০৯:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
ট্রাম্পের বিপরীতে, প্রাচীন চীন এর শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর ঐতিহ্য রণক্ষেত্রে (পর্ব-৭৭) সমুদ্রের ওপার থেকে নতুন স্বপ্ন: তাইওয়ান তরুণদের ফুচিয়ানে নতুন জীবনগাঁথা ব্যর্থ কলম্বো, গলের লড়াই -এ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ঘরে জয় কেন ? ‘আকাশ হয়ে যাই’ মিউজিক ভিডিতে প্রশংসিত পূর্ণিমা বৃষ্টি সাউথ চায়নান মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন: ইরান আক্রমনে লাভ ক্ষতি ইউক্রেন দাবি করেছে বাংলাদেশের কিছু সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিক ইইউ কলকাতার কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার তিন ‘চুরির গম’ আমদানি: বাংলাদেশের ওপর ইইউ নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন চীনের বৃহত্তম গভীর সমুদ্র গ্যাসক্ষেত্রের দ্বিতীয় পর্যায়ের উৎপাদন শুরু

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৯)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • 29

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

কাশ্মীর থেকে কান্যকুব্জ

হিউএনচাঙ পশ্চিমের গিরিবত্ম দিয়ে সম্ভবত বরাহমূলপুরায় (বা বরামূলায়) কাশ্মীর রাজ্যে প্রবেশ করেন। তাঁর বিদ্যাবত্তার ও সাধুতার খ্যাতি আগেই কাশ্মীরে পৌঁছেছিল। তিনি কাশ্মীরের সীমানায় পৌঁছেছেন শুনে কাশ্মীররাজ দুর্লভবর্মন প্রজ্ঞাদিত্য তাঁর মাতুলকে হিউএনচাঙের জন্যে গাড়িঘোড়াসহ পাঠিয়ে দিলেন।

দিন কতক পরে তাঁরা যখন রাজধানী প্রবরপুরে (আধুনিক শ্রীনগরে) প্রবেশ করলেন, তখন কাশ্মীররাজ মহাসমারোহে তাঁকে অভ্যর্থনা করলেন। স্বয়ং রাজা, তাঁর সমস্ত সভাসদ আর রাজধানীতে যত ভিক্ষু ছিলেন সকলে (প্রায় এক সহস্র লোক) নগর থেকে ১ লি এগিয়ে গিয়ে ধর্মগুরুকে প্রণাম ক’রে তাঁর সম্মুখে অসংখ্য ফুল ছড়িয়ে দিলেন।

তার পর তাঁকে একটা মস্ত হাতিতে চড়িয়ে নিয়ে আসা হল। সমস্ত পথ পতাকা চামর ফুল গন্ধদ্রব্য দিয়ে সজ্জিত ছিল। সে রাত্রে তাঁকে ‘জয়েন্দ্র’ নামক এক বিহারে থাকতে দেওয়া হল। পরদিন রাজার অনুরোধে তিনি রাজপ্রাসাদে এলেন, আর তার পর বিশিষ্ট পণ্ডিতদের সঙ্গে একত্র ভোজ উৎসব হবার পর রাজা তাঁকে শাস্ত্রের কঠিন কঠিন স্থান ব্যাখ্যা করতে আমন্ত্রণ করলেন।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৮)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৮)

 

ট্রাম্পের বিপরীতে, প্রাচীন চীন এর শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর ঐতিহ্য

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৯)

০৯:০০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

কাশ্মীর থেকে কান্যকুব্জ

হিউএনচাঙ পশ্চিমের গিরিবত্ম দিয়ে সম্ভবত বরাহমূলপুরায় (বা বরামূলায়) কাশ্মীর রাজ্যে প্রবেশ করেন। তাঁর বিদ্যাবত্তার ও সাধুতার খ্যাতি আগেই কাশ্মীরে পৌঁছেছিল। তিনি কাশ্মীরের সীমানায় পৌঁছেছেন শুনে কাশ্মীররাজ দুর্লভবর্মন প্রজ্ঞাদিত্য তাঁর মাতুলকে হিউএনচাঙের জন্যে গাড়িঘোড়াসহ পাঠিয়ে দিলেন।

দিন কতক পরে তাঁরা যখন রাজধানী প্রবরপুরে (আধুনিক শ্রীনগরে) প্রবেশ করলেন, তখন কাশ্মীররাজ মহাসমারোহে তাঁকে অভ্যর্থনা করলেন। স্বয়ং রাজা, তাঁর সমস্ত সভাসদ আর রাজধানীতে যত ভিক্ষু ছিলেন সকলে (প্রায় এক সহস্র লোক) নগর থেকে ১ লি এগিয়ে গিয়ে ধর্মগুরুকে প্রণাম ক’রে তাঁর সম্মুখে অসংখ্য ফুল ছড়িয়ে দিলেন।

তার পর তাঁকে একটা মস্ত হাতিতে চড়িয়ে নিয়ে আসা হল। সমস্ত পথ পতাকা চামর ফুল গন্ধদ্রব্য দিয়ে সজ্জিত ছিল। সে রাত্রে তাঁকে ‘জয়েন্দ্র’ নামক এক বিহারে থাকতে দেওয়া হল। পরদিন রাজার অনুরোধে তিনি রাজপ্রাসাদে এলেন, আর তার পর বিশিষ্ট পণ্ডিতদের সঙ্গে একত্র ভোজ উৎসব হবার পর রাজা তাঁকে শাস্ত্রের কঠিন কঠিন স্থান ব্যাখ্যা করতে আমন্ত্রণ করলেন।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৮)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৮)