সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “শুধু নির্বাচন নয়, আরও অনেক বিষয়ে কথা বলবে বিএনপি”
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে শুধু জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট পথনকশার দাবি নয়, এ–সংশ্লিষ্ট আরও অনেক বিষয়ে কথা বলবে বিএনপি।
দলটির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে বিএনপির নেতারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুনির্দিষ্ট করে জানতে চাইবেন কবে নাগাদ নির্বাচন হবে এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ বা পথনকশা কবে ঘোষণা করা হবে। উপদেষ্টার বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে না পারলে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের নিয়ে আবার মাঠের কর্মসূচিতে যেতে পারে।
আজ বুধবার দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এ বৈঠক হবে। বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা হয়। সেখানে বৈঠকের আলোচ্য সূচি এবং নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময়ের বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণার দাবি নিয়ে আলোচনা হয়।
বিএনপির নেতারা মনে করছেন, সরকারের উপদেষ্টাদের বিভিন্ন রকম বক্তব্যে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সরকারের মধ্যেও নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কোনো প্রস্তুতি দৃশ্যমান নয়। বিশেষ করে, এখনো সংসদীয় আসনবিন্যাসের বিষয়টি মীমাংসা হয়নি। বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) আসন পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। বিষয়টি এখনো সেভাবেই পড়ে আছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা ইসি থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করে। বর্তমান ইসি সেটি আবার নির্বাচন কমিশনের অধীন রাখার প্রস্তাব করে। এই প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদনও করে। কিন্তু এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনোই অগ্রগতি নেই।
দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “তিন দিনের সফরে আজ ঢাকায় আসছেন ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিনিধিদল”
তিন দিনের সফরে আজ বুধবার ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সফর হতে চলেছে এটি।
তিন দিনের এই সফরে বাংলাদেশের সংস্কার ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপ, রোহিঙ্গা সংকটে সহায়তা এবং মিয়ানমারের পরিস্থিতিসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
সফরে আসা মার্কিন উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, তিনিই প্রথমে আসছেন ঢাকায়।
পরে আরেকটি ফ্লাইটে আসবেন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হেরাপ। তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে মিয়ানমারে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসনের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন মার্কিন দুই উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
এছাড়া, বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানসহ সরকারের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের আমিরের সাক্ষাৎ”
লন্ডনে খালেদা জিয়ার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় তাদের এ সাক্ষাৎ হয়। এ সময় তারেক রহমানও উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির একটি সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার লন্ডনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি স্বীকার করেছেন জামায়াতের আমির। তিনি গণমাধ্যমকে গতকাল রাতে বলেন, ‘বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। আমরা একসঙ্গে অনেকদিন কাজ করেছি। উনি অসুস্থ। ওনার খোঁজখবর নেয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বহুদিন পর আমাদের দেখা হয়েছে। আমরা ওনার জন্য দোয়া করেছি, ওনার কাছে দোয়া চেয়েছি।’
তারেক রহমানের সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কিনা, সে প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির বলেন, ‘দুজন মানুষ একসঙ্গে হলে তো অনেক কথাই হয়। অনেক কথাই হয়েছে।’ তবে তিনি এর বেশি কিছু আর বলতে চাননি।
জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান ৪ এপ্রিল ব্রাসেলস সফরে যান। ব্রাসেলস থেকে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের লন্ডনে যান। প্রায় দুই সপ্তাহের সফর শেষে সোমবার সকালে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান দেশে ফিরেছেন। আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এখনো দেশে ফেরেননি।
জানা গেছে, ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদর দপ্তরে একাধিক বৈঠক ও সাক্ষাৎ কর্মসূচি ছিল জামায়াত আমিরের। সফরকালে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সাউথ এশিয়ান ককাসের এমপিদের সঙ্গে বৈঠক, ইইউর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের সাউথ এশিয়া ডেস্কের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক হয় জামায়াত প্রতিনিধি দলের।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “১৫ বছর বিরতির পর এফওসি কাল”
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ ঢাকা আসছেন আজ। প্রায় ১৫ বছর বিরতির পর ঢাকা-ইসলামাবাদ ৬ষ্ঠ ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) এ অংশ নিতে আসছেন তিনি। বৃহস্পতিবার হবে সেই রাজনৈতিক সংলাপ।
৫ই আগস্টের রক্তাক্ত অভ্যুত্থানে হাসিনার কতৃত্ববাদী শাসনের বিদায়ের পর ‘ডিপ ফ্রিজে’ থাকা ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্ক স্বাভাবিক তথা সচলীকরণের উদ্যোগ নেয় দুই দেশ। গত ৮ মাসে কেবল স্থবির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক নয়, এখন তার আরও এগিয়ে নিতে মনোযোগ দিচ্ছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা–বাণিজ্যসহ সহযোগিতার নানা ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্কে রাজি বাংলাদেশ। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- এরই অংশ হিসেবে প্রায় ১৫ বছর পর বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিবদের বৈঠক। ওই বৈঠকে অংশ নিতে আজ (বুধবার) ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ। সেগুনবাগিচা বলছে, বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মা’র সেই রাজনৈতিক সংলাপে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন বাংলাদেশের এবং আমনা বালুচ পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। সব কিছু ঠিক থাকলে অর্থাৎ ফ্লাইটে কোনো জটিলতা না হলে বুধবার দুপুরের পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব ঢাকা পৌঁছাবেন।পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেবেন, যা মধ্যাহ্নভোজের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বলেন, আসন্ন বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। বৈঠকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্কের নানা বিষয় আলোচনার সময় ঐতিহাসিক অনিষ্পন্ন বিষয় নিয়েও কথা হবে। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিসরে সহায়তা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হবে। বিশেষ করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক টানাপোড়েনের বৃত্তে আটকে থাকলেও বহুপক্ষীয় ফোরামে এক দেশ অন্য দেশকে ভোটাভুটিসহ নানা উদ্যোগে সহায়তা করে আসছে। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিবেরা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা, কৃষি, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, সংযুক্তিসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করবেন।
Leave a Reply