০৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

আমি একজন স্নায়ুবিশেষজ্ঞ — আমার মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে আমি এই ৮টি খাদ্য গ্রহণ করি

  • Sarakhon Report
  • ১০:০০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • 26

সারাক্ষণ রিপোর্ট

মস্তিষ্কের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের রক্ত সরবরাহের প্রায় ২৫% মস্তিষ্কে যায়, তাই হৃদয়, রক্তনালী ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষায় পুষ্টিকর খাদ্যের ভূমিকা অপরিহার্য। অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড চর্বি, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট এবং অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত করে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস, স্ট্রোক ও ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করলে মস্তিষ্কের বয়সজনিত ক্ষয় ধীর হতে পারে ও আলঝাইমারের ঝুঁকি কমতে সহায়ক।

মস্তিষ্ক সুস্থ রাখার ৮টি প্রধান খাদ্য

১. বন্য মাছ

  • তাজা, চর্বিযুক্ত মাছ যেমন স্যামন, গ্রুপার ও হ্যালিবুট ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ।
  • ওমেগা-৩ প্রদাহ প্রতিরোধে সহায়ক, তাই সম্ভব হলে বন্য মাছ বেছে নিন।

২. পাতা সবজি

  • শাকসবজিতে প্রচুর ফাইবার, ফলেট, লিউটিন ও বিটা-ক্যারোটিন থাকে।
  • বোক চয়, অ্যাসপারাগাস বা ব্রোকোলিনি স্টিম, ব্লাঞ্চ করে সহজে প্রস্তুত করা যায়।
  • ফাইবার পেটের সুস্থতা বজায় রেখে মস্তিষ্কের কার্যক্রমে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

৩. টমেটো

  • টমেটোতে লাইকোপেন নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
  • স্যালাড, সস বা অন্যান্য খাবারে ব্যবহার করা যায়।

৪. বাদাম ও বেরি

  • আখরোটের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটের অনুপাত বেশি, যা মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।
  • প্রতিদিন প্রায় সকালে ব্লুবেরি গ্রহণ করলে ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাধ্যমে স্ট্রেসের প্রভাব কমে।
  • রাতের নাস্তা হিসেবে স্টীল-কাট ওটস, তাজা বেরি ও আখরোট একত্রে দারুণ পুষ্টিকর।

৫. জলপাই তেল

  • মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটে ভরপুর, যা ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়ায়।
  • রান্না, সালাদ ড্রেসিং ও ডিপ হিসেবে ব্যবহার করুন, তবে তেলে ভাজা এড়িয়ে চলুন।

৬. হলুদ ও আদা

  • হলুদে উপস্থিত কুরকুমিন একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-নিরোধক উপাদান যা আলঝাইমারের লক্ষণগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে।
  • কালো মরিচের সঙ্গে মেশালে কুরকুমিনের শোষণ বৃদ্ধি পায়।
  • আদা মশলাদার স্বাদের পাশাপাশি ফাইবার সরবরাহ করে যা মস্তিষ্কের কার্যক্রমে সহায়ক।

৭. কফি ও চা

  • চা ও কফি উভয়েই ফ্ল্যাভোনয়েডে সমৃদ্ধ যা রক্তে গ্লাইসেমিক নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
  • ক্যাফেইন মনোযোগ বৃদ্ধি ও কার্যক্ষমতা বাড়ায়, তবে সঠিক পরিমানে গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়।

৮. বাড়িতে তৈরি পপকর্ন

  • স্বল্প খরচে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে তাজা পপকর্ন উপভোগ করুন।
  • সিলিকন পপকর্ন মেশিনে ক্যানোলা তেল দিয়ে প্রস্তুত করুন, পরে অলিভ তেল, নিউট্রিশনাল ইস্ট ও সামান্য লবণ দিয়ে স্বাদ বৃদ্ধি করুন।
  • এটি সাধারণ চিপসের তুলনায় অনেকই বেশি পুষ্টিকর ও তৃপ্তিদায়ক।

উপসংহার

পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বজায় রাখতে এবং নেউরোডিজেনারেশন ধীর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন বা সপ্তাহে এই ৮টি খাদ্যকে আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে, আপনি দীর্ঘমেয়াদে মস্তিষ্ক ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি নিশ্চিত করতে পারবেন।

বাংলা নাটকের সুপারস্টার অপূর্বের জন্মদিন আজ

আমি একজন স্নায়ুবিশেষজ্ঞ — আমার মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে আমি এই ৮টি খাদ্য গ্রহণ করি

১০:০০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

মস্তিষ্কের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের রক্ত সরবরাহের প্রায় ২৫% মস্তিষ্কে যায়, তাই হৃদয়, রক্তনালী ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষায় পুষ্টিকর খাদ্যের ভূমিকা অপরিহার্য। অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড চর্বি, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট এবং অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত করে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস, স্ট্রোক ও ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করলে মস্তিষ্কের বয়সজনিত ক্ষয় ধীর হতে পারে ও আলঝাইমারের ঝুঁকি কমতে সহায়ক।

মস্তিষ্ক সুস্থ রাখার ৮টি প্রধান খাদ্য

১. বন্য মাছ

  • তাজা, চর্বিযুক্ত মাছ যেমন স্যামন, গ্রুপার ও হ্যালিবুট ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ।
  • ওমেগা-৩ প্রদাহ প্রতিরোধে সহায়ক, তাই সম্ভব হলে বন্য মাছ বেছে নিন।

২. পাতা সবজি

  • শাকসবজিতে প্রচুর ফাইবার, ফলেট, লিউটিন ও বিটা-ক্যারোটিন থাকে।
  • বোক চয়, অ্যাসপারাগাস বা ব্রোকোলিনি স্টিম, ব্লাঞ্চ করে সহজে প্রস্তুত করা যায়।
  • ফাইবার পেটের সুস্থতা বজায় রেখে মস্তিষ্কের কার্যক্রমে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

৩. টমেটো

  • টমেটোতে লাইকোপেন নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
  • স্যালাড, সস বা অন্যান্য খাবারে ব্যবহার করা যায়।

৪. বাদাম ও বেরি

  • আখরোটের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটের অনুপাত বেশি, যা মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।
  • প্রতিদিন প্রায় সকালে ব্লুবেরি গ্রহণ করলে ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাধ্যমে স্ট্রেসের প্রভাব কমে।
  • রাতের নাস্তা হিসেবে স্টীল-কাট ওটস, তাজা বেরি ও আখরোট একত্রে দারুণ পুষ্টিকর।

৫. জলপাই তেল

  • মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটে ভরপুর, যা ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়ায়।
  • রান্না, সালাদ ড্রেসিং ও ডিপ হিসেবে ব্যবহার করুন, তবে তেলে ভাজা এড়িয়ে চলুন।

৬. হলুদ ও আদা

  • হলুদে উপস্থিত কুরকুমিন একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-নিরোধক উপাদান যা আলঝাইমারের লক্ষণগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে।
  • কালো মরিচের সঙ্গে মেশালে কুরকুমিনের শোষণ বৃদ্ধি পায়।
  • আদা মশলাদার স্বাদের পাশাপাশি ফাইবার সরবরাহ করে যা মস্তিষ্কের কার্যক্রমে সহায়ক।

৭. কফি ও চা

  • চা ও কফি উভয়েই ফ্ল্যাভোনয়েডে সমৃদ্ধ যা রক্তে গ্লাইসেমিক নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
  • ক্যাফেইন মনোযোগ বৃদ্ধি ও কার্যক্ষমতা বাড়ায়, তবে সঠিক পরিমানে গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়।

৮. বাড়িতে তৈরি পপকর্ন

  • স্বল্প খরচে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে তাজা পপকর্ন উপভোগ করুন।
  • সিলিকন পপকর্ন মেশিনে ক্যানোলা তেল দিয়ে প্রস্তুত করুন, পরে অলিভ তেল, নিউট্রিশনাল ইস্ট ও সামান্য লবণ দিয়ে স্বাদ বৃদ্ধি করুন।
  • এটি সাধারণ চিপসের তুলনায় অনেকই বেশি পুষ্টিকর ও তৃপ্তিদায়ক।

উপসংহার

পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বজায় রাখতে এবং নেউরোডিজেনারেশন ধীর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন বা সপ্তাহে এই ৮টি খাদ্যকে আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে, আপনি দীর্ঘমেয়াদে মস্তিষ্ক ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি নিশ্চিত করতে পারবেন।