(মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে ফক্স নিউজের শন হ্যানিটির সাক্ষাৎকার)
প্রশ্ন: আপনাকে এখানে পেয়ে ভালো লাগছে, মিস্টার সেক্রেটারি। আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও: আপনাকে ধন্যবাদ।
প্রশ্ন: গত শুক্রবার আপনি আলোচনায় ছিলেন, যা ছিল কিছুটা অবিশ্বাস্য। আমি তখনই বলেছিলাম যে ট্রাম্প ফিরবেন, এবং গতকাল এক্স-এ দেওয়া পোস্ট এবং সেই চিঠিতে যা বলা হয়েছে, তা পুরো পরিস্থিতিকে নতুন দিক দিয়েছে। আপনার মতামত কী?
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও: শুক্রবারের ঘটনাটি আসলে আগের বহু ঘটনার ফল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুরু থেকেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত হিসেবে দেখেছেন। এটি আসলে দুই পরাশক্তির মধ্যে এক ধরনের ‘প্রক্সি যুদ্ধ’। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সহায়তা করছে, আর রাশিয়া তার নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোচ্ছে। ট্রাম্প চান এই যুদ্ধের সমাপ্তি হোক, তবে এখন পর্যন্ত কারও কাছে কোনো সুস্পষ্ট পরিকল্পনা নেই।
ইউক্রেনের কৌশল ছিল যতদিন প্রয়োজন ততদিন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া, কিন্তু এটিকে কোনো স্থায়ী সমাধান বলা যায় না। রাশিয়াও যুদ্ধের শুরুতে সমস্যায় পড়েছিল, কিন্তু তারা কিছু অগ্রগতি করেছে। তবে এটি এখনও এক ধরনের অচলাবস্থায় রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চেয়েছিলেন উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে। কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি কূটনৈতিক আলোচনার সম্ভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। তবে এখন মনে হচ্ছে যে ইউক্রেন তার অবস্থান পুনর্বিবেচনা করছে, যা ইতিবাচক।
শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা
প্রশ্ন: এই যুদ্ধ মার্কিন জনগণের করের শত শত বিলিয়ন ডলার খরচ করিয়েছে। এটি চিরদিন চলতে পারে না। পুতিন কি সত্যিই আলোচনার জন্য প্রস্তুত?
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও: হ্যাঁ, দুই সপ্তাহ আগে আমরা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেছি। মূল প্রশ্ন ছিল—তারা কি যুদ্ধ শেষ করার আলোচনা করতে চায়? তাদের উত্তর ছিল, হ্যাঁ, তারা আলোচনা করতে চায়। কিন্তু এটি কঠিন, কারণ ইউক্রেন যদি আলোচনা করতে না চায়, তাহলে এটি সম্ভব নয়।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগেই বলেছিলেন, যদি তিনি প্রেসিডেন্ট হতেন, তাহলে এই যুদ্ধ হতো না। এখন তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছেন, যা বিশ্ববাসীর জন্য ভালো।
ট্রাম্পের কঠোর বার্তা ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
প্রশ্ন: ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্যে তিনি গাজা ও হামাস নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আপনি কী ভাবছেন?
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সবসময় সোজাসাপ্টা কথা বলেন। তিনি বিশ্বাস করেন, যেসব সংগঠন আমেরিকানদের ক্ষতি করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যদি হামাস জিম্মিদের ছেড়ে না দেয়, তাহলে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।
কংগ্রেসে ডেমোক্রেটদের প্রতিক্রিয়া
প্রশ্ন: আপনি গতকাল কংগ্রেসে ছিলেন। ডেমোক্রেটরা ট্রাম্পের ঘোষণার সময় যে আচরণ করেছে, তা নিয়ে আপনার কী মতামত?
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও: কিছু ব্যাপার সত্যিই অবাক করার মতো ছিল। যখন একজন তরুণ সেনাবাহিনীতে যোগ দেয় বা একজন ক্যান্সারজয়ী শিশু সিক্রেট সার্ভিসের সদস্য হয়, তখন সাধারণত সবাই সমর্থন জানায়। কিন্তু গতকাল কিছু ডেমোক্রেট নেতার আচরণ ছিল শিশুসুলভ।
ট্রাম্পই একমাত্র নেতা যিনি এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও: বিশ্বে একমাত্র ব্যক্তি যিনি এই যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেন, তিনি হলেন ডোনাল্ড জে. ট্রাম্প। আমরা ভাগ্যবান যে আমাদের এমন একজন প্রেসিডেন্ট আছেন, যিনি যুদ্ধ থামানোর জন্য কাজ করছেন।