসংখ্যানের বাইরেও সড়কে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বিরূপ আচরণের বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”৫০০ অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী ফেরত পাঠাতে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র”

যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর তার সরকার সেখানে অবৈধভাবে অবস্থান করা বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে। দেশটিতে ‘অবৈধ’ বাংলাদেশিও আছে বলে অভিযোগ ট্রাম্প প্রশাসনের। এই অভিযোগে বাংলাদেশের নাগরিকদেরও ফেরত পাঠানো শুরু করেছে তারা।

কূটনৈতিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে অবস্থানের অনুমতি ও কাগজপত্র না থাকার কারণে বাংলাদেশের ৪০০-৫০০ নাগরিককে ফেরত পাঠানোর জন্য এরই মধ্যে দেশটির সরকার চিহ্নিত করেছে। সেখানে প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষা নিতে ব্যর্থ হলে তাদের সবাইকে দেশে ফিরতে হতে পারে।

ফেরত আসা ব্যক্তিদের বিষয়ে কী করা যায়, তা খতিয়ে দেখতে ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বুধ ও গতকাল বৃহস্পতিবার দুই দফা বৈঠক করেছে। বুধবারের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। গতকালের বৈঠকে অংশ নেন পুলিশের বিশেষ শাখা, ইমিগ্রেশন ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

দুটি বৈঠকেই উপস্থিত ছিলেন এমন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র সরকার এরই মধ্যে অবৈধ হয়ে পড়া ব্যক্তিদের ঢাকায় পাঠাতে শুরু করেছে। গড়ে সপ্তাহে ৬-৭ জনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, কোনো দেশে অবস্থানের অনুমতি ও প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষা না থাকার কারণে অবৈধ হয়ে পড়া নাগরিককে গ্রহণের বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। এটা শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, সব দেশের জন্য প্রযোজ্য।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “আইসিডিডিআর,বির শীর্ষ অর্থের জোগানদাতা ছিল ইউএসএআইডি”

দেশে ডায়রিয়া ও কলেরা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সংক্রামক বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সবচেয়ে অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ধরা হয় আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশকে (আইসিডিডিআর,বি)। বিভিন্ন দাতা সংস্থার অনুদান, বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন ও নিজস্ব কিছু আয় থেকে পাওয়া তহবিলের ভিত্তিতে পরিচালিত হয় প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম। এতদিন সংস্থাটিতে অনুদান হিসেবে সবচেয়ে বেশি অর্থ এসেছে মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) থেকে। আইসিডিডিআর,বি-তে দাতাদের অর্থায়নকৃত তহবিলের প্রায় এক-পঞ্চমাংশেরই জোগান দিয়েছে ইউএসএআইডি।

তবে আইসিডিডিআর,বি-তে এখন মার্কিন সংস্থাটির অর্থায়ন স্থগিত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ইউএসএআইডির সহায়তা কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা দেন। এ আদেশের প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে বলা হয়, এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিশ্বের অন্তত ৫০টি দেশ। প্রভাবিত হবে এইচআইভি, পোলিও, এমপক্স, যক্ষ্মা ও বার্ড ফ্লুর মতো রোগ মোকাবেলায় গৃহীত নানা কর্মসূচিও।

এরই মধ্যে বাংলাদেশে যক্ষ্মা গবেষণা ও প্রতিরোধ কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউএসএআইডির অর্থায়ন স্থগিত হয়ে পড়ায় এরই মধ্যে আইসিডিডিআর,বির বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পের সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুতির চিঠি দেয়া হয়েছে। জানুয়ারির শেষ দিকে তাদের এ চিঠি দেয়া হয়। তাদের বেশির ভাগই যক্ষ্মাসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। এ পরিস্থিতি চলমান থাকলে সামনের দিনগুলোয় সংস্থাটির সংকট আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে দেশের জনস্বাস্থ্যে দেখা দিতে পারে বড় ধরনের বিপত্তি।

দাতাদের কাছ থেকে দুই ধরনের অনুদান পেয়ে থাকে আইসিডিডিআর,বি। যেসব অনুদান সংস্থাটি স্বাধীনভাবে ব্যয় করতে পারে সেগুলোকে বলা হয় ‘আনরেস্ট্রিকটেড গ্র্যান্টস’। ২০২৩ সালে সংস্থাটি মোট ৩৪ লাখ ১২ হাজার ১৯৩ ডলারের আনরেস্ট্রিকটেড গ্র্যান্টস বা অবাধে ব্যয়যোগ্য অনুদান পেয়েছে। আর যেসব অনুদান সুনির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য দেয়া হয় কিংবা আইসিডিডিআর,বির সঙ্গে দাতা সংস্থার স্বাক্ষরিত পারস্পরিক চুক্তি অনুসারে সুনির্দিষ্ট কার্যক্রমে ব্যয় করার শর্ত থাকে সেগুলোকে বলা হয় ‘রেস্ট্রিকটেড গ্র্যান্টস’ বা সুনির্দিষ্ট খাতে ব্যয়যোগ্য অনুদান।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম ” ভারত ও বৃটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গ”

বৃটেন সফরে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তারা বৈঠকে ভারত ও বৃটেনের দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের ওপর জোর দেন। এছাড়া ইউক্রেনসহ তাদের আলোচনায় বর্তমান ভূরাজনৈতিক বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে। এ খবর দিয়েছে দ্য হিন্দু।

এতে বলা হয়, বুধবার এক্সের এক পোস্টে এ বিষয় নিয়ে একটি পোস্ট দেন জয়শঙ্কর। সেখানে তিনি তাদের আলোচ্য বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা ইউক্রেন সংঘাত, পশ্চিম এশিয়া, বাংলাদেশ, কমনওয়েলথসহ নানা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছি। বিশ্বজুড়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে স্থিতিশিলতার জন্য ভারত-বৃটেন সমৃদ্ধির জন্য অবদান রাখছে বলেও উল্লেখ করেছেন জয়শঙ্কর।

তবে তাদের আলোচনায় বাংলাদেশ নিয়ে কী কথা হয়েছে তা বিস্তারিত জানাননি তিনি।

কিন্তু দ্য হিন্দু বলছে, গত বছরের আগস্টে ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃটেনে আশ্রয় চেয়েছিলেন বলে কথা উঠেছিল। তবে তা হয়নি। লন্ডন তখন সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, ওই পরিস্থিতিতে বৃটেনে আশ্রয় দেয়ার জন্য বৃটেনের হাতে কোনো আইন নেই। গণমাধ্যমটি হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের বিষয়টিও তুলে ধরেছে। সেখানে বলা হয়, হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক বৃটেনের লেবার পার্টির একজন এমপি। ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি দেশটির সিটি মন্ত্রী ছিলেন। কিছু অভিযোগের মুখে তিনি পদত্যাগ করেন।