সারাক্ষণ ডেস্ক
বার্ষিক ‘টু সেশনস’ বৈঠকে চীন ২০২৫ সালের জন্য ৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে, দেশটি রেকর্ড ৪% বাজেট ঘাটতি নির্ধারণ করেছে এবং প্রতিরক্ষা ব্যয় ৭.২% বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। এই পদক্ষেপ এসেছে এমন এক সময়ে যখন যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর নতুন ২০% শুল্ক আরোপ করে বাণিজ্য উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
প্রবৃদ্ধির পথে চ্যালেঞ্জ
এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা চীনের জন্য সহজ হবে না, কারণ দুর্বল ভোক্তা চাহিদা, চলমান সম্পত্তি সংকট এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধ থেকে বাড়তি চাপ অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেইজিং নতুন প্রণোদনা গ্রহণ করছে, যার মধ্যে রয়েছে ৪১০ বিলিয়ন ডলারের সার্বভৌম বন্ড কোটার ঘোষণা। পাশাপাশি, সরকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) বিকাশ ও বেসরকারি খাতের প্রতি আরও মনোযোগ দিচ্ছে।
বেসরকারি খাতের প্রতি জোর
চীন এখন বেসরকারি খাতকে আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বিরল প্রযুক্তি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ তার এই অবস্থানেরই ইঙ্গিত দেয়। সরকার নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে, যা বেসরকারি ব্যবসার সুরক্ষা নিশ্চিত করবে এবং অর্থনৈতিক নীতিতে তাদের ভূমিকা বাড়াবে।
নীতিগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত
বেইজিংয়ের ৪% বাজেট ঘাটতি নির্ধারণকে বিশ্লেষকরা একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন। এটি স্পষ্ট করে যে চীনের সরকার অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আগ্রাসী প্রণোদনা এবং স্থিতিশীলতার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।
Leave a Reply