০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
নরওয়ের বড়দিনে বিতর্কিত খাবার লুটেফিস্কের প্রত্যাবর্তন, ঐতিহ্যেই ফিরছে স্বাদ প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৫) নিউজিল্যান্ডে গ্যাং প্রতীক নিষিদ্ধ: রাস্তায় শান্তি, কিন্তু অপরাধ কি সত্যিই কমল সৌদিতে বিরল তুষারপাতের পর প্রশ্ন: সংযুক্ত আরব আমিরাতেও কি আবার তুষারপাত সম্ভব? যে রিকশায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি, সেই চালকের আদালতে জবানবন্দি তারেক রহমানের নেতৃত্বে নির্বাচনে আমরা জয়ী হবো: মির্জা ফখরুল পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে বহুদলীয় গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে: নাহিদ ঢাকা-১৫ আসনে জামায়াত আমিরের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত, অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা

প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-২৪)

জোনাকি

রাগে অন্ধ হয়ে মরিয়মের দিকে তেড়ে যেতেই নাগা ঝাঁপিয়ে পড়ে আবুল হোসেনকে চেপে ধরলো। ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে এমনি করে হাড় গুঁড়ো করে দেবো’ এই বলে সে হাত মুচড়ে দিলো আবুল হোসেনের।

‘মারবি নাকি, মার মার!’

‘মারবোই তো, একশোবার মারবো’ একটা ঘুষি ছুঁড়লো নাগা অন্ধের মতো। আবুল হোসেন মেঝেয় চিত হয়ে পড়ে বললেন, ‘উপযুক্ত ছেলে বটে তুমি, মারো আরো মারো-‘

মরিয়ম দূরে সরে গিয়ে বললে, ‘শখ মিটেছে তো এবার, খুঁটে ঘা করো যেমন-‘

আবুল হোসেন উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘থামলি কেন আরো মার, লেখাপড়া শিখেছিস বাপকে ঠ্যাঙাবি বলেই তো!’

নাগা দু’পা সামনে এসে আরো একটা ঘুষি বসালো। দাঁতে দাঁত ঘষে বললে, ‘চিরকাল সহ্য করবো? যা ইচ্ছে তাই? আমি বুঝি মানুষ না? আমার কোনো মানইজ্জত নেই’

আবুল হোসেন বললেন, ‘বাহ্, বাহ্-‘

ব্যাপারটা হয়তো আরো গড়াতো, বুলু এসে দাঁড়ালো মাঝখানে। সে রুখে উঠলে। নাগাকে ঠেলে নিয়ে গেল একপাশে। বললে, ‘লজ্জা করে না তোমাদের? লোকে বলবে কি? ছি, ছি!’

আবুল হোসেন বুঝলেন না তিরস্কারটা তাঁকে না নাগাকে। বুঝবার মতো মানসিক শৃঙ্খলা আবুল হোসেনের তখন ছিলোও না। তাঁর কপালের একটা পাশ দপদপ করছিলো তখনো। বেশ কিছু পরে কাঁধে অনুভব করলেন প্রচণ্ড ব্যথা। মাত্র কিছুক্ষণ আগে গ্রামের একটা সাঁকো ভেঙে হুড়মুড় করে পড়ে গিয়েছিলেন অনেক নিচে, এইমাত্র যেন উঠে এলেন, পুরো ঘটনাটা ধীরে ধীরে দুঃস্বপ্নের মতো মনে হতে থাকে তাঁর কাছে, শেষে ফিরে আসেন নিজের ঘরে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

নরওয়ের বড়দিনে বিতর্কিত খাবার লুটেফিস্কের প্রত্যাবর্তন, ঐতিহ্যেই ফিরছে স্বাদ

প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-২৪)

১২:০০:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

জোনাকি

রাগে অন্ধ হয়ে মরিয়মের দিকে তেড়ে যেতেই নাগা ঝাঁপিয়ে পড়ে আবুল হোসেনকে চেপে ধরলো। ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে এমনি করে হাড় গুঁড়ো করে দেবো’ এই বলে সে হাত মুচড়ে দিলো আবুল হোসেনের।

‘মারবি নাকি, মার মার!’

‘মারবোই তো, একশোবার মারবো’ একটা ঘুষি ছুঁড়লো নাগা অন্ধের মতো। আবুল হোসেন মেঝেয় চিত হয়ে পড়ে বললেন, ‘উপযুক্ত ছেলে বটে তুমি, মারো আরো মারো-‘

মরিয়ম দূরে সরে গিয়ে বললে, ‘শখ মিটেছে তো এবার, খুঁটে ঘা করো যেমন-‘

আবুল হোসেন উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘থামলি কেন আরো মার, লেখাপড়া শিখেছিস বাপকে ঠ্যাঙাবি বলেই তো!’

নাগা দু’পা সামনে এসে আরো একটা ঘুষি বসালো। দাঁতে দাঁত ঘষে বললে, ‘চিরকাল সহ্য করবো? যা ইচ্ছে তাই? আমি বুঝি মানুষ না? আমার কোনো মানইজ্জত নেই’

আবুল হোসেন বললেন, ‘বাহ্, বাহ্-‘

ব্যাপারটা হয়তো আরো গড়াতো, বুলু এসে দাঁড়ালো মাঝখানে। সে রুখে উঠলে। নাগাকে ঠেলে নিয়ে গেল একপাশে। বললে, ‘লজ্জা করে না তোমাদের? লোকে বলবে কি? ছি, ছি!’

আবুল হোসেন বুঝলেন না তিরস্কারটা তাঁকে না নাগাকে। বুঝবার মতো মানসিক শৃঙ্খলা আবুল হোসেনের তখন ছিলোও না। তাঁর কপালের একটা পাশ দপদপ করছিলো তখনো। বেশ কিছু পরে কাঁধে অনুভব করলেন প্রচণ্ড ব্যথা। মাত্র কিছুক্ষণ আগে গ্রামের একটা সাঁকো ভেঙে হুড়মুড় করে পড়ে গিয়েছিলেন অনেক নিচে, এইমাত্র যেন উঠে এলেন, পুরো ঘটনাটা ধীরে ধীরে দুঃস্বপ্নের মতো মনে হতে থাকে তাঁর কাছে, শেষে ফিরে আসেন নিজের ঘরে।