০২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মন্তব্যে সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া

  • Sarakhon Report
  • ০৫:৫৩:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • 25

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • সেনাবাহিনী জানায়, তারা জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের কোনো আনুষ্ঠানিক ইঙ্গিত বা বার্তা পায়নি
  • কিছু মহল ভলকার তুর্কের বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে, যা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ও পেশাদারিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে
  • বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ এবং তাদের পেশাদারিত্ব আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত
  • ১৯৯১ সালের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ও সেনাবাহিনী নিরপেক্ষভাবে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে

ভলকার তুর্কের মন্তব্য ও সংবাদ প্রচার

সম্প্রতি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের সাক্ষাৎকারভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘হার্ডটক’-এ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মি. ভলকার তুর্ক গত বছরের (২০২৪) জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করেন। তার বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এ বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর   বা আইএসপিআর (ISPR) এ বিবৃতি প্রকাশ করেছে

সেনাবাহিনীর অবস্থান ও মানবাধিকার প্রতিশ্রুতি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মানবাধিকারকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং যেকোনো গঠনমূলক সমালোচনাকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করে। তবে, সেনাবাহিনী মনে করে যে, ভলকার তুর্কের বক্তব্যের কিছু বিষয় স্পষ্টীকরণ প্রয়োজন।

সেনাবাহিনী জানায়, তারা জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের কোনো আনুষ্ঠানিক ইঙ্গিত বা বার্তা পায়নি। যদি কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়ে থাকে, তবে তা তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হতে পারে, কিন্তু সেনাবাহিনীকে নয়।

সেনাবাহিনীর নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতীয় নিরাপত্তা নীতির ভিত্তিতে কাজ করে এবং সর্বদা আইনের শাসন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু কিছু মহল ভলকার তুর্কের বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে, যা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ও পেশাদারিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সেনাবাহিনী কখনো জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করেনি। ১৯৯১ সালের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ও সেনাবাহিনী নিরপেক্ষভাবে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। তাদের পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার কারণে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। শান্তিরক্ষা মিশন থেকে অর্জিত অর্থের একটি ক্ষুদ্র অংশ সেনাসদস্যরা পান, তবে এর সিংহভাগ জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখে। গত ২৩ বছরে এ খাত থেকে প্রায় ২৭,০০০ কোটি টাকা দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি

সেনাবাহিনী জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় এবং দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি দায়বদ্ধ। ভবিষ্যতে এ ধরনের যেকোনো উদ্বেগ বা বিভ্রান্তি থাকলে তা গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব বলে তারা মনে করে।

সুপ্রিম কোর্টের রায়কে পাশ কাটানোর কৌশল খুঁজছে বিচারকরা, ফেরাতে পারবে কি USAID

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মন্তব্যে সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া

০৫:৫৩:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • সেনাবাহিনী জানায়, তারা জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের কোনো আনুষ্ঠানিক ইঙ্গিত বা বার্তা পায়নি
  • কিছু মহল ভলকার তুর্কের বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে, যা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ও পেশাদারিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে
  • বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ এবং তাদের পেশাদারিত্ব আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত
  • ১৯৯১ সালের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ও সেনাবাহিনী নিরপেক্ষভাবে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে

ভলকার তুর্কের মন্তব্য ও সংবাদ প্রচার

সম্প্রতি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের সাক্ষাৎকারভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘হার্ডটক’-এ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মি. ভলকার তুর্ক গত বছরের (২০২৪) জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করেন। তার বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এ বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর   বা আইএসপিআর (ISPR) এ বিবৃতি প্রকাশ করেছে

সেনাবাহিনীর অবস্থান ও মানবাধিকার প্রতিশ্রুতি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মানবাধিকারকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং যেকোনো গঠনমূলক সমালোচনাকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করে। তবে, সেনাবাহিনী মনে করে যে, ভলকার তুর্কের বক্তব্যের কিছু বিষয় স্পষ্টীকরণ প্রয়োজন।

সেনাবাহিনী জানায়, তারা জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের কোনো আনুষ্ঠানিক ইঙ্গিত বা বার্তা পায়নি। যদি কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়ে থাকে, তবে তা তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হতে পারে, কিন্তু সেনাবাহিনীকে নয়।

সেনাবাহিনীর নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতীয় নিরাপত্তা নীতির ভিত্তিতে কাজ করে এবং সর্বদা আইনের শাসন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু কিছু মহল ভলকার তুর্কের বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে, যা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ও পেশাদারিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সেনাবাহিনী কখনো জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করেনি। ১৯৯১ সালের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ও সেনাবাহিনী নিরপেক্ষভাবে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। তাদের পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার কারণে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। শান্তিরক্ষা মিশন থেকে অর্জিত অর্থের একটি ক্ষুদ্র অংশ সেনাসদস্যরা পান, তবে এর সিংহভাগ জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখে। গত ২৩ বছরে এ খাত থেকে প্রায় ২৭,০০০ কোটি টাকা দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি

সেনাবাহিনী জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় এবং দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি দায়বদ্ধ। ভবিষ্যতে এ ধরনের যেকোনো উদ্বেগ বা বিভ্রান্তি থাকলে তা গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব বলে তারা মনে করে।