সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
- ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তারা আরও সক্রিয় না হলে তৃণমূল সমর্থকদের ক্ষোভ বাড়বে
- ৭৮% সদস্য মনে করেন, কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পকে ঠেকাতে যথেষ্ট যোগ্য নয়
- ডেমোক্র্যাটরা নীরব থাকলে দলীয় স্বেচ্ছাসেবক ও অনুদানদাতারা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রভাবশালী প্রগতিশীল সংগঠন মুভঅন ডেমোক্র্যাট নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর বিরুদ্ধে যদি তারা আরও সক্রিয় না হন, তবে তৃণমূল সমর্থকদের ক্ষোভ বেড়েই চলবে। সংগঠনের ভাষ্য অনুযায়ী, ডেমোক্র্যাটরা যদি নীরব থাকে, তাহলে দলীয় স্বেচ্ছাসেবক ও অনুদানদাতারা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন।
শুমার ও জেফরিসকে লেখা চিঠিতে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ
মুভঅন-এর নির্বাহী পরিচালক রাহনা এপটিং এক চিঠিতে সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার এবং হাউসের ডেমোক্র্যাট নেতা হাকিম জেফরিস-কে স্পষ্ট বার্তা দেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটদের নিষ্ক্রিয়তা দলের ভেতরেই অসন্তোষ তৈরি করছে।
তিনি লেখেন:
“এখন আর পুরনো রাজনীতির নিয়মে চললে চলবে না। রুখে দাঁড়ান—পিছু হটবেন না।”
চিঠিতে আরও বলা হয়, যদি নেতৃত্ব আরও সাহসী না হয়, তাহলে সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক ও দাতারা তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করতে পারে।
দলের মধ্যেই শুমারের ওপর চাপ বাড়ছে
এই বার্তা এমন সময়ে এসেছে, যখন নিজ দলের ভেতর থেকেই চাক শুমার-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে। রিপাবলিকানদের সাময়িক বাজেট বিলের পক্ষে ভোট দেওয়ার পর অনেকেই তার পদত্যাগ দাবি করছেন।
চারটি যুব-ভিত্তিক প্রগতিশীল সংগঠন শুমারকে বলেছে, তিনি যেন নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন বা পদত্যাগ করেন। আরেকটি লিবারেল গ্রুপ ইনডিভিজিবল-ও তার পদত্যাগ দাবি করেছে। এমনকি কিছু ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতাও মনে করছেন, শুমারের সময় শেষ।
জরিপে স্পষ্ট তৃণমূলের অসন্তোষ
মুভঅন পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে,
- ৭৮% সদস্য মনে করেন, কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পকে ঠেকাতে যথেষ্ট যোগ্য না।
- ৪৯% বলেছে, দলের প্রতিক্রিয়া দেখে তারা আর স্বেচ্ছাসেবী বা দাতা হতে আগ্রহী নন।
- ৮৯% সদস্য মনে করেন, ডেমোক্র্যাটদের আরও আগ্রাসী হতে হবে।
- মাত্র ৪% সদস্য প্রচলিত কংগ্রেসীয় নিয়ম মানার পক্ষে।
রাহনা এপটিং বলেন,
“আমাদের সদস্যদের হতাশা এখন চরমে পৌঁছেছে।”
শুমারের আত্মপক্ষ সমর্থন: ‘কম খারাপটা বেছে নিয়েছি’
চাক শুমার দাবি করেছেন, তিনি রিপাবলিকানদের বাজেট প্রস্তাবে ভোট দিয়েছেন কারণ সেটি ছিল দুটি খারাপ বিকল্পের মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিকর।
তার ভাষায়, সরকারি শাটডাউন হলে ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের মতো ধনকুবেররা আরও ক্ষমতাধর হতেন।
এনবিসির “মিট দ্য প্রেস” অনুষ্ঠানে রোববার তিনি জানান,
“আমি পদত্যাগ করছি না।”
তিনি বলেন,
“বিলটি খারাপ ছিল, তবে শাটডাউন হলে পরিস্থিতি ১৫-২০ গুণ খারাপ হতো।”
সংক্ষেপে:
প্রগতিশীল সংগঠনগুলো এখন ডেমোক্র্যাট নেতাদের কাছে আরও জোরালো অবস্থান আশা করছে। ট্রাম্পের মতো নেতার বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ না গড়ে তুললে দলীয় তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের আস্থা হারানোর আশঙ্কা বাড়ছে। ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বের জন্য এখন সময় এসেছে, নীরবতা না চালিয়ে সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার।