০৫:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

হিউএনচাঙ (পর্ব-৭৫)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • 28

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

এখান থেকে তিনি দক্ষিণ-পূবে অগ্রসর হয়ে বিপাশা (বিআস্) নদীর তীরে চীনভুক্তি নামক এক স্থানে এলেন। বিনীতপ্রভ নামক একজন বিখ্যাত পণ্ডিতকে এখানে পেয়ে তিনি চোদ্দ মাস এখানে থেকে তাঁর কাছে অনেক হীনযানী শাস্ত্র অধ্যয়ন করলেন।

বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নিয়ম আছে বর্ষাকালটা কোনো সঙ্ঘারামে থেকে ‘বর্ষাবাস’ করা। ৬৩৪ খৃস্টাব্দের বর্ষাকালটা হিউএনচাঙ জালন্ধরে এক ভিক্ষুর কাছে থেকে শাস্ত্রপাঠ করেন। তার পর উত্তরে বর্তমান সিমলার কাছে কুলু পর্বতে (সংস্কৃত কুলুট) কিছুদিন থেকে আবার দক্ষিণে এসে মথুরায় উপস্থিত হলেন।

মথুরা যেমন বৈষ্ণবদের, তেমনি বৌদ্ধদেরও তীর্থস্থান ছিল। বুদ্ধশিষ্য সারিপুত্র, মৌদগল্যায়ন, উপালি, আনন্দ ও রাহুলের স্মারক স্তূপ এখানে ছিল। অভিধর্মের ছাত্ররা সারিপুত্রের, যোগশিক্ষার্থীরা মৌদগল্যায়নের, বিনয়ের ছাত্ররা উপালির, ভিক্ষুণীরা আনন্দের, আর শ্রামণেররা রাহুলের পূজা দিত।

রাহুল বুদ্ধের পুত্র। ইনি অমর। মহাযানীরা বোধিসত্ত্বদের পূজা করত। অশোকের গুরু মহাস্থবির উপগুপ্ত মথুরার লোক ছিলেন। মথুরার কাছে তাঁর প্রতিষ্ঠিত একটি সঙ্ঘারামে তাঁর নখ আর কেশের অংশ রাখা ছিল। ‘এখানকার লোকে অরণ্যের মত অজস্র আমলকীর গাছ রোপণ করতে ভালোবাসে।’

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৭৪)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৭৪)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৭৫)

০৯:০০:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

এখান থেকে তিনি দক্ষিণ-পূবে অগ্রসর হয়ে বিপাশা (বিআস্) নদীর তীরে চীনভুক্তি নামক এক স্থানে এলেন। বিনীতপ্রভ নামক একজন বিখ্যাত পণ্ডিতকে এখানে পেয়ে তিনি চোদ্দ মাস এখানে থেকে তাঁর কাছে অনেক হীনযানী শাস্ত্র অধ্যয়ন করলেন।

বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নিয়ম আছে বর্ষাকালটা কোনো সঙ্ঘারামে থেকে ‘বর্ষাবাস’ করা। ৬৩৪ খৃস্টাব্দের বর্ষাকালটা হিউএনচাঙ জালন্ধরে এক ভিক্ষুর কাছে থেকে শাস্ত্রপাঠ করেন। তার পর উত্তরে বর্তমান সিমলার কাছে কুলু পর্বতে (সংস্কৃত কুলুট) কিছুদিন থেকে আবার দক্ষিণে এসে মথুরায় উপস্থিত হলেন।

মথুরা যেমন বৈষ্ণবদের, তেমনি বৌদ্ধদেরও তীর্থস্থান ছিল। বুদ্ধশিষ্য সারিপুত্র, মৌদগল্যায়ন, উপালি, আনন্দ ও রাহুলের স্মারক স্তূপ এখানে ছিল। অভিধর্মের ছাত্ররা সারিপুত্রের, যোগশিক্ষার্থীরা মৌদগল্যায়নের, বিনয়ের ছাত্ররা উপালির, ভিক্ষুণীরা আনন্দের, আর শ্রামণেররা রাহুলের পূজা দিত।

রাহুল বুদ্ধের পুত্র। ইনি অমর। মহাযানীরা বোধিসত্ত্বদের পূজা করত। অশোকের গুরু মহাস্থবির উপগুপ্ত মথুরার লোক ছিলেন। মথুরার কাছে তাঁর প্রতিষ্ঠিত একটি সঙ্ঘারামে তাঁর নখ আর কেশের অংশ রাখা ছিল। ‘এখানকার লোকে অরণ্যের মত অজস্র আমলকীর গাছ রোপণ করতে ভালোবাসে।’

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৭৪)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৭৪)