০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

চাঁদা দেয়াই এখন নিয়মতি ঘটনা

  • Sarakhon Report
  • ০৩:৫৯:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • 22

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরাও নীরব চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন
  • হোটেল রেস্তোরাঁ এবং এমনকি ব্যক্তিগত বাড়ি ও অফিসও চাঁদাবাজদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে
  • চাঁদাবাজরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে

খুলনা শহর ও তার আশে পাশে  চাঁদাবাজির ঘটনা এখন প্রতি নিয়ত বিষয়। খুলনার ওপারে রূপসায় এবং তার আশে পাশের উপজেলা গুলোতেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সংখ্যালঘুদের দিতে হচ্ছে নিয়মিত চাঁদা। যুবকদের একটি গ্রুপ “ছাত্র পরিচয়” ব্যবহার করে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান ও সংখ্যালঘু হিন্দু নাগরিকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছে, কাউকে কাউকে দিতে হচ্ছে নিয়মিত চাঁদা। এই কর্মকান্ডের ফলে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা ভয় ও অসহায় বোধ করছেন।

অফিস ও প্রতিষ্ঠানে হুমকি ও হামলার ঘটনা

ফফার টাওয়ারে অভিযান

  • ঘটনার বিবরণ:
    ২৭ ফেব্রুয়ারির দিনে হাদিস পার্কের সামনে অবস্থিত গাফফার টাওয়ারে একদল যুবক প্রবেশ করে, যেখানে নৌপরিবহন ব্যবসায় যুক্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের অফিসে গিয়ে “আও আওয়ামী লীগের দোসর” বলে কর্মকর্তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করে।
  • নেতৃত্বের ভূমিকা:
    এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন খুলনার সহকারী মুখপাত্র হানযালা হোসেন সানি, যিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত।

অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও এলাকা

  • ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান:
  • কাপড় ব্যবসায়ীদের অবস্থা: তাদেরকে নিয়মিত চা্ঁদা দিতে হচ্ছে। প্রায় পালা করে ছাত্র পরিচয়ে যুবকরা আসে। দীর্ঘ দিনের এ সব ব্যবসায়ী এর আগে কখনও এমন অবস্থা দেখেনি।
  • বাদ যাচ্ছেন না হোটেল রেস্তোরা গুলোও। তাদেরকেও দিতে হচ্ছে নিয়মিত চাঁদা ।
  • বাসা ও অফিস:
    বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের বাড়ি ও বন্দরের কার্যালয়সহ খুলনার বিভিন্ন এলাকায় একই ধরনের হুমকি ও চাপের ঘটনা ঘটছে।
  • রূপসার পারে যা ঘটছে
  • খুলনার অপর পার রূপসা এলাকায় বাস করেন অনেক ব্যবসায়ী। তাদের কেউ কেউ বিভিন্ন এলাকায় চিংড়ি ঘেরের মালিক। তাদের যেমন মাছ লুঠ হয়েছে তেমনি দিতে হচ্ছে নিয়মিত চাঁদা। কিন্তু কেউ ই ভয়ে মুখ খুলতে রাজি নয়।
  • খালিস পুর:
  • বেশ কয়েকটি কারখানার মালিক আছে এখানে ঢাকায় বসবাসরত এক ব্যবসায়ী। তার বক্তব্য এ অবস্থা অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। তা নাহলে তাদেরকে ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিতে হবে।

 সংখ্যালঘু:

  • খুলনা শহর ছাড়াও নিকটবর্তী রূপসা, বটিয়াঘাটা ও ফুলবাড়িয়া এলাকায় অনেক হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করেন। এদের একটি অংশ চাকুরি ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারা শিকার হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে নীরব চাঁদাবাজির। কোন প্রশ্ন তুলতে পারছে না। শুধুমাত্র কাকুতি মিনতি করা ছাড়া।

মিথ্যে মামলা একটা কৌশল:

  • অভিযোগের প্রসঙ্গ:
    বিভিন্ন  প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নামে মিথ্যা মামলা চালু করে তাদের বাড়ি ও অফিসে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে টাকা দেবার জন্যে।
  • প্রতিক্রিয়া:
    এ ধরনের কিছু অভিযোগ ছাত্র নেতাদের কাছে করার পরে নেতাদের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি মীমাংসার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে।

আইন প্রয়োগ ও পুলিশী প্রতিক্রিয়া

  • পুলিশের মন্তব্য:
    খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার মিডিয়াকে জানান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা চুপ থাকেন। পুলিশ সংবাদ পাওয়া মাত্রই দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে উদ্যোগ নেয়।
  • নাগরিকের উদ্বেগ:
    পুলিশ হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও, অনেক সময় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ নিজে প্রতিবাদ করতে ভয় পান, কারণ ও হুমকির ঘটনা অব্যাহত থাকে। আর সংখ্যালঘুরা আছেন অনেকটা মৃত মানুষের মত।

চাঁদা দেয়াই এখন নিয়মতি ঘটনা

০৩:৫৯:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরাও নীরব চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন
  • হোটেল রেস্তোরাঁ এবং এমনকি ব্যক্তিগত বাড়ি ও অফিসও চাঁদাবাজদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে
  • চাঁদাবাজরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে

খুলনা শহর ও তার আশে পাশে  চাঁদাবাজির ঘটনা এখন প্রতি নিয়ত বিষয়। খুলনার ওপারে রূপসায় এবং তার আশে পাশের উপজেলা গুলোতেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সংখ্যালঘুদের দিতে হচ্ছে নিয়মিত চাঁদা। যুবকদের একটি গ্রুপ “ছাত্র পরিচয়” ব্যবহার করে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান ও সংখ্যালঘু হিন্দু নাগরিকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছে, কাউকে কাউকে দিতে হচ্ছে নিয়মিত চাঁদা। এই কর্মকান্ডের ফলে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা ভয় ও অসহায় বোধ করছেন।

অফিস ও প্রতিষ্ঠানে হুমকি ও হামলার ঘটনা

ফফার টাওয়ারে অভিযান

  • ঘটনার বিবরণ:
    ২৭ ফেব্রুয়ারির দিনে হাদিস পার্কের সামনে অবস্থিত গাফফার টাওয়ারে একদল যুবক প্রবেশ করে, যেখানে নৌপরিবহন ব্যবসায় যুক্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের অফিসে গিয়ে “আও আওয়ামী লীগের দোসর” বলে কর্মকর্তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করে।
  • নেতৃত্বের ভূমিকা:
    এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন খুলনার সহকারী মুখপাত্র হানযালা হোসেন সানি, যিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত।

অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও এলাকা

  • ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান:
  • কাপড় ব্যবসায়ীদের অবস্থা: তাদেরকে নিয়মিত চা্ঁদা দিতে হচ্ছে। প্রায় পালা করে ছাত্র পরিচয়ে যুবকরা আসে। দীর্ঘ দিনের এ সব ব্যবসায়ী এর আগে কখনও এমন অবস্থা দেখেনি।
  • বাদ যাচ্ছেন না হোটেল রেস্তোরা গুলোও। তাদেরকেও দিতে হচ্ছে নিয়মিত চাঁদা ।
  • বাসা ও অফিস:
    বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের বাড়ি ও বন্দরের কার্যালয়সহ খুলনার বিভিন্ন এলাকায় একই ধরনের হুমকি ও চাপের ঘটনা ঘটছে।
  • রূপসার পারে যা ঘটছে
  • খুলনার অপর পার রূপসা এলাকায় বাস করেন অনেক ব্যবসায়ী। তাদের কেউ কেউ বিভিন্ন এলাকায় চিংড়ি ঘেরের মালিক। তাদের যেমন মাছ লুঠ হয়েছে তেমনি দিতে হচ্ছে নিয়মিত চাঁদা। কিন্তু কেউ ই ভয়ে মুখ খুলতে রাজি নয়।
  • খালিস পুর:
  • বেশ কয়েকটি কারখানার মালিক আছে এখানে ঢাকায় বসবাসরত এক ব্যবসায়ী। তার বক্তব্য এ অবস্থা অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। তা নাহলে তাদেরকে ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিতে হবে।

 সংখ্যালঘু:

  • খুলনা শহর ছাড়াও নিকটবর্তী রূপসা, বটিয়াঘাটা ও ফুলবাড়িয়া এলাকায় অনেক হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করেন। এদের একটি অংশ চাকুরি ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারা শিকার হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে নীরব চাঁদাবাজির। কোন প্রশ্ন তুলতে পারছে না। শুধুমাত্র কাকুতি মিনতি করা ছাড়া।

মিথ্যে মামলা একটা কৌশল:

  • অভিযোগের প্রসঙ্গ:
    বিভিন্ন  প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নামে মিথ্যা মামলা চালু করে তাদের বাড়ি ও অফিসে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে টাকা দেবার জন্যে।
  • প্রতিক্রিয়া:
    এ ধরনের কিছু অভিযোগ ছাত্র নেতাদের কাছে করার পরে নেতাদের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি মীমাংসার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে।

আইন প্রয়োগ ও পুলিশী প্রতিক্রিয়া

  • পুলিশের মন্তব্য:
    খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার মিডিয়াকে জানান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা চুপ থাকেন। পুলিশ সংবাদ পাওয়া মাত্রই দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে উদ্যোগ নেয়।
  • নাগরিকের উদ্বেগ:
    পুলিশ হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও, অনেক সময় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ নিজে প্রতিবাদ করতে ভয় পান, কারণ ও হুমকির ঘটনা অব্যাহত থাকে। আর সংখ্যালঘুরা আছেন অনেকটা মৃত মানুষের মত।