০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

খুলনায় গ্যাস সরবরাহে নতুন মোড়: ঈদের পর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

  • Sarakhon Report
  • ০৩:২৫:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • 23

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • ভোলা থেকে খুলনায় গ্যাস সরবরাহের পরিকল্পনা পরিবর্তন করে প্রথম ধাপে শুধুমাত্র ঢাকায় সরবরাহ করা হবে, যা খুলনা বিএনপি ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।
  • খুলনায় গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন প্রয়োজন, যার ব্যয় ৭,০০০ থেকে ৮,০০০ কোটি টাকা হতে পারে। গ্যাসের পরিমাণ কম হলে এত বিশাল খরচ বহন করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
  • গ্যাস সরবরাহ না হলে খুলনার শিল্পকারখানা পুনরায় সচল হতে পারবে না, কর্মসংস্থান তৈরি ব্যাহত হবে এবং অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, যা স্থানীয় জনগণের জন্য হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পেট্রোবাংলা জানায় যে, ভোলা থেকে খুলনায় গ্যাস পৌঁছানোর জন্য ব্যবহৃত পাইপলাইনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। পরিবর্তিত রুট অনুযায়ী, প্রথম ধাপে গ্যাস সরবরাহ শুধুমাত্র ঢাকায় করা হবে। ভোলা-বরিশাল অংশ অপরিবর্তিত থাকলেও, খুলনায় সরাসরি গ্যাস পৌঁছানো হবে না। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে খুলনা বিএনপি সহ অন্যান্য নেতারা তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

অর্থায়ন ও খরচের চ্যালেঞ্জ

ভোলা থেকে খুলনায় গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পাইপলাইন প্রয়োজন হবে, যার আনুমানিক ব্যয় ৭,০০০ থেকে ৮,০০০ কোটি টাকা হতে পারে। গ্যাসের পরিমাণ কম হলে এত বিশাল খরচ বহন করা কঠিন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০০৪ সালে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের গ্যারান্টি না পাওয়ায় প্রকল্প স্থগিত ছিল; কিন্তু বর্তমানে এলএনজি আমদানিতে একটি কার্গোর খরচ ৬৪৯ কোটি টাকার সমতুল্য হওয়ায় বিষয়টি আরও তীব্র হয়েছে।

খুলনা বিএনপির প্রতিক্রিয়া ও দাবিসমূহ

খুলনা বিএনপি নেতারা মনে করেন, ২০১২ সালে ১৬৫ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপনের পরও খুলনায় গ্যাস সরবরাহে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয় নি। কিছু ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী ছিলেন যে, খুলনায় গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হলে উৎপাদন খরচ কমে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় কার্যকর হবে। তারা দাবি জানাচ্ছেন যে, প্রথম ধাপে খোলনায় গ্যাস সরবরাহ না নিশ্চিত করলে ঈদের পর ব্যাপক আন্দোলন ত্বরান্বিত হতে পারে।

সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া

খুলনার বড় বাজারের, ব্যবসায়ী রহমত কাগজী জানান,  খুলনা এমনি সব দিক থেকে অবহেলিত, তারপরেও আশা ছিলো গ্যাস পাবো। সে আশাও মিথ্যে হয়ে গেলো।

স্কুল শিক্ষক, চঞ্চল সরকার বলেন, আমাদের মত কম আয়ের মানুষদের গ্যাসের খরচ কম হওয়া ও সিলিন্ডার গ্যাস কেনার ঝামেলা থেকে বাঁচার একটা আশা করেছিলাম। জানিনা কি আছে আমাদের ভাগ্যে। খুলনার মানুষের ভাগ্য কখনই সুপ্রসন্ন হয় না।

অর্থনৈতিক প্রভাব ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

নেতারা বিশ্বাস করেন, খুলনায় গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হলে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো আবার কাজ শুরু করবে, নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং অঞ্চলের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে, বর্তমান রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্তটি খোলনা অঞ্চলের ব্যবসায় ও শিল্পের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলে অভিযোগ উঠেছে।

