চায়না ডেইলি সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে চাইনিজ কালচারপিডিয়া (culturepedia.chinadaily.com.cn)। এটি এমন এক ইংরেজি ভাষার জ্ঞানভিত্তিক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যা চীনা সংস্কৃতির প্রচার ও বিশ্বব্যাপী চীনের প্রতি বোঝাপড়াকে আরও গভীর করতে উৎসর্গীকৃত।
‘সংস্কৃতির ডিএনএ বিশ্লেষণ, বিশ্ব সভ্যতার সংযোগ’— এই দর্শনকে কেন্দ্র করে নির্মিত চাইনিজ কালচারপিডিয়া একটি ব্যাপক ও বহুমাত্রিক প্ল্যাটফর্ম, যার লক্ষ্য চীনা সভ্যতার ঐশ্বর্য তুলে ধরা, বৈশ্বিক সংস্কৃতি বিনিময় বৃদ্ধি করা এবং আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপকে গভীরতর করা।
প্ল্যাটফর্মটি পাঠকদের শতাব্দীপ্রাচীন চীনা সংস্কৃতির দ্বার উন্মুক্ত করে, চিরকালীন ঐতিহ্য অন্বেষণ করতে সহায়তা করে এবং একটি ক্লিকেই অর্থবহ আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়।
চায়না ডেইলির বিশাল মিডিয়া ইকোসিস্টেমের ওপর ভিত্তি করে এবং বিগ ডেটা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় গড়ে উঠেছে এই প্ল্যাটফর্ম।
এই প্ল্যাটফর্মে ইতিহাস, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, পর্যটন, সাহিত্য, শিল্পকলা ও জীবনধারাসহ নানা বিষয়ে আলাদা বিভাগ রয়েছে। বিশেষ আয়োজনে রয়েছে ২৪টি সৌর ঋতু, চীনা খাবার, প্রথাগত চীনা অপেরা ইত্যাদি নিয়ে তথ্য ও গবেষণা। ভিডিও কনটেন্ট এবং ইন্টারঅ্যাকটিভ চ্যাট রোবটও এর পরিসরকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।
চাইনিজ কালচারপিডিয়া একটি বোধগম্য, ইন্টারঅ্যাকটিভ ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। এতে রয়েছে উন্নত সার্চ অপশন, এআই-চালিত প্রশ্নোত্তর, ট্রেন্ডিং শব্দ, এক ক্লিকে সংরক্ষণ ও সহজ শেয়ার করার সুবিধা।
প্ল্যাটফর্মটি সবধরনের ডিভাইসে ব্যবহারযোগ্য। এর রেসপনসিভ ডিজাইন স্ক্রিন সাইজ অনুযায়ী মানিয়ে নিতে পারে, যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে করে তোলে আরও উন্নত।
আফগানিস্তানের সাংহাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার মোহাম্মদ হাশেম মোহাম্মাদি বলেন,‘আমি চীনে আসার আগেই চায়না ডেইলির খবর অনুসরণ করতাম। এটি চীন সম্পর্কে আমার প্রাথমিক ধারণা তৈরিতে অনেক সাহায্য করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন, চাইনিজ কালচারপিডিয়া চালুর মাধ্যমে আমি মনে করি এটি সংস্কৃতির সেতুবন্ধনের একটি শক্তিশালী মাধ্যম। একজন বিদেশি হিসেবে, যে চীনে বসবাস করছে এবং বিদেশি ও স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে— এমন একটি দ্বিভাষিক, নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্মের থাকা সত্যিই অমূল্য।’
ঘানার বেইজিং ফরেন স্টাডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মাইকেল ওডুরো বলেন, ‘প্ল্যাটফর্মটি চীনা সংস্কৃতির একটি রত্নভাণ্ডার। প্ল্যাটফর্মটি ইংরেজিতে হওয়ায় সারা বিশ্বের মানুষ এখন সহজেই চীনের সংস্কৃতিকে বুঝতে পারছে। ইন্টারঅ্যাকটিভ ফিচার থাকায় শিক্ষার্থীদের জন্য এটি আরও আকর্ষণীয় হবে।’
সিএমজি বাংলা
Sarakhon Report 



















