০৬:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
নগরজীবনে মানিয়ে নিচ্ছে বন্যপ্রাণী গ্লোবাল কনটেন্টে ঝুঁকছে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম তীব্র তাপে বিশ্বজুড়ে বিদ্যুৎ গ্রিডে চাপ বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে বোমা নিক্ষেপ, নিহত এক পথচারী অসম ভিআইপি সুবিধা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন: নির্বাচন কমিশনকে জানাল জামায়াত বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটিতে টানা তিন দিন বন্ধ ব্যাংক ও শেয়ারবাজার বৃহস্পতিবার দেশে পালিত হবে বড়দিন, উৎসব ঘিরে শুভেচ্ছা ও বাড়তি নিরাপত্তা উপেক্ষিত রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থানে বিশ্বব্যাংকের নতুন অর্থায়ন, বাংলাদেশে অনুমোদন ১৫০ কোটি ডলার

ডেমোক্র্যাটদের থেকে অনুদান দাতারা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে – মুভঅনের হুশিয়ারি

  • Sarakhon Report
  • ১০:০০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
  • 165

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তারা আরও সক্রিয় না হলে তৃণমূল সমর্থকদের ক্ষোভ বাড়বে
  • ৭৮% সদস্য মনে করেন, কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পকে ঠেকাতে যথেষ্ট যোগ্য নয়
  • ডেমোক্র্যাটরা নীরব থাকলে দলীয় স্বেচ্ছাসেবক ও অনুদানদাতারা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রভাবশালী প্রগতিশীল সংগঠন মুভঅন ডেমোক্র্যাট নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর বিরুদ্ধে যদি তারা আরও সক্রিয় না হন, তবে তৃণমূল সমর্থকদের ক্ষোভ বেড়েই চলবে। সংগঠনের ভাষ্য অনুযায়ী, ডেমোক্র্যাটরা যদি নীরব থাকে, তাহলে দলীয় স্বেচ্ছাসেবক ও অনুদানদাতারা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন।

শুমার ও জেফরিসকে লেখা চিঠিতে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ

মুভঅন-এর নির্বাহী পরিচালক রাহনা এপটিং এক চিঠিতে সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার এবং হাউসের ডেমোক্র্যাট নেতা হাকিম জেফরিস-কে স্পষ্ট বার্তা দেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটদের নিষ্ক্রিয়তা দলের ভেতরেই অসন্তোষ তৈরি করছে।

তিনি লেখেন:

“এখন আর পুরনো রাজনীতির নিয়মে চললে চলবে না। রুখে দাঁড়ান—পিছু হটবেন না।”

চিঠিতে আরও বলা হয়, যদি নেতৃত্ব আরও সাহসী না হয়, তাহলে সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক ও দাতারা তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করতে পারে।

দলের মধ্যেই শুমারের ওপর চাপ বাড়ছে

এই বার্তা এমন সময়ে এসেছে, যখন নিজ দলের ভেতর থেকেই চাক শুমার-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে। রিপাবলিকানদের সাময়িক বাজেট বিলের পক্ষে ভোট দেওয়ার পর অনেকেই তার পদত্যাগ দাবি করছেন।

চারটি যুব-ভিত্তিক প্রগতিশীল সংগঠন শুমারকে বলেছে, তিনি যেন নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন বা পদত্যাগ করেন। আরেকটি লিবারেল গ্রুপ ইনডিভিজিবল-ও তার পদত্যাগ দাবি করেছে। এমনকি কিছু ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতাও মনে করছেন, শুমারের সময় শেষ।

জরিপে স্পষ্ট তৃণমূলের অসন্তোষ

মুভঅন পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে,

  • ৭৮% সদস্য মনে করেন, কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পকে ঠেকাতে যথেষ্ট যোগ্য না।
  • ৪৯% বলেছে, দলের প্রতিক্রিয়া দেখে তারা আর স্বেচ্ছাসেবী বা দাতা হতে আগ্রহী নন।
  • ৮৯% সদস্য মনে করেন, ডেমোক্র্যাটদের আরও আগ্রাসী হতে হবে।
  • মাত্র ৪% সদস্য প্রচলিত কংগ্রেসীয় নিয়ম মানার পক্ষে।

রাহনা এপটিং বলেন,

“আমাদের সদস্যদের হতাশা এখন চরমে পৌঁছেছে।”

শুমারের আত্মপক্ষ সমর্থন: কম খারাপটা বেছে নিয়েছি

চাক শুমার দাবি করেছেন, তিনি রিপাবলিকানদের বাজেট প্রস্তাবে ভোট দিয়েছেন কারণ সেটি ছিল দুটি খারাপ বিকল্পের মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিকর।
তার ভাষায়, সরকারি শাটডাউন হলে ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের মতো ধনকুবেররা আরও ক্ষমতাধর হতেন।

এনবিসির “মিট দ্য প্রেস” অনুষ্ঠানে রোববার তিনি জানান,

“আমি পদত্যাগ করছি না।”

তিনি বলেন,

“বিলটি খারাপ ছিল, তবে শাটডাউন হলে পরিস্থিতি ১৫-২০ গুণ খারাপ হতো।”

সংক্ষেপে:

প্রগতিশীল সংগঠনগুলো এখন ডেমোক্র্যাট নেতাদের কাছে আরও জোরালো অবস্থান আশা করছে। ট্রাম্পের মতো নেতার বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ না গড়ে তুললে দলীয় তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের আস্থা হারানোর আশঙ্কা বাড়ছে। ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বের জন্য এখন সময় এসেছে, নীরবতা না চালিয়ে সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার।

জনপ্রিয় সংবাদ

নগরজীবনে মানিয়ে নিচ্ছে বন্যপ্রাণী

ডেমোক্র্যাটদের থেকে অনুদান দাতারা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে – মুভঅনের হুশিয়ারি

১০:০০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তারা আরও সক্রিয় না হলে তৃণমূল সমর্থকদের ক্ষোভ বাড়বে
  • ৭৮% সদস্য মনে করেন, কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পকে ঠেকাতে যথেষ্ট যোগ্য নয়
  • ডেমোক্র্যাটরা নীরব থাকলে দলীয় স্বেচ্ছাসেবক ও অনুদানদাতারা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রভাবশালী প্রগতিশীল সংগঠন মুভঅন ডেমোক্র্যাট নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর বিরুদ্ধে যদি তারা আরও সক্রিয় না হন, তবে তৃণমূল সমর্থকদের ক্ষোভ বেড়েই চলবে। সংগঠনের ভাষ্য অনুযায়ী, ডেমোক্র্যাটরা যদি নীরব থাকে, তাহলে দলীয় স্বেচ্ছাসেবক ও অনুদানদাতারা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন।

শুমার ও জেফরিসকে লেখা চিঠিতে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ

মুভঅন-এর নির্বাহী পরিচালক রাহনা এপটিং এক চিঠিতে সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার এবং হাউসের ডেমোক্র্যাট নেতা হাকিম জেফরিস-কে স্পষ্ট বার্তা দেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটদের নিষ্ক্রিয়তা দলের ভেতরেই অসন্তোষ তৈরি করছে।

তিনি লেখেন:

“এখন আর পুরনো রাজনীতির নিয়মে চললে চলবে না। রুখে দাঁড়ান—পিছু হটবেন না।”

চিঠিতে আরও বলা হয়, যদি নেতৃত্ব আরও সাহসী না হয়, তাহলে সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক ও দাতারা তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করতে পারে।

দলের মধ্যেই শুমারের ওপর চাপ বাড়ছে

এই বার্তা এমন সময়ে এসেছে, যখন নিজ দলের ভেতর থেকেই চাক শুমার-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে। রিপাবলিকানদের সাময়িক বাজেট বিলের পক্ষে ভোট দেওয়ার পর অনেকেই তার পদত্যাগ দাবি করছেন।

চারটি যুব-ভিত্তিক প্রগতিশীল সংগঠন শুমারকে বলেছে, তিনি যেন নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন বা পদত্যাগ করেন। আরেকটি লিবারেল গ্রুপ ইনডিভিজিবল-ও তার পদত্যাগ দাবি করেছে। এমনকি কিছু ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতাও মনে করছেন, শুমারের সময় শেষ।

জরিপে স্পষ্ট তৃণমূলের অসন্তোষ

মুভঅন পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে,

  • ৭৮% সদস্য মনে করেন, কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পকে ঠেকাতে যথেষ্ট যোগ্য না।
  • ৪৯% বলেছে, দলের প্রতিক্রিয়া দেখে তারা আর স্বেচ্ছাসেবী বা দাতা হতে আগ্রহী নন।
  • ৮৯% সদস্য মনে করেন, ডেমোক্র্যাটদের আরও আগ্রাসী হতে হবে।
  • মাত্র ৪% সদস্য প্রচলিত কংগ্রেসীয় নিয়ম মানার পক্ষে।

রাহনা এপটিং বলেন,

“আমাদের সদস্যদের হতাশা এখন চরমে পৌঁছেছে।”

শুমারের আত্মপক্ষ সমর্থন: কম খারাপটা বেছে নিয়েছি

চাক শুমার দাবি করেছেন, তিনি রিপাবলিকানদের বাজেট প্রস্তাবে ভোট দিয়েছেন কারণ সেটি ছিল দুটি খারাপ বিকল্পের মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিকর।
তার ভাষায়, সরকারি শাটডাউন হলে ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের মতো ধনকুবেররা আরও ক্ষমতাধর হতেন।

এনবিসির “মিট দ্য প্রেস” অনুষ্ঠানে রোববার তিনি জানান,

“আমি পদত্যাগ করছি না।”

তিনি বলেন,

“বিলটি খারাপ ছিল, তবে শাটডাউন হলে পরিস্থিতি ১৫-২০ গুণ খারাপ হতো।”

সংক্ষেপে:

প্রগতিশীল সংগঠনগুলো এখন ডেমোক্র্যাট নেতাদের কাছে আরও জোরালো অবস্থান আশা করছে। ট্রাম্পের মতো নেতার বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ না গড়ে তুললে দলীয় তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের আস্থা হারানোর আশঙ্কা বাড়ছে। ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বের জন্য এখন সময় এসেছে, নীরবতা না চালিয়ে সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার।