১২:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
আলোকে শিল্পে রূপ দেওয়া লিন্ডসি অ্যাডেলম্যান পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ ‘ইনল্যান্ড টাইপ্যান’: প্রাণঘাতী বিষ, শান্ত স্বভাবের এই সরীসৃপের অজানা বিস্ময় কুমিল্লায় দায়িত্ব পালনকালে অসুস্থ হয়ে পুলিশের মৃত্যু রবিবার থেকে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা ভিয়েতনামী ঔপন্যাসিক ড. ফান কুয়ে মাই শারজাহ বইমেলায় পাঠকদের মুগ্ধ করলেন মংলায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ প্রবাসী নারী পর্যটক ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ৮৩৪ জন পাকিস্তানের দুর্ভিক্ষের বছর? প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রত্যাশীদের আমরণ অনশন ৬৫ ঘণ্টা অতিক্রম, সরকারের নীরবতা অব্যাহত গণভোটের কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই: বিএনপি নেতা আমীর খসরু

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৯)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • 97

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

কাশ্মীর থেকে কান্যকুব্জ

হিউএনচাঙ পশ্চিমের গিরিবত্ম দিয়ে সম্ভবত বরাহমূলপুরায় (বা বরামূলায়) কাশ্মীর রাজ্যে প্রবেশ করেন। তাঁর বিদ্যাবত্তার ও সাধুতার খ্যাতি আগেই কাশ্মীরে পৌঁছেছিল। তিনি কাশ্মীরের সীমানায় পৌঁছেছেন শুনে কাশ্মীররাজ দুর্লভবর্মন প্রজ্ঞাদিত্য তাঁর মাতুলকে হিউএনচাঙের জন্যে গাড়িঘোড়াসহ পাঠিয়ে দিলেন।

দিন কতক পরে তাঁরা যখন রাজধানী প্রবরপুরে (আধুনিক শ্রীনগরে) প্রবেশ করলেন, তখন কাশ্মীররাজ মহাসমারোহে তাঁকে অভ্যর্থনা করলেন। স্বয়ং রাজা, তাঁর সমস্ত সভাসদ আর রাজধানীতে যত ভিক্ষু ছিলেন সকলে (প্রায় এক সহস্র লোক) নগর থেকে ১ লি এগিয়ে গিয়ে ধর্মগুরুকে প্রণাম ক’রে তাঁর সম্মুখে অসংখ্য ফুল ছড়িয়ে দিলেন।

তার পর তাঁকে একটা মস্ত হাতিতে চড়িয়ে নিয়ে আসা হল। সমস্ত পথ পতাকা চামর ফুল গন্ধদ্রব্য দিয়ে সজ্জিত ছিল। সে রাত্রে তাঁকে ‘জয়েন্দ্র’ নামক এক বিহারে থাকতে দেওয়া হল। পরদিন রাজার অনুরোধে তিনি রাজপ্রাসাদে এলেন, আর তার পর বিশিষ্ট পণ্ডিতদের সঙ্গে একত্র ভোজ উৎসব হবার পর রাজা তাঁকে শাস্ত্রের কঠিন কঠিন স্থান ব্যাখ্যা করতে আমন্ত্রণ করলেন।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৮)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৮)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

আলোকে শিল্পে রূপ দেওয়া লিন্ডসি অ্যাডেলম্যান

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৯)

০৯:০০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

কাশ্মীর থেকে কান্যকুব্জ

হিউএনচাঙ পশ্চিমের গিরিবত্ম দিয়ে সম্ভবত বরাহমূলপুরায় (বা বরামূলায়) কাশ্মীর রাজ্যে প্রবেশ করেন। তাঁর বিদ্যাবত্তার ও সাধুতার খ্যাতি আগেই কাশ্মীরে পৌঁছেছিল। তিনি কাশ্মীরের সীমানায় পৌঁছেছেন শুনে কাশ্মীররাজ দুর্লভবর্মন প্রজ্ঞাদিত্য তাঁর মাতুলকে হিউএনচাঙের জন্যে গাড়িঘোড়াসহ পাঠিয়ে দিলেন।

দিন কতক পরে তাঁরা যখন রাজধানী প্রবরপুরে (আধুনিক শ্রীনগরে) প্রবেশ করলেন, তখন কাশ্মীররাজ মহাসমারোহে তাঁকে অভ্যর্থনা করলেন। স্বয়ং রাজা, তাঁর সমস্ত সভাসদ আর রাজধানীতে যত ভিক্ষু ছিলেন সকলে (প্রায় এক সহস্র লোক) নগর থেকে ১ লি এগিয়ে গিয়ে ধর্মগুরুকে প্রণাম ক’রে তাঁর সম্মুখে অসংখ্য ফুল ছড়িয়ে দিলেন।

তার পর তাঁকে একটা মস্ত হাতিতে চড়িয়ে নিয়ে আসা হল। সমস্ত পথ পতাকা চামর ফুল গন্ধদ্রব্য দিয়ে সজ্জিত ছিল। সে রাত্রে তাঁকে ‘জয়েন্দ্র’ নামক এক বিহারে থাকতে দেওয়া হল। পরদিন রাজার অনুরোধে তিনি রাজপ্রাসাদে এলেন, আর তার পর বিশিষ্ট পণ্ডিতদের সঙ্গে একত্র ভোজ উৎসব হবার পর রাজা তাঁকে শাস্ত্রের কঠিন কঠিন স্থান ব্যাখ্যা করতে আমন্ত্রণ করলেন।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৮)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৮)