খুলনায় গ্যাস সরবরাহে নতুন মোড়: ঈদের পর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

০৩:২৫:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • ভোলা থেকে খুলনায় গ্যাস সরবরাহের পরিকল্পনা পরিবর্তন করে প্রথম ধাপে শুধুমাত্র ঢাকায় সরবরাহ করা হবে, যা খুলনা বিএনপি ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।
  • খুলনায় গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন প্রয়োজন, যার ব্যয় ৭,০০০ থেকে ৮,০০০ কোটি টাকা হতে পারে। গ্যাসের পরিমাণ কম হলে এত বিশাল খরচ বহন করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
  • গ্যাস সরবরাহ না হলে খুলনার শিল্পকারখানা পুনরায় সচল হতে পারবে না, কর্মসংস্থান তৈরি ব্যাহত হবে এবং অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, যা স্থানীয় জনগণের জন্য হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পেট্রোবাংলা জানায় যে, ভোলা থেকে খুলনায় গ্যাস পৌঁছানোর জন্য ব্যবহৃত পাইপলাইনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। পরিবর্তিত রুট অনুযায়ী, প্রথম ধাপে গ্যাস সরবরাহ শুধুমাত্র ঢাকায় করা হবে। ভোলা-বরিশাল অংশ অপরিবর্তিত থাকলেও, খুলনায় সরাসরি গ্যাস পৌঁছানো হবে না। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে খুলনা বিএনপি সহ অন্যান্য নেতারা তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

অর্থায়ন ও খরচের চ্যালেঞ্জ

ভোলা থেকে খুলনায় গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পাইপলাইন প্রয়োজন হবে, যার আনুমানিক ব্যয় ৭,০০০ থেকে ৮,০০০ কোটি টাকা হতে পারে। গ্যাসের পরিমাণ কম হলে এত বিশাল খরচ বহন করা কঠিন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০০৪ সালে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের গ্যারান্টি না পাওয়ায় প্রকল্প স্থগিত ছিল; কিন্তু বর্তমানে এলএনজি আমদানিতে একটি কার্গোর খরচ ৬৪৯ কোটি টাকার সমতুল্য হওয়ায় বিষয়টি আরও তীব্র হয়েছে।

খুলনা বিএনপির প্রতিক্রিয়া ও দাবিসমূহ

খুলনা বিএনপি নেতারা মনে করেন, ২০১২ সালে ১৬৫ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপনের পরও খুলনায় গ্যাস সরবরাহে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয় নি। কিছু ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী ছিলেন যে, খুলনায় গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হলে উৎপাদন খরচ কমে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় কার্যকর হবে। তারা দাবি জানাচ্ছেন যে, প্রথম ধাপে খোলনায় গ্যাস সরবরাহ না নিশ্চিত করলে ঈদের পর ব্যাপক আন্দোলন ত্বরান্বিত হতে পারে।

সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া

খুলনার বড় বাজারের, ব্যবসায়ী রহমত কাগজী জানান,  খুলনা এমনি সব দিক থেকে অবহেলিত, তারপরেও আশা ছিলো গ্যাস পাবো। সে আশাও মিথ্যে হয়ে গেলো।

স্কুল শিক্ষক, চঞ্চল সরকার বলেন, আমাদের মত কম আয়ের মানুষদের গ্যাসের খরচ কম হওয়া ও সিলিন্ডার গ্যাস কেনার ঝামেলা থেকে বাঁচার একটা আশা করেছিলাম। জানিনা কি আছে আমাদের ভাগ্যে। খুলনার মানুষের ভাগ্য কখনই সুপ্রসন্ন হয় না।

অর্থনৈতিক প্রভাব ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

নেতারা বিশ্বাস করেন, খুলনায় গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হলে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো আবার কাজ শুরু করবে, নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং অঞ্চলের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে, বর্তমান রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্তটি খোলনা অঞ্চলের ব্যবসায় ও শিল্পের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলে অভিযোগ উঠেছে।