১০:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
ছয় বছর পরও কি আমরা পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭৫) একীভূত আইনি চুক্তির মাধ্যমে প্রতিরোধমূলক বিচার চীনের জলসীমায় স্টারলিংক ব্যবহার: বিদেশি জাহাজকে জরিমানা প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪২) সংযুক্ত আরব আমিরাতে অস্থির আবহাওয়া: বৃষ্টি ও দুর্ঘটনায় দুবাই–শারজাহজুড়ে সন্ধ্যায় তীব্র যানজট অসম্ভবকে সম্ভব মনে করা অভিনেত্রী মিনি ড্রাইভার, পঞ্চান্নেও ব্যস্ত ও আত্মবিশ্বাসী জীবন যে সিনেমাটি দেখতে আমি ভয় পেয়েছিলাম অস্ট্রেলিয়ার ক্ষত সারাতে লড়াই: বন্ডি বিচ হত্যাযজ্ঞের পর ঐক্য আর বিভাজনের সন্ধিক্ষণ ঢাকায় উদীচী কার্যালয়ে হামলার পর অগ্নিকাণ্ড

ভারত-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সইয়ের দৌড়ে শীর্ষে ভারত

  • Sarakhon Report
  • ০৭:২৭:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • 272

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সম্ভাব্য প্রথম স্বাক্ষরকারী ভারত

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, চলমান আলোচনায় দ্রুত অগ্রগতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি (বিটিএ) চূড়ান্ত করা প্রথম দেশ হতে পারে ভারত। এতে ২৬ শতাংশ পাল্টা শুল্কের ‘৯০ দিনের স্থগিতাদেশ’ জুলাইয়ের শুরুতে শেষ হওয়ার আগেই নয়াদিল্লি বাড়তি শুল্কের ঝুঁকি এড়াতে পারবে।

কেন ভারতের সঙ্গে সমঝোতা সহজ

বেসেন্টের ভাষ্য, ভারতের আমদানি শুল্ক তুলনামূলক কম এবং অ-শুল্ক প্রতিবন্ধকতাও সীমিত; দেশটি মুদ্রা মানে হস্তক্ষেপ করে না এবং সরকারিভাবে বড় ভর্তুকিও দেয় না। ফলে “ভারতের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছানো অনেক সহজ,” বলে মন্তব্য করেন তিনি।

২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা ৫০০ শতাংশবিলিয়ন ডলার

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেব্রুয়ারির বৈঠকে প্রস্তাবিত এই চুক্তি ২০৩০ সালের মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্যের আকার ১৯০ শতাংশ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫০০ শতাংশ বিলিয়ন ডলারে নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

ওয়াশিংটনে মুখোমুখি আলোচনা শুরু

বুধবার ওয়াশিংটনে দুই পক্ষের প্রধান আলোচকদের প্রথম সরাসরি বৈঠক শুরু হয়েছে। ভারতের পক্ষে প্রধান আলোচক রাজেশ আগরওয়ালের নেতৃত্বে তিন দিনের বৈঠকে দ্রুত সমাধানের উপায় খোঁজা হচ্ছে।

সময়সীমার চাপ

২৬ শতাংশ পাল্টা শুল্কের স্থগিতাদেশ জুলাইয়ের গোড়ায় শেষ হবে। এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি বা সমঝোতায় পৌঁছতে দুই দেশ টানা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ১০ শতাংশ শুল্ক বহাল আছে।

ভারতের প্রত্যাশা

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন, “চুক্তির প্রথম ধাপ এবছরের শেষ নাগাদ ইতিবাচকভাবেই শেষ করতে চাই।” সান ফ্রান্সিসকোতে ভারতীয় প্রবাসীদের উদ্দেশে তিনি জানান, সরকার নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ছয় বছর পরও কি আমরা পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত?

ভারত-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সইয়ের দৌড়ে শীর্ষে ভারত

০৭:২৭:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সম্ভাব্য প্রথম স্বাক্ষরকারী ভারত

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, চলমান আলোচনায় দ্রুত অগ্রগতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি (বিটিএ) চূড়ান্ত করা প্রথম দেশ হতে পারে ভারত। এতে ২৬ শতাংশ পাল্টা শুল্কের ‘৯০ দিনের স্থগিতাদেশ’ জুলাইয়ের শুরুতে শেষ হওয়ার আগেই নয়াদিল্লি বাড়তি শুল্কের ঝুঁকি এড়াতে পারবে।

কেন ভারতের সঙ্গে সমঝোতা সহজ

বেসেন্টের ভাষ্য, ভারতের আমদানি শুল্ক তুলনামূলক কম এবং অ-শুল্ক প্রতিবন্ধকতাও সীমিত; দেশটি মুদ্রা মানে হস্তক্ষেপ করে না এবং সরকারিভাবে বড় ভর্তুকিও দেয় না। ফলে “ভারতের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছানো অনেক সহজ,” বলে মন্তব্য করেন তিনি।

২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা ৫০০ শতাংশবিলিয়ন ডলার

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেব্রুয়ারির বৈঠকে প্রস্তাবিত এই চুক্তি ২০৩০ সালের মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্যের আকার ১৯০ শতাংশ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫০০ শতাংশ বিলিয়ন ডলারে নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

ওয়াশিংটনে মুখোমুখি আলোচনা শুরু

বুধবার ওয়াশিংটনে দুই পক্ষের প্রধান আলোচকদের প্রথম সরাসরি বৈঠক শুরু হয়েছে। ভারতের পক্ষে প্রধান আলোচক রাজেশ আগরওয়ালের নেতৃত্বে তিন দিনের বৈঠকে দ্রুত সমাধানের উপায় খোঁজা হচ্ছে।

সময়সীমার চাপ

২৬ শতাংশ পাল্টা শুল্কের স্থগিতাদেশ জুলাইয়ের গোড়ায় শেষ হবে। এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি বা সমঝোতায় পৌঁছতে দুই দেশ টানা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ১০ শতাংশ শুল্ক বহাল আছে।

ভারতের প্রত্যাশা

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন, “চুক্তির প্রথম ধাপ এবছরের শেষ নাগাদ ইতিবাচকভাবেই শেষ করতে চাই।” সান ফ্রান্সিসকোতে ভারতীয় প্রবাসীদের উদ্দেশে তিনি জানান, সরকার নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।