আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৫২,০০০ কোটি পিছিয়ে
-
Update Time :
বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৪.২০ পিএম
সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
- বর্তমান অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে সরকারের আয় আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৫২,০০০ কোটি টাকা কম হয়েছে, যা পরিকল্পিত রাজস্ব সংগ্রহের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
-
আইএমএফের চতুর্থ কিস্তির বিতরণ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে জুন পর্যন্ত স্থগিত হয়েছে, যার প্রধান কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরের পূর্বের শর্ত পূরণে বিলম্ব।
-
প্রাক্তন কর্মকর্তারা এনবিআরের কাঠামোগত ও নীতিগত সমস্যার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, কার্যকর সংস্কার ও স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা ছাড়া আয় সংগ্রহে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সম্ভব।
- আয়ের ঘাটতি: বর্তমান অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে সরকারের আয় আইএমএফের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৫২,০০০ কোটি টাকা কম হয়েছে।
- ঋণ কর্মসূচি: ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তির বিতরণ অত্যধিক উচ্চাকাঙ্ক্ষী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
- আয় সংগ্রহের বর্তমান অবস্থা
- মোট আয়: অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, এনবিআরসহ অন্যান্য উৎস থেকে মোট আয় হয়েছে ১৬২,৮৯২ কোটি টাকা।
- লক্ষ্যমাত্রা ব্যর্থতা: আইএমএফের ২১৫,১২০ কোটি টাকার লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থতা দেখা দিয়েছে।
- ট্যাক্স বৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ: বর্তমান বাজেটে ট্যাক্স সংগ্রহে ৩৪% বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল যা শুরু থেকেই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
- ট্যাক্স সংগ্রহের তুলনামূলক বিশ্লেষণ
- গত বছরের তুলনায়: গত বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১৬২,২৬২ কোটি টাকা, যা প্রায় অপরিবর্তিত থেকে গেছে।
- এনবিআর আয়: এনবিআর থেকে আয় হয়েছে ১৫৯,১৩৭ কোটি টাকা, যা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
- অন্যান্য উৎস: এনবিআরের বাইরে থেকে আয় সংগ্রহে সামান্য হ্রাস হয়ে ৩,৭৫৫ কোটি টাকা হয়েছে, যেখানে পূর্বে তা ছিল ৩,৭৮০ কোটি টাকা।
- আইএমএফ তহবিল বিতরণ ও পরবর্তী পরিদর্শন
- বিতরণের বিলম্ব: আইএমএফের চতুর্থ কিস্তি মূলত ফেব্রুয়ারিতে বিতরণের কথা ছিল, তবে তা জুন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
- পর্যালোচনা মিশন: আগামী মাসে একটি আইএমএফ পর্যালোচনা মিশন বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে।
- বিলম্বের কারণ: বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরের পূর্বের কিছু পদক্ষেপ সম্পন্ন না হওয়ার কারণে বিতরণে বিলম্ব হয়েছে।

- প্রাক্তন কর্মকর্তাদের মন্তব্য
- মজিদের অভিযোগ: প্রাক্তন এনবিআর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুল মজিদ অভিযোগ করেছেন যে, আইএমএফ বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা না করে অত্যধিক উচ্চ লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
- কর্মক্ষম পদক্ষেপের আহ্বান: তিনি বলেন, সরকারের উচিত ছিল এ ধরনের লক্ষ্য না গ্রহণ করে কার্যকর ট্যাক্স সংগ্রহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
- কাঠামোগত ও নীতিগত সমস্যা: অপর প্রাক্তন চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন আহমেদ লক্ষ্যটিকে অবাস্তব বলে সমালোচনা করে এনবিআরের কাঠামোগত ও নীতিগত সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করেছেন এবং সতর্ক করে দিয়েছেন যে, স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা ছাড়া আয় সংগ্রহে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সম্ভব নয়।
- ট্যাক্স নীতিতে পরিবর্তন ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ
- আইএমএফ মিশনের সুপারিশ: ডিসেম্বর মাসে আইএমএফ মিশন ট্যাক্স ছাড়, অনুগত্য বৃদ্ধি ও ট্যাক্স নীতি ও প্রশাসনের পৃথকীকরণের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছে।
- ভবিষ্যতের সন্দেহ: আয় সংগ্রহের ধীর গতির কারণে ভবিষ্যতের বাজেট লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সংশয় রয়েছে।
- অর্থনৈতিক প্রভাব: অর্থনীতিবিদরা সতর্ক, দীর্ঘস্থায়ী সংস্কার না হলে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, মুদ্রার বিনিময় হারের ওঠানামা এবং বহিঃস্থ ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়তে পারে।
- উপসংহার
- বর্তমান অর্থবছরে আয় সংগ্রহের নিম্ন ফলাফল ও প্রস্তাবিত নীতিগত পরিবর্তনের গুরুত্ব পরিষ্কার করে যে, দেশের আর্থিক অবস্থাকে সুদৃঢ় করতে সরকারকে আরও কার্যকর ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
Please Share This Post in Your Social Media
More News Of This Category
Leave a Reply