সত্যেন্দ্রকুমার বসু
‘সঙ্গীরা সর্বস্ব হারিয়ে হাহুতাশ করতে লাগলেন, কিন্তু হিউএনচাঙকে অম্লান বদনে থাকতে দেখে তাঁরা আশ্চর্য হলেন। তাতে তিনি বললেন, ‘জীবন তো যায় নি, বেঁচে তো রয়েছি। গোটা কতক পোশাক পরিচ্ছদ, জিনিসপত্র যাক বা থাক তাতে কী এমন আসে যায়?’ তখন সঙ্গীরা বুঝলেন যে হিউএনচাঙের হৃদয় ছিল নদীর গভীর জলের মত। নদীর উপরে ঢেউ হতে পারে কিন্তু গভীর জল বিচলিত হয় না।
পরদিন তাঁরা ইরাবতী (রাভি) নদীর তীরে এক নগরে (লাহোর?) পৌঁছলেন। সেখানকার লোক, অধিকাংশই বিধর্মী হলেও ধর্মগুরু আর তাঁর সঙ্গীদের জন্যে প্রচুর আহার্য পরিচ্ছদ ইত্যাদি সংগ্রহ করে দিল।
ধর্মগুরু এই নগরের কাছে এক আম্রকুঞ্জে ‘সাতশ বছর বয়স্ক’ এক বৃদ্ধের সাক্ষাৎ পান। তিনি আবার মাধ্যমিক শাস্ত্রে মহাপণ্ডিত ছিলেন। হিউএনচাঙ এক মাস এখানে থেকে তাঁর কাছে শাস্ত্র পাঠ করলেন।
(চলবে)
Leave a Reply