০৯:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৫২,০০০ কোটি পিছিয়ে

  • Sarakhon Report
  • ০৪:২০:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • 23

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  1. বর্তমান অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে সরকারের আয় আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৫২,০০০ কোটি টাকা কম হয়েছে, যা পরিকল্পিত রাজস্ব সংগ্রহের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
  2.  আইএমএফের চতুর্থ কিস্তির বিতরণ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে জুন পর্যন্ত স্থগিত হয়েছে, যার প্রধান কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরের পূর্বের শর্ত পূরণে বিলম্ব।

  3. প্রাক্তন কর্মকর্তারা এনবিআরের কাঠামোগত ও নীতিগত সমস্যার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, কার্যকর সংস্কার ও স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা ছাড়া আয় সংগ্রহে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সম্ভব।


  • আয়ের ঘাটতি: বর্তমান অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে সরকারের আয় আইএমএফের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৫২,০০০ কোটি টাকা কম হয়েছে।
  • ঋণ কর্মসূচি: ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তির বিতরণ অত্যধিক উচ্চাকাঙ্ক্ষী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
  1. আয় সংগ্রহের বর্তমান অবস্থা
  • মোট আয়: অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, এনবিআরসহ অন্যান্য উৎস থেকে মোট আয় হয়েছে ১৬২,৮৯২ কোটি টাকা।
  • লক্ষ্যমাত্রা ব্যর্থতা: আইএমএফের ২১৫,১২০ কোটি টাকার লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থতা দেখা দিয়েছে।
  • ট্যাক্স বৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ: বর্তমান বাজেটে ট্যাক্স সংগ্রহে ৩৪% বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল যা শুরু থেকেই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
  1. ট্যাক্স সংগ্রহের তুলনামূলক বিশ্লেষণ
  • গত বছরের তুলনায়: গত বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১৬২,২৬২ কোটি টাকা, যা প্রায় অপরিবর্তিত থেকে গেছে।
  • এনবিআর আয়: এনবিআর থেকে আয় হয়েছে ১৫৯,১৩৭ কোটি টাকা, যা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
  • অন্যান্য উৎস: এনবিআরের বাইরে থেকে আয় সংগ্রহে সামান্য হ্রাস হয়ে ৩,৭৫৫ কোটি টাকা হয়েছে, যেখানে পূর্বে তা ছিল ৩,৭৮০ কোটি টাকা।
  1. আইএমএফ তহবিল বিতরণ ও পরবর্তী পরিদর্শন
  • বিতরণের বিলম্ব: আইএমএফের চতুর্থ কিস্তি মূলত ফেব্রুয়ারিতে বিতরণের কথা ছিল, তবে তা জুন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
  • পর্যালোচনা মিশন: আগামী মাসে একটি আইএমএফ পর্যালোচনা মিশন বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে।
  • বিলম্বের কারণ: বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরের পূর্বের কিছু পদক্ষেপ সম্পন্ন না হওয়ার কারণে বিতরণে বিলম্ব হয়েছে।

  1. প্রাক্তন কর্মকর্তাদের মন্তব্য
  • মজিদের অভিযোগ: প্রাক্তন এনবিআর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুল মজিদ অভিযোগ করেছেন যে, আইএমএফ বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা না করে অত্যধিক উচ্চ লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
  • কর্মক্ষম পদক্ষেপের আহ্বান: তিনি বলেন, সরকারের উচিত ছিল এ ধরনের লক্ষ্য না গ্রহণ করে কার্যকর ট্যাক্স সংগ্রহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
  • কাঠামোগত ও নীতিগত সমস্যা: অপর প্রাক্তন চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন আহমেদ লক্ষ্যটিকে অবাস্তব বলে সমালোচনা করে এনবিআরের কাঠামোগত ও নীতিগত সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করেছেন এবং সতর্ক করে দিয়েছেন যে, স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা ছাড়া আয় সংগ্রহে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সম্ভব নয়।
  1. ট্যাক্স নীতিতে পরিবর্তন ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ
  • আইএমএফ মিশনের সুপারিশ: ডিসেম্বর মাসে আইএমএফ মিশন ট্যাক্স ছাড়, অনুগত্য বৃদ্ধি ও ট্যাক্স নীতি ও প্রশাসনের পৃথকীকরণের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছে।
  • ভবিষ্যতের সন্দেহ: আয় সংগ্রহের ধীর গতির কারণে ভবিষ্যতের বাজেট লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সংশয় রয়েছে।
  • অর্থনৈতিক প্রভাব: অর্থনীতিবিদরা সতর্ক, দীর্ঘস্থায়ী সংস্কার না হলে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, মুদ্রার বিনিময় হারের ওঠানামা এবং বহিঃস্থ ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়তে পারে।
  1. উপসংহার
  2. বর্তমান অর্থবছরে আয় সংগ্রহের নিম্ন ফলাফল ও প্রস্তাবিত নীতিগত পরিবর্তনের গুরুত্ব পরিষ্কার করে যে, দেশের আর্থিক অবস্থাকে সুদৃঢ় করতে সরকারকে আরও কার্যকর ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৫২,০০০ কোটি পিছিয়ে

০৪:২০:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  1. বর্তমান অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে সরকারের আয় আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৫২,০০০ কোটি টাকা কম হয়েছে, যা পরিকল্পিত রাজস্ব সংগ্রহের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
  2.  আইএমএফের চতুর্থ কিস্তির বিতরণ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে জুন পর্যন্ত স্থগিত হয়েছে, যার প্রধান কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরের পূর্বের শর্ত পূরণে বিলম্ব।

  3. প্রাক্তন কর্মকর্তারা এনবিআরের কাঠামোগত ও নীতিগত সমস্যার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, কার্যকর সংস্কার ও স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা ছাড়া আয় সংগ্রহে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সম্ভব।


  • আয়ের ঘাটতি: বর্তমান অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে সরকারের আয় আইএমএফের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৫২,০০০ কোটি টাকা কম হয়েছে।
  • ঋণ কর্মসূচি: ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তির বিতরণ অত্যধিক উচ্চাকাঙ্ক্ষী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
  1. আয় সংগ্রহের বর্তমান অবস্থা
  • মোট আয়: অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, এনবিআরসহ অন্যান্য উৎস থেকে মোট আয় হয়েছে ১৬২,৮৯২ কোটি টাকা।
  • লক্ষ্যমাত্রা ব্যর্থতা: আইএমএফের ২১৫,১২০ কোটি টাকার লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থতা দেখা দিয়েছে।
  • ট্যাক্স বৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ: বর্তমান বাজেটে ট্যাক্স সংগ্রহে ৩৪% বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল যা শুরু থেকেই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
  1. ট্যাক্স সংগ্রহের তুলনামূলক বিশ্লেষণ
  • গত বছরের তুলনায়: গত বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১৬২,২৬২ কোটি টাকা, যা প্রায় অপরিবর্তিত থেকে গেছে।
  • এনবিআর আয়: এনবিআর থেকে আয় হয়েছে ১৫৯,১৩৭ কোটি টাকা, যা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
  • অন্যান্য উৎস: এনবিআরের বাইরে থেকে আয় সংগ্রহে সামান্য হ্রাস হয়ে ৩,৭৫৫ কোটি টাকা হয়েছে, যেখানে পূর্বে তা ছিল ৩,৭৮০ কোটি টাকা।
  1. আইএমএফ তহবিল বিতরণ ও পরবর্তী পরিদর্শন
  • বিতরণের বিলম্ব: আইএমএফের চতুর্থ কিস্তি মূলত ফেব্রুয়ারিতে বিতরণের কথা ছিল, তবে তা জুন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
  • পর্যালোচনা মিশন: আগামী মাসে একটি আইএমএফ পর্যালোচনা মিশন বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে।
  • বিলম্বের কারণ: বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরের পূর্বের কিছু পদক্ষেপ সম্পন্ন না হওয়ার কারণে বিতরণে বিলম্ব হয়েছে।

  1. প্রাক্তন কর্মকর্তাদের মন্তব্য
  • মজিদের অভিযোগ: প্রাক্তন এনবিআর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুল মজিদ অভিযোগ করেছেন যে, আইএমএফ বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা না করে অত্যধিক উচ্চ লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
  • কর্মক্ষম পদক্ষেপের আহ্বান: তিনি বলেন, সরকারের উচিত ছিল এ ধরনের লক্ষ্য না গ্রহণ করে কার্যকর ট্যাক্স সংগ্রহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
  • কাঠামোগত ও নীতিগত সমস্যা: অপর প্রাক্তন চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন আহমেদ লক্ষ্যটিকে অবাস্তব বলে সমালোচনা করে এনবিআরের কাঠামোগত ও নীতিগত সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করেছেন এবং সতর্ক করে দিয়েছেন যে, স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা ছাড়া আয় সংগ্রহে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সম্ভব নয়।
  1. ট্যাক্স নীতিতে পরিবর্তন ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ
  • আইএমএফ মিশনের সুপারিশ: ডিসেম্বর মাসে আইএমএফ মিশন ট্যাক্স ছাড়, অনুগত্য বৃদ্ধি ও ট্যাক্স নীতি ও প্রশাসনের পৃথকীকরণের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছে।
  • ভবিষ্যতের সন্দেহ: আয় সংগ্রহের ধীর গতির কারণে ভবিষ্যতের বাজেট লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সংশয় রয়েছে।
  • অর্থনৈতিক প্রভাব: অর্থনীতিবিদরা সতর্ক, দীর্ঘস্থায়ী সংস্কার না হলে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, মুদ্রার বিনিময় হারের ওঠানামা এবং বহিঃস্থ ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়তে পারে।
  1. উপসংহার
  2. বর্তমান অর্থবছরে আয় সংগ্রহের নিম্ন ফলাফল ও প্রস্তাবিত নীতিগত পরিবর্তনের গুরুত্ব পরিষ্কার করে যে, দেশের আর্থিক অবস্থাকে সুদৃঢ় করতে সরকারকে আরও কার্যকর ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।