০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

চট্টগ্রামে অপরাধের ঝড়: ছয় মাসে আতঙ্কের আঁধারে মানুষ

  • Sarakhon Report
  • ০৪:৩৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • 20

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • আগস্ট থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ২,০৬৭টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে
  • গত বছরের তুলনায় খুন ও অপহরণের মতো ঘটনাগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে
  • রমজানের সময় বাড়তি নিরাপত্তার জন্য সিটিজেন ফোরাম গঠন করা হয়েছে
  • ফ্লাইওভারের বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ চুরি হচ্ছে এবং দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় দুর্ঘটনা ও অপরাধের সম্ভাবনা বেড়েছে

ত ছয় মাসে চট্টগ্রামে হত্যাকান্ড, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, কিশোর গ্যাং কার্যক্রম ও অপহরণের ঘটনা প্রায় দ্বিগুনের কাছাকাছি বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরাধীদের সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে মূলত অপর্যাপ্ত সড়কবাতি ও পুলিশের তৎপরতার কমতির কারণে, এছাড়াও ফ্লাইওভারগুলোকে অপরাধের আশ্রয়স্থলে পরিণত করেছে।

অপরাধের পরিসংখ্যান ও ধরন

  • মোট মামলা:
    আগস্ট থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ২,০৬৭টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
  • প্রধান অপরাধসমূহ:
    • হত্যাকান্ড: ৪৪টি
    • ডাকাতি: ৪২টি
    • নারী ও শিশু নির্যাতন: ১৬৭টি
    • অপহরণ: ২৩টি
    • পুলিশের ওপর হামলা: ৩৪টি
    • চুরি: ১৫৯টি
  • সাল তুলনা:
    শুধুমাত্র ছিনতাই, ডাকাতি, অপহরণ ও খুনের ক্ষেত্রে ১১৮টি ঘটনা ঘটেছে, যা পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৪টি বেশি।
  • উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি:
    বিশেষ করে খুন ও অপহরণের ঘটনায় চোখে পড়ার মতো বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।

পুলিশ ও প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি

  • থানা ও জনবল:
    চট্টগ্রাম মহানগরে ৮০ লাখ মানুষের জন্য ১৬টি থানা ও প্রায় ৭,০০০ পুলিশ কর্মী রয়েছে।
  • পুলিশি তৎপরতা:
    ৫ আগস্ট থেকে পুলিশের তৎপরতার অভাবে অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  • মেট্রোপলিটন পুলিশের মন্তব্য:
    কমিশনার হাসিব আজিজ জানান, “চট্টগ্রামের অপরাধের হার দেশের অন্যান্য অংশের তুলনায় কম হলেও, আমরা সীমিত জনবল নিয়ে কাজ করছি।”
    এদিকে, রমজানের সময় বাড়তি নিরাপত্তার জন্য সিটিজেন ফোরাম গঠন করা হয়েছে।

ফ্লাইওভারগুলো – অপরাধের নতুন কেন্দ্র

  • অপরাধের স্থান হিসেবে ফ্লাইওভার:
    রাতের বেলায় চারটি ফ্লাইওভার ও একটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন থামিয়ে অস্ত্র ব্যবহার করে ছিনতাই ও ডাকাতি ঘটছে।
    অপর্যাপ্ত সড়কবাতি ও ঝুঁকিপূর্ণ অবকাঠামোর কারণে অপরাধীরা সহজেই কাজে লিপ্ত হচ্ছে।
  • গঠনতন্ত্রগত সমস্যা:
    ফ্লাইওভারের পিলার, গার্ডার অঞ্চল ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ (সড়কবাতি, কেবল, রেলিং) চুরির শিকার হচ্ছে।
    দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় দুর্ঘটনা ও অপরাধের সম্ভাবনা বেড়ে গেছে।

চসিক কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া

  • প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বিবৃতি:
    শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম মিডিয়াকে জানান, “ফ্লাইওভারের বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ চুরি হওয়ার কারণে কিছু বত্তি রাতের বেলা বন্ধ রাখতে হয়েছে। তবে, নিয়মিত তদারকি, মেরামত এবং সড়ক কার্পেটিংয়ের মাধ্যমে সংস্কার কাজ চলছে।”
    ঈদের আগে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
  • প্রকৌশল ও বিদ্যুৎ বিভাগের দাবী:
    অতীতের তুলনায় ফ্লাইওভারে অপরাধের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
    নিয়মিত চুরি ও মেরামতের পরও অপরাধ পুনরাবৃত্তি হচ্ছে, যার ফলে অনেক বত্তি বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে।

