সারাক্ষণ রিপোর্ট
সেবার সূচনা
২৪ এপ্রিল ২০২৫ থেকে আইসিডিডিআর,বি তাদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সাথে যুক্ত করে নেক্সট-জেনারেশন সিকোয়েন্সিং (এনজিএস)-ভিত্তিক ক্যান্সার নির্ণয় শুরু করছে। দেশের ভেতরেই জিনোম বিশ্লেষণ হওয়ায় এটি বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসার বড় অগ্রগতি হিসেবে ধরা হচ্ছে।
কেন এ সেবা জরুরি
- এখনো বহু রোগীর নমুনা বিদেশে পাঠিয়ে ৪-৫ সপ্তাহ ধরে রিপোর্টের অপেক্ষায় থাকতে হয়, খরচও বেশি।
- বিদেশি ল্যাবে পাঠানো নমুনায় কখনও ফলাফল নির্ভরযোগ্য হয় না, ফলে চিকিৎসা পেছায়।
- এনজিএস প্রযুক্তি দেশেই সহজলভ্য হলে দ্রুত, সঠিক ও ব্যয়সাশ্রয়ী রিপোর্ট মিলবে।
কীভাবে কাজ করবে জিনোম সেন্টার
- আন্তর্জাতিক মানের যন্ত্রপাতি ও প্রশিক্ষিত বিশেষজ্ঞ দল সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহে রিপোর্ট দেবে।
- প্রতিবেদনে টার্গেটেড থেরাপি ও ব্যক্তিভিত্তিক চিকিৎসার পরামর্শও থাকবে, যা ডাক্তারকে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।
- শুরুতে স্তন, ফুসফুস, কোলন, ডিম্বাশয় ও রক্তের ক্যান্সারের জিন পরীক্ষা চালু হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য
ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র পরিচালক (সংক্রামক রোগ), বলেন—এটি ‘‘নির্ভুল ও সময়োপযোগী’’ ফলাফলের মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আইসিডিডিআর,বি-র নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ জানান—‘দীর্ঘ অপেক্ষা ও বিদেশমুখিতা বন্ধ করা’-ই ছিল লক্ষ্য; নতুন সেবাকে তিনি ‘‘আস্থা ও নির্ভুল ফলাফলের প্রতিশ্রুতি’’ বলে উল্লেখ করেন।
দেশে ক্যান্সারের বর্তমান চিত্র
- বিএসএমএমইউ-র ২০২৫ সালের গবেষণা অনুযায়ী, প্রতি এক লক্ষে ১০০-এরও বেশি মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত।
- স্তন, মুখগহ্বর, পাকস্থলী, গলা ও জরায়ুমুখ ক্যান্সার শীর্ষে।
- ৪৬% রোগই তামাকসংশ্লিষ্ট; অনেকেই দেরিতে ধরা পড়েন—প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ভুল পরীক্ষা তাই অপরিহার্য।
রোগী ও চিকিৎসকদের প্রত্যাশিত লাভ
- দ্রুত রিপোর্ট পেয়ে চিকিৎসা সিদ্ধান্তে দেরি কমবে।
- ব্যয় ও ঝুঁকি কম; বিদেশে নমুনা পাঠানোর প্রয়োজন থাকবে না।
- ব্যক্তিভিত্তিক থেরাপি বেছে নেওয়া সহজ হবে, ফলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র
মহাখালী, মিরপুর, মতিঝিল, ধানমন্ডি, উত্তরা, নিকেতন, গুলশান ও বারিধারা—এই আটটি আইসিডিডিআর,বি ডায়াগনস্টিক বুথে নমুনা দেওয়া যাবে।
যোগাযোগ
সেবা সম্পর্কে জানতে ই-মেইল করুন icddrbgc@icddrb.org অথবা ফোন (+৮৮০) ১৭ ১৩ ২৮ ৮০ ৮৬.