০৭:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
আসিফ মাহমুদের হাতব্যাগে গুলির ম্যাগাজিন, আলোচনায় কয়েকটি প্রশ্ন মুরাদনগরের ধর্ষনের ঘটনায় ৩৭ নাগরিকের বিবৃতি এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং এ আবার সমস্যা:  টোকিও-দিল্লি ফ্লাইট কলকাতায় অবতরণ নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র নিয়ে বিএনপি নেতাদের শঙ্কা মুরাদনগর ঘটনা নারীর নিরাপত্তাহীনতার প্রকাশ নিরাপত্তাহীন কর্মস্থল: ছয় মাসে ৪২২ শ্রমিকের মৃত্যু দেশে আরো ৫০ লাখ মানুষ দরিদ্র সীমার নীচে চলে যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বিলম্বে সামান্য উন্নতি চীনা কারখানা কার্যক্রমে, তবে সংকোচন অব্যাহত জন্ডিস রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি রোধে সতর্কতা কীর্তনখোলা নদী: বরিশালের প্রাণ, দুই শতকের ইতিহাস ও বর্তমান বাস্তবতা

সাগরে গ্যাস খোঁজায় এলো না কেউ, বাড়তে পারে গ্যাসে দাম

  • Sarakhon Report
  • ০৪:৪৭:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • 43

সারাক্ষণ রিপোর্ট

অফশোরে আগ্রহের ঘাটতি: মূল কারণ

২০২৩ সালের মার্চে বাংলাদেশ সরকার সমুদ্রভিত্তিক (অফশোর) গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য উৎপাদন বণ্টন চুক্তি (PSC) অনুযায়ী আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছিল। সাতটি বিদেশি কোম্পানি দরপত্র সংগ্রহ করলেও কেউই অংশ নেয়নি। তারা জানিয়েছে, দরপত্রের শর্তাবলি, তথ্যঘাটতি এবং সম্ভাব্য গ্যাস রিজার্ভ তাদের কাছে লাভজনক মনে হয়নি। ফলে, সম্ভাবনা থাকলেও তারা পেছিয়ে এসেছে।

গ্যাস উৎপাদনের বর্তমান চিত্র

দেশে বর্তমানে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে ১,৮৫৮ মিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি শেভরন একাই উত্তোলন করছে ১,১৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট। বাকি পরিমাণ উৎপাদন করছে দেশীয় তিনটি কোম্পানি, যাদের সম্মিলিত উৎপাদন ৭২০ মিলিয়ন ঘনফুটের সামান্য বেশি। স্থানীয় উৎপাদন ক্রমেই কমে যাওয়ায় বিকল্প উৎস হিসেবে স্থলভাগে (অনশোর) অনুসন্ধান এখন সময়ের দাবি।

অনশোর অনুসন্ধানের সম্ভাবনা ও প্রস্তুতি

দেশের স্থলভাগে বর্তমানে ২২টি অনুসন্ধান ব্লকের মধ্যে ১১টি এখনো ব্যবহার হয়নি। এই ব্লকগুলো হলো:
১, ২এ, ২বি, ৩এ, ৪এ, ৪বি, ৫, ৬এ, ২২এ, ২২বি ও ২৩।
এসব ব্লকে অনুসন্ধানের জন্য পেট্রোবাংলা আন্তর্জাতিক কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি দেশীয় কোম্পানির অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে নতুন PSC-তে সুবিধাজনক শর্ত সংযোজন করা হচ্ছে।

পিএসসি হালনাগাদের প্রক্রিয়া

অনশোর অনুসন্ধানকে এগিয়ে নিতে পেট্রোবাংলা যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক সংস্থা উড ম্যাকেঞ্জি দ্বারা প্রস্তুতকৃত নতুন PSC-এর চূড়ান্ত খসড়া হাতে পেয়েছে। খসড়াটি জ্বালানি বিভাগের বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছ থেকে সংশোধন ও সুপারিশ পেয়েছে এবং তা পর্যালোচনা শেষে আইন মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, জুন মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হবে।

গ্যাসের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা

পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, অনশোর গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমকে আরও আকর্ষণীয় করতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে দেশীয় উৎস থেকে উৎপাদন বাড়িয়ে জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করা সম্ভব হবে।

উপসংহার

সাগরে বিদেশি আগ্রহ না থাকায় পেট্রোবাংলা এখন স্থলভাগের গ্যাস অনুসন্ধানে জোর দিচ্ছে। দ্রুত অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করতে পিএসসি হালনাগাদসহ নীতিগত প্রস্তুতি চলমান। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে দেশি ও বিদেশি কোম্পানির যৌথ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, যাতে দেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণ এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা যায়।

 

আসিফ মাহমুদের হাতব্যাগে গুলির ম্যাগাজিন, আলোচনায় কয়েকটি প্রশ্ন

সাগরে গ্যাস খোঁজায় এলো না কেউ, বাড়তে পারে গ্যাসে দাম

০৪:৪৭:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

অফশোরে আগ্রহের ঘাটতি: মূল কারণ

২০২৩ সালের মার্চে বাংলাদেশ সরকার সমুদ্রভিত্তিক (অফশোর) গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য উৎপাদন বণ্টন চুক্তি (PSC) অনুযায়ী আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছিল। সাতটি বিদেশি কোম্পানি দরপত্র সংগ্রহ করলেও কেউই অংশ নেয়নি। তারা জানিয়েছে, দরপত্রের শর্তাবলি, তথ্যঘাটতি এবং সম্ভাব্য গ্যাস রিজার্ভ তাদের কাছে লাভজনক মনে হয়নি। ফলে, সম্ভাবনা থাকলেও তারা পেছিয়ে এসেছে।

গ্যাস উৎপাদনের বর্তমান চিত্র

দেশে বর্তমানে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে ১,৮৫৮ মিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি শেভরন একাই উত্তোলন করছে ১,১৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট। বাকি পরিমাণ উৎপাদন করছে দেশীয় তিনটি কোম্পানি, যাদের সম্মিলিত উৎপাদন ৭২০ মিলিয়ন ঘনফুটের সামান্য বেশি। স্থানীয় উৎপাদন ক্রমেই কমে যাওয়ায় বিকল্প উৎস হিসেবে স্থলভাগে (অনশোর) অনুসন্ধান এখন সময়ের দাবি।

অনশোর অনুসন্ধানের সম্ভাবনা ও প্রস্তুতি

দেশের স্থলভাগে বর্তমানে ২২টি অনুসন্ধান ব্লকের মধ্যে ১১টি এখনো ব্যবহার হয়নি। এই ব্লকগুলো হলো:
১, ২এ, ২বি, ৩এ, ৪এ, ৪বি, ৫, ৬এ, ২২এ, ২২বি ও ২৩।
এসব ব্লকে অনুসন্ধানের জন্য পেট্রোবাংলা আন্তর্জাতিক কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি দেশীয় কোম্পানির অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে নতুন PSC-তে সুবিধাজনক শর্ত সংযোজন করা হচ্ছে।

পিএসসি হালনাগাদের প্রক্রিয়া

অনশোর অনুসন্ধানকে এগিয়ে নিতে পেট্রোবাংলা যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক সংস্থা উড ম্যাকেঞ্জি দ্বারা প্রস্তুতকৃত নতুন PSC-এর চূড়ান্ত খসড়া হাতে পেয়েছে। খসড়াটি জ্বালানি বিভাগের বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছ থেকে সংশোধন ও সুপারিশ পেয়েছে এবং তা পর্যালোচনা শেষে আইন মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, জুন মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হবে।

গ্যাসের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা

পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, অনশোর গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমকে আরও আকর্ষণীয় করতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে দেশীয় উৎস থেকে উৎপাদন বাড়িয়ে জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করা সম্ভব হবে।

উপসংহার

সাগরে বিদেশি আগ্রহ না থাকায় পেট্রোবাংলা এখন স্থলভাগের গ্যাস অনুসন্ধানে জোর দিচ্ছে। দ্রুত অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করতে পিএসসি হালনাগাদসহ নীতিগত প্রস্তুতি চলমান। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে দেশি ও বিদেশি কোম্পানির যৌথ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, যাতে দেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণ এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা যায়।