দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকে বিহারকে একটি বিকশিত রাজ্যে রূপান্তরের স্পষ্ট রূপরেখা তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। উন্নয়ন, শাসনব্যবস্থা ও কেন্দ্র–রাজ্য সমন্বয়কে সামনে রেখে এই বৈঠকগুলোকে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গি
সোমবার নয়াদিল্লির লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রায় আধা ঘণ্টা বৈঠক করেন নীতিশ কুমার। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব রঞ্জন সিং ও বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বৈঠকের ছবি প্রকাশ করা হয়। সূত্রের মতে, আলোচনার কেন্দ্রে ছিল বিহারের চলমান উন্নয়ন প্রকল্প, নতুন পরিকল্পনার রূপরেখা এবং কেন্দ্রের সহযোগিতা আরও কীভাবে জোরদার করা যায়।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানে জোর
বৈঠকে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, গ্রামীণ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে তুলে ধরেন নীতিশ কুমার। বিহারকে একটি বিকশিত রাজ্যে পরিণত করতে অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক খাতে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথাও আলোচনায় আসে। সূত্র জানায়, নতুন ও প্রস্তাবিত প্রকল্প বাস্তবায়নে কেন্দ্রের সহযোগিতা নিয়ে ইতিবাচক বার্তা মিলেছে।
অমিত শাহের সঙ্গে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক আলোচনা
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা আলোচনা করেন নীতিশ কুমার। এই বৈঠকে বিহারের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, প্রশাসনিক সমন্বয় এবং ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত কথা হয়। রাজ্যসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে রাজনৈতিক সূত্রে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। বৈঠকটিকে এনডিএর ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে দেখা হচ্ছে।
এনডিএ সরকারের প্রেক্ষাপটে দিল্লি সফর
সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ জোটের নিরঙ্কুশ জয়ের পর নীতিশ কুমারের এই দিল্লি সফরকে কেন্দ্র–রাজ্য সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। নির্বাচনে বিপুল আসন জিতে সরকার গঠনের পর গত সপ্তাহেই বিহারের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী রূপরেখা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লির বৈঠকগুলো সেই রূপরেখা বাস্তবায়নের পথ সুগম করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
হিজাব ইস্যুতে প্রশ্ন এড়ালেন পুলিশ প্রধান
এদিকে রাজ্যে চলমান হিজাব বিতর্ক নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন বিহারের পুলিশপ্রধান বিনয় কুমার। বিরোধীদের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবির মধ্যেই এই প্রশ্ন তোলা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















