সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
- তিনজন সশস্ত্র ব্যক্তি একটি সাদা গাড়িতে করে এসে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে
- দিলীপ দাসের স্ত্রী সরস্বতী দাস তার সামনেই স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার বিবরণ দেন
- আশুলিয়া থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে, এবং সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে
রবিবার রাতে সাভারের নয়ারহাট বাজারে সোনার গহনাদোকানের জন্য পরিচিত এলাকায় একটি নৃশংস হামলা সংঘটিত হয়। ৪৭ বছর বয়সী হিন্দু সোনার ব্যবসায়ী দিলীপ দাস, যিনি “দিলীপ স্বর্ণালয়” নামে গহনাদোকানের মালিক, তার দোকান বন্ধ করতে যাচ্ছিলেন তখনই স্ত্রীর সামনে নির্দয়ভাবে হত্যা করা হয়।
হামলার বিবরণ
• সময় এবং স্থান:
ঘটনাটি সন্ধ্যা ৯টার দিকে সাভারের নয়ারহাট বাজারে ঘটে। দিলীপ যখন তার দোকান লক করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন হামলার সূচনা হয়।
• পদ্ধতি এবং কার্যপ্রণালী:
সাদা ব্যক্তিগত গাড়িতে করে আগত তিন জন সশস্ত্র ব্যক্তি বোমা বিস্ফোরণ করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির পর দিলীপকে পেছন থেকে ঘিরে বারবার ছুরিকাঘাত করে। সংঘর্ষের সময় তাঁর বহন করা ব্যাগটি দখল করে নেওয়া হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সোনার গহনাদিন ছিল।

• সোনার গহনা নেয়া হয়েছে
সাক্ষীদের বর্ণনায় জানা যায়, হামলাকারীরা ব্যাগ থেকে আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ ভরি সোনার গহনা নিয়ে গেছে। তার ব্যাগে প্রায় ১৫–২০ ভরি ওজনের সোনার গহনা ছিল।
সাক্ষী এবং পরিবারের বিবৃতি
• সাক্ষীদের রিপোর্ট:
সাক্ষীরা বলেছিলেন, দিলীপ তাঁর দোকান বন্ধ করার পর বাড়ি ফেরার পথে ছিলেন, তখনই হামলাকারীরা বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারের মাধ্যমে প্রথমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তারপর আক্রমণ চালান।

• পরিবারের অভিজ্ঞতা:
দিলীপের স্ত্রী সরস্বতী দাস এই ভীতিকর ঘটনাটি স্মরণ করে বলেন,
“সশস্ত্র ব্যক্তিরা আমার স্বামীর আমার সামনে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে । এছাড়াও, এক আত্মীয় জানান যে, বিকেলের কিছুক্ষণ আগে, দোকান বন্ধ করার পর এবং একটি লেনদেনের জন্য আবার ফিরে আসার সময় দিলীপকে আক্রমণের শিকার হতে হয়।
চিকিৎসা জরুরি এবং হাসপাতালের রিপোর্ট
• আক্রান্তের অবস্থা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা:
দিলীপ দাসকে তাৎক্ষণিকভাবে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে উপস্থিত জরুরি চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাঃ মেরাজুর রায়হান জানান, দিলীপের বুক, মুখ এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ভয়াবহ আঘাত লাগে। অত্যন্ত জরুরি ও জোরপূর্বক চিকিৎসা সত্ত্বেও—যার মধ্যে ছিল স্যালাইন, লাইফ সাপোর্ট ও অস্ত্রোপচারের প্রচেষ্টা—অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।

থানা তদন্ত
• ঘটনাস্থলে প্রতিক্রিয়া:
থানার কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। আশুলিয়া থানার ইনস্পেক্টর কামাল হোসেন নিশ্চিত করেছেন যে, পুলিশ এই মামলার ব্যাপারে সক্রিয় তদন্ত চালাচ্ছে।
• প্রমাণ ও তদন্ত:
সিসিটিভি ফুটেজে হামলাকারীদের আগমন, বোমার ব্যবহার এবং দিলীপ দাসের উপর হামলার ক্রমানুসার দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। এই প্রমাণাদি বিশ্লেষণের মাধ্যমে হামলাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Sarakhon Report 



















