সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
১. অপ্রয়োজনীয় ৪ হাজারের বেশি কর্মচারী ছাটাই হবে
২.শ্রমিক ইউনিয়ন এর প্রতিবাদ করছে
৩. শিক্ষা মন্ত্রীর লিন্ডা ম্যাকমাহন বলেন, “আজকের ছাঁটাই আমাদের দক্ষতা, দায়িত্বশীলতা ও সম্পদের সঠিক ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে – যা সরাসরি শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের উপকারে আসবে।”
ট্রাম্প প্রশাসনের বৃহৎ কর্মসূচির অংশ হিসেবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই সপ্তাহে ১,৩০০-এরও বেশি কর্মচারী ছাঁটাই এবং দেশের বিভিন্ন অফিসের লিজ বাতিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে মন্ত্রণালয়ের মোট প্রায় ৪,১৩০ জন কর্মচারীর মধ্যে প্রায় অর্ধেকের ওপর প্রভাব পড়বে।
কর্মচারী ছাঁটাই ও কার্যক্রম হ্রাস
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, ছাঁটাই মূলত সেইসব দল ও কার্যক্রমকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে যেগুলো পুনরাবৃত্তিমূলক বা মন্ত্রণালয়ের মূল কাজের জন্য অপ্রয়োজনীয়। এই পদক্ষেপটি ভবিষ্যতে প্রেসিডেন্টের আসন্ন কার্যনির্দেশের আগে মন্ত্রণালয়কে পুনর্গঠনের একটি ধাপ হিসেবেও দেখাচ্ছে।
অর্থনৈতিক প্রভাব ও সুবিধা
ছাঁটাইয়ের ফলে প্রভাবিত কর্মচারীদের জন্য ৯০ দিনের অপেক্ষার সময় থাকবে, যার মধ্যে পূর্ণ বেতন, সুবিধা ও ছাড়পত্র প্রদান করা হবে। ইতোমধ্যে ২৫৯ জন কর্মচারী “বিলম্বিত পদত্যাগ” গ্রহণ করেছেন এবং অতিরিক্ত ৩১৩ জন কর্মচারী একটি কেনাকাটা প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন, যার পরবর্তী ফলশ্রুতিতে মন্ত্রণালয়ে প্রায় ২,২০০ জন কর্মচারী অবশিষ্ট থাকবে।
অফিস বন্ধ ও টেলিওয়ার্ক ব্যবস্থা
নিরাপত্তার কারণে মঙ্গলবার ওয়াশিংটন এলাকার অফিসসমূহকে বন্ধ করে কর্মচারীদের ৬টা পর্যন্ত ভবন ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়। অনুমোদিত টেলিওয়ার্ক চুক্তি থাকলে কর্মচারীরা বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন। আগামী ১৩ মার্চে সকল অফিস পুনরায় ব্যক্তিগতভাবে কাজে ফিরে আসবে। এছাড়াও, ছাঁটাইয়ের আওতায় পড়া ১,৩১৫ জন কর্মচারী আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত রিমোট কাজ করবেন এবং পরবর্তীতে ৯০ দিনের প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় ওয়াশিংটন এলাকার কার্যক্রমকে এক বিল্ডিংয়ে একত্রিত করার পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে।
প্রতিবাদ ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর, প্রাক্তন কর্মচারী, শ্রমিক ইউনিয়ন ও রাজনৈতিক নেতারা মন্ত্রণালয় সদর দফতরে সমাবেশ করে কর্মচারী ছাঁটাই এবং আসন্ন কার্যনির্দেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জানান, এই পদক্ষেপের ফলে গ্রামীণ, নিম্ন আয়ের, সংখ্যালঘু ও বিশেষ শিক্ষা প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অন্যদিকে, কিছু নেতা মনে করেন, এই পদক্ষেপটি প্রাত্যহিক বিদ্যালয় স্তরে জটিলতা কমিয়ে শিক্ষকদের কাজকে সহজ করবে।
সমাপনী মন্তব্য
শিক্ষা মন্ত্রীর লিন্ডা ম্যাকমাহন বলেন, “আজকের ছাঁটাই আমাদের দক্ষতা, দায়িত্বশীলতা ও সম্পদের সঠিক ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে – যা সরাসরি শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের উপকারে আসবে।” এই পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থার পুনর্নির্মাণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
Leave a Reply