চট্টগ্রামে অপরাধের ঝড়: ছয় মাসে আতঙ্কের আঁধারে মানুষ

০৪:৩৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • আগস্ট থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ২,০৬৭টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে
  • গত বছরের তুলনায় খুন ও অপহরণের মতো ঘটনাগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে
  • রমজানের সময় বাড়তি নিরাপত্তার জন্য সিটিজেন ফোরাম গঠন করা হয়েছে
  • ফ্লাইওভারের বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ চুরি হচ্ছে এবং দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় দুর্ঘটনা ও অপরাধের সম্ভাবনা বেড়েছে

ত ছয় মাসে চট্টগ্রামে হত্যাকান্ড, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, কিশোর গ্যাং কার্যক্রম ও অপহরণের ঘটনা প্রায় দ্বিগুনের কাছাকাছি বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরাধীদের সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে মূলত অপর্যাপ্ত সড়কবাতি ও পুলিশের তৎপরতার কমতির কারণে, এছাড়াও ফ্লাইওভারগুলোকে অপরাধের আশ্রয়স্থলে পরিণত করেছে।

অপরাধের পরিসংখ্যান ও ধরন

  • মোট মামলা:
    আগস্ট থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ২,০৬৭টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
  • প্রধান অপরাধসমূহ:
    • হত্যাকান্ড: ৪৪টি
    • ডাকাতি: ৪২টি
    • নারী ও শিশু নির্যাতন: ১৬৭টি
    • অপহরণ: ২৩টি
    • পুলিশের ওপর হামলা: ৩৪টি
    • চুরি: ১৫৯টি
  • সাল তুলনা:
    শুধুমাত্র ছিনতাই, ডাকাতি, অপহরণ ও খুনের ক্ষেত্রে ১১৮টি ঘটনা ঘটেছে, যা পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৪টি বেশি।
  • উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি:
    বিশেষ করে খুন ও অপহরণের ঘটনায় চোখে পড়ার মতো বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।

পুলিশ ও প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি

  • থানা ও জনবল:
    চট্টগ্রাম মহানগরে ৮০ লাখ মানুষের জন্য ১৬টি থানা ও প্রায় ৭,০০০ পুলিশ কর্মী রয়েছে।
  • পুলিশি তৎপরতা:
    ৫ আগস্ট থেকে পুলিশের তৎপরতার অভাবে অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  • মেট্রোপলিটন পুলিশের মন্তব্য:
    কমিশনার হাসিব আজিজ জানান, “চট্টগ্রামের অপরাধের হার দেশের অন্যান্য অংশের তুলনায় কম হলেও, আমরা সীমিত জনবল নিয়ে কাজ করছি।”
    এদিকে, রমজানের সময় বাড়তি নিরাপত্তার জন্য সিটিজেন ফোরাম গঠন করা হয়েছে।

ফ্লাইওভারগুলো – অপরাধের নতুন কেন্দ্র

  • অপরাধের স্থান হিসেবে ফ্লাইওভার:
    রাতের বেলায় চারটি ফ্লাইওভার ও একটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন থামিয়ে অস্ত্র ব্যবহার করে ছিনতাই ও ডাকাতি ঘটছে।
    অপর্যাপ্ত সড়কবাতি ও ঝুঁকিপূর্ণ অবকাঠামোর কারণে অপরাধীরা সহজেই কাজে লিপ্ত হচ্ছে।
  • গঠনতন্ত্রগত সমস্যা:
    ফ্লাইওভারের পিলার, গার্ডার অঞ্চল ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ (সড়কবাতি, কেবল, রেলিং) চুরির শিকার হচ্ছে।
    দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় দুর্ঘটনা ও অপরাধের সম্ভাবনা বেড়ে গেছে।

চসিক কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া

  • প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বিবৃতি:
    শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম মিডিয়াকে জানান, “ফ্লাইওভারের বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ চুরি হওয়ার কারণে কিছু বত্তি রাতের বেলা বন্ধ রাখতে হয়েছে। তবে, নিয়মিত তদারকি, মেরামত এবং সড়ক কার্পেটিংয়ের মাধ্যমে সংস্কার কাজ চলছে।”
    ঈদের আগে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
  • প্রকৌশল ও বিদ্যুৎ বিভাগের দাবী:
    অতীতের তুলনায় ফ্লাইওভারে অপরাধের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
    নিয়মিত চুরি ও মেরামতের পরও অপরাধ পুনরাবৃত্তি হচ্ছে, যার ফলে অনেক বত্তি বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে।