০৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
একীভূত হওয়া ব্যাংকগুলোর আর্থিক ধস: দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা আসছে ঢাবির স্নাতক ভর্তি আবেদন ও ফি প্রদানের সময়সীমা বাড়ল যে চারটি বিষয়ের ওপর জাতীয় নির্বাচনের দিনে হবে গণভোট যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজের আগমন: ভেনেজুয়েলার উপর আক্রমণের শঙ্কা ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩৩  বিচারকের বাসায় হামলা: ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী হাসপাতালে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামে মিলল খণ্ডিত মরদেহ: রাজধানীতে চাঞ্চল্য চার্টার ভাঙলে দায় নেবে না বিএনপি: প্রধান উপদেষ্টাকে খসরুর কড়া সতর্কবার্তা সিলেট টেস্টে তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের ইনিংস ব্যবধানে জয়ের দোরগোড়ায় বাওতোকে কেন্দ্র করে চীনের রেয়ার আর্থ শিল্পে বড় রূপান্তর

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৯)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • 100

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

কাশ্মীর থেকে কান্যকুব্জ

হিউএনচাঙ পশ্চিমের গিরিবত্ম দিয়ে সম্ভবত বরাহমূলপুরায় (বা বরামূলায়) কাশ্মীর রাজ্যে প্রবেশ করেন। তাঁর বিদ্যাবত্তার ও সাধুতার খ্যাতি আগেই কাশ্মীরে পৌঁছেছিল। তিনি কাশ্মীরের সীমানায় পৌঁছেছেন শুনে কাশ্মীররাজ দুর্লভবর্মন প্রজ্ঞাদিত্য তাঁর মাতুলকে হিউএনচাঙের জন্যে গাড়িঘোড়াসহ পাঠিয়ে দিলেন।

দিন কতক পরে তাঁরা যখন রাজধানী প্রবরপুরে (আধুনিক শ্রীনগরে) প্রবেশ করলেন, তখন কাশ্মীররাজ মহাসমারোহে তাঁকে অভ্যর্থনা করলেন। স্বয়ং রাজা, তাঁর সমস্ত সভাসদ আর রাজধানীতে যত ভিক্ষু ছিলেন সকলে (প্রায় এক সহস্র লোক) নগর থেকে ১ লি এগিয়ে গিয়ে ধর্মগুরুকে প্রণাম ক’রে তাঁর সম্মুখে অসংখ্য ফুল ছড়িয়ে দিলেন।

তার পর তাঁকে একটা মস্ত হাতিতে চড়িয়ে নিয়ে আসা হল। সমস্ত পথ পতাকা চামর ফুল গন্ধদ্রব্য দিয়ে সজ্জিত ছিল। সে রাত্রে তাঁকে ‘জয়েন্দ্র’ নামক এক বিহারে থাকতে দেওয়া হল। পরদিন রাজার অনুরোধে তিনি রাজপ্রাসাদে এলেন, আর তার পর বিশিষ্ট পণ্ডিতদের সঙ্গে একত্র ভোজ উৎসব হবার পর রাজা তাঁকে শাস্ত্রের কঠিন কঠিন স্থান ব্যাখ্যা করতে আমন্ত্রণ করলেন।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৮)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৮)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

একীভূত হওয়া ব্যাংকগুলোর আর্থিক ধস: দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা আসছে

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৯)

০৯:০০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

কাশ্মীর থেকে কান্যকুব্জ

হিউএনচাঙ পশ্চিমের গিরিবত্ম দিয়ে সম্ভবত বরাহমূলপুরায় (বা বরামূলায়) কাশ্মীর রাজ্যে প্রবেশ করেন। তাঁর বিদ্যাবত্তার ও সাধুতার খ্যাতি আগেই কাশ্মীরে পৌঁছেছিল। তিনি কাশ্মীরের সীমানায় পৌঁছেছেন শুনে কাশ্মীররাজ দুর্লভবর্মন প্রজ্ঞাদিত্য তাঁর মাতুলকে হিউএনচাঙের জন্যে গাড়িঘোড়াসহ পাঠিয়ে দিলেন।

দিন কতক পরে তাঁরা যখন রাজধানী প্রবরপুরে (আধুনিক শ্রীনগরে) প্রবেশ করলেন, তখন কাশ্মীররাজ মহাসমারোহে তাঁকে অভ্যর্থনা করলেন। স্বয়ং রাজা, তাঁর সমস্ত সভাসদ আর রাজধানীতে যত ভিক্ষু ছিলেন সকলে (প্রায় এক সহস্র লোক) নগর থেকে ১ লি এগিয়ে গিয়ে ধর্মগুরুকে প্রণাম ক’রে তাঁর সম্মুখে অসংখ্য ফুল ছড়িয়ে দিলেন।

তার পর তাঁকে একটা মস্ত হাতিতে চড়িয়ে নিয়ে আসা হল। সমস্ত পথ পতাকা চামর ফুল গন্ধদ্রব্য দিয়ে সজ্জিত ছিল। সে রাত্রে তাঁকে ‘জয়েন্দ্র’ নামক এক বিহারে থাকতে দেওয়া হল। পরদিন রাজার অনুরোধে তিনি রাজপ্রাসাদে এলেন, আর তার পর বিশিষ্ট পণ্ডিতদের সঙ্গে একত্র ভোজ উৎসব হবার পর রাজা তাঁকে শাস্ত্রের কঠিন কঠিন স্থান ব্যাখ্যা করতে আমন্ত্রণ করলেন।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৮)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৮)