সারাক্ষণ রিপোর্ট
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের পাঁচটি প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ
সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারত সরকার পাঁচটি বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে:
১. সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত
১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। এটি কার্যকর থাকবে যতদিন না পাকিস্তান সন্ত্রাসে সমর্থন দেওয়া সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগ করে।
২. অটারি সীমান্ত চেকপোস্ট বন্ধ
অটারি সীমান্তের সমন্বিত চেকপোস্ট তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যেসব ব্যক্তি বৈধ অনুমোদন নিয়ে ইতিমধ্যে পার হয়েছেন, তারা ১ মে ২০২৫ এর মধ্যে একই পথ ব্যবহার করে ফিরতে পারবেন।
৩. সার্ক ভিসা ছাড় স্কিমে নিষেধাজ্ঞা
পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য সার্ক ভিসা ছাড় স্কিম বাতিল করা হয়েছে। ইতিপূর্বে দেওয়া সব ভিসা বাতিল হিসেবে গণ্য হবে। বর্তমানে এই স্কিমে ভারতে অবস্থানরত পাকিস্তানিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৪. প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ও স্টাফদের বহিষ্কার
নয়াদিল্লির পাকিস্তান হাই কমিশনে নিযুক্ত সামরিক, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি’ ঘোষণা করা হয়েছে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে ভারত ইসলামাবাদে তাদের নিজস্ব উপদেষ্টাদের প্রত্যাহার করবে। সংশ্লিষ্ট পাঁচজন সহকারী কর্মীকেও ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
৫. হাই কমিশনের জনবল কমানো
উভয় দেশের হাই কমিশনের জনবল ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ জনে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা ১ মে ২০২৫ এর মধ্যে কার্যকর হবে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এবং রাজনৈতিক আলোচনার উদ্যোগ
CCS সমস্ত বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, যেভাবে সম্প্রতি তাহাওওর রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, সেভাবে ভারত ভবিষ্যতেও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান বজায় রাখবে।
এছাড়া, সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে।
হামলার দায় স্বীকার এবং পুরস্কার ঘোষণা
এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF), যা পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন হিসেবে পরিচিত। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর এটি সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
সন্ত্রাসীদের ধরিয়ে দিতে পারলে ২০ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।
Leave a Reply