০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-২৪)

জোনাকি

রাগে অন্ধ হয়ে মরিয়মের দিকে তেড়ে যেতেই নাগা ঝাঁপিয়ে পড়ে আবুল হোসেনকে চেপে ধরলো। ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে এমনি করে হাড় গুঁড়ো করে দেবো’ এই বলে সে হাত মুচড়ে দিলো আবুল হোসেনের।

‘মারবি নাকি, মার মার!’

‘মারবোই তো, একশোবার মারবো’ একটা ঘুষি ছুঁড়লো নাগা অন্ধের মতো। আবুল হোসেন মেঝেয় চিত হয়ে পড়ে বললেন, ‘উপযুক্ত ছেলে বটে তুমি, মারো আরো মারো-‘

মরিয়ম দূরে সরে গিয়ে বললে, ‘শখ মিটেছে তো এবার, খুঁটে ঘা করো যেমন-‘

আবুল হোসেন উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘থামলি কেন আরো মার, লেখাপড়া শিখেছিস বাপকে ঠ্যাঙাবি বলেই তো!’

নাগা দু’পা সামনে এসে আরো একটা ঘুষি বসালো। দাঁতে দাঁত ঘষে বললে, ‘চিরকাল সহ্য করবো? যা ইচ্ছে তাই? আমি বুঝি মানুষ না? আমার কোনো মানইজ্জত নেই’

আবুল হোসেন বললেন, ‘বাহ্, বাহ্-‘

ব্যাপারটা হয়তো আরো গড়াতো, বুলু এসে দাঁড়ালো মাঝখানে। সে রুখে উঠলে। নাগাকে ঠেলে নিয়ে গেল একপাশে। বললে, ‘লজ্জা করে না তোমাদের? লোকে বলবে কি? ছি, ছি!’

আবুল হোসেন বুঝলেন না তিরস্কারটা তাঁকে না নাগাকে। বুঝবার মতো মানসিক শৃঙ্খলা আবুল হোসেনের তখন ছিলোও না। তাঁর কপালের একটা পাশ দপদপ করছিলো তখনো। বেশ কিছু পরে কাঁধে অনুভব করলেন প্রচণ্ড ব্যথা। মাত্র কিছুক্ষণ আগে গ্রামের একটা সাঁকো ভেঙে হুড়মুড় করে পড়ে গিয়েছিলেন অনেক নিচে, এইমাত্র যেন উঠে এলেন, পুরো ঘটনাটা ধীরে ধীরে দুঃস্বপ্নের মতো মনে হতে থাকে তাঁর কাছে, শেষে ফিরে আসেন নিজের ঘরে।

 

প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-২৪)

১২:০০:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

জোনাকি

রাগে অন্ধ হয়ে মরিয়মের দিকে তেড়ে যেতেই নাগা ঝাঁপিয়ে পড়ে আবুল হোসেনকে চেপে ধরলো। ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে এমনি করে হাড় গুঁড়ো করে দেবো’ এই বলে সে হাত মুচড়ে দিলো আবুল হোসেনের।

‘মারবি নাকি, মার মার!’

‘মারবোই তো, একশোবার মারবো’ একটা ঘুষি ছুঁড়লো নাগা অন্ধের মতো। আবুল হোসেন মেঝেয় চিত হয়ে পড়ে বললেন, ‘উপযুক্ত ছেলে বটে তুমি, মারো আরো মারো-‘

মরিয়ম দূরে সরে গিয়ে বললে, ‘শখ মিটেছে তো এবার, খুঁটে ঘা করো যেমন-‘

আবুল হোসেন উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘থামলি কেন আরো মার, লেখাপড়া শিখেছিস বাপকে ঠ্যাঙাবি বলেই তো!’

নাগা দু’পা সামনে এসে আরো একটা ঘুষি বসালো। দাঁতে দাঁত ঘষে বললে, ‘চিরকাল সহ্য করবো? যা ইচ্ছে তাই? আমি বুঝি মানুষ না? আমার কোনো মানইজ্জত নেই’

আবুল হোসেন বললেন, ‘বাহ্, বাহ্-‘

ব্যাপারটা হয়তো আরো গড়াতো, বুলু এসে দাঁড়ালো মাঝখানে। সে রুখে উঠলে। নাগাকে ঠেলে নিয়ে গেল একপাশে। বললে, ‘লজ্জা করে না তোমাদের? লোকে বলবে কি? ছি, ছি!’

আবুল হোসেন বুঝলেন না তিরস্কারটা তাঁকে না নাগাকে। বুঝবার মতো মানসিক শৃঙ্খলা আবুল হোসেনের তখন ছিলোও না। তাঁর কপালের একটা পাশ দপদপ করছিলো তখনো। বেশ কিছু পরে কাঁধে অনুভব করলেন প্রচণ্ড ব্যথা। মাত্র কিছুক্ষণ আগে গ্রামের একটা সাঁকো ভেঙে হুড়মুড় করে পড়ে গিয়েছিলেন অনেক নিচে, এইমাত্র যেন উঠে এলেন, পুরো ঘটনাটা ধীরে ধীরে দুঃস্বপ্নের মতো মনে হতে থাকে তাঁর কাছে, শেষে ফিরে আসেন নিজের ঘরে।