কতটা কাজে লেগেছিল?

ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তিটি কতটা কার্যকর হয়েছে বা আদৌ কাজে লেগেছিল কি-না, সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

“বাস্তবতা হচ্ছে, কোনোপক্ষই চুক্তির শর্তগুলো কাজে লাগানোর জন্য অনুরোধ করেনি বা বাস্তবায়নের দিকে যায়নি,” বিবিসি বাংলাকে বলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির।

২০১৫ সালে প্রকাশিত জীবনীগ্রন্থ ‘বিপুলা পৃথিবী’তে ড. আনিসুজ্জামান লিখেছেন, “যত সমালোচনা হয়েছিল, চুক্তি তার সামান্য ভাগও কার্যকর হয়নি”।

আর এই কার্যকর না হওয়ার পেছনে ১৯৭৫ সালের পট পরিবর্তনও একটা বড় ভূমিকা রেখেছিল বলে মনে করেন মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি অরুন্ধতী ঘোষ।

“শেখ সাহেব মারা যাওয়ার পরে কিছুদিন অনেকগুলো মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং (ভুল বোঝাবুঝি) এসেছিল”, ২০১১ সালে বিবিসিকে বলেছিলেন মিজ ঘোষ।

তিনি বলেন, চুক্তির উদ্দেশ্যটা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি বলে আমি মনে করি।

“আমি যতদিন ছিলাম বন্ধুত্বটা গড়ছিল। কিন্তু অনেকগুলো মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং-ও (ভুল বোঝাবুঝি) শুরু হয়েছিল আমাদের সাইড (পক্ষ) থেকে,” বিবিসিকে বলেছিলেন মিজ ঘোষ।

১৯৯৭ সালের ১৯শে মার্চ যখন চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়, তখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ।

কিন্তু তারপরও ভারত কিংবা বাংলাদেশ কেউই এই চুক্তি আর নবায়নে আগ্রহ দেখায়নি।

বিবিসি নিউজ বাংলা