০৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট কপ৩০কে ‘ভুল ও ক্ষতিকর’ বলল যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি মন্ত্রণালয় শেয়ারবাজার চাঙ্গা, কিন্তু ভোক্তা আস্থায় ‘দুই আমেরিকা’ সুপার টাইফুন ‘ফাং-ওয়ং’- ফিলিপাইনে ৪ জনের মৃত্যু,আঘাত হানার আগে এক লাখ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়, ঝড়ের গতিবেগ এখন কমে গেছে থাই–মালয়েশিয়া উপকূলে রোহিঙ্গা নৌডুবি, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ গোপালগঞ্জ সংঘর্ষে এনসিপি ও আওয়ামী লীগ দুই পক্ষই দায়ী- তদন্ত কমিটি ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে: নতুন করে আরও ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ১২০০ রোগী ঘোড়া-থিমের ফুকুবুকুরো: জাপানে ২০২৬ নববর্ষে পণ্য নয়, অভিজ্ঞতাই মূল টান ডকুমেন্টারি আবার আলোয় আনতে নিউইয়র্কে ভ্যারাইটির ‘ডক ড্রিমস লাইভ’ আমাজনের বেলেং-এ শুরু হলো কপ৩০, যুক্তরাষ্ট্র নেই আলোচনার টেবিলে

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৬৪)

  • Sarakhon Report
  • ০৩:৩৯:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫
  • 57

প্রদীপ কুমার মজুমদার

এবার দেখা যাক আর্যভটীয় গ্রন্থটি কোন আর্যভটের রচনা। আর্যভটীয়ের রচনা-কার নিশ্চয়ই ব্রহ্মগুপ্তের পূর্ববর্তী ছিলেন। কারণ ব্রহ্মগুপ্ত এর উদ্ধৃতি ব্রাহ্মস্ফুট সিদ্ধান্তে দিয়েছেন। আবার আলবিরূণী বলেছেন ব্রহ্মগুপ্ত প্রথম আর্যভটের থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন। তাহলে কুসুমপুরের আর্যভট কে? আলবিদ্ধণীর আগেই দুজন আর্যভট ছিলেন।

একজন ৪৭৬ খ্রীষ্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন অপরজন ৯৫০ খ্রীষ্টাব্দে জীবিত ছিলেন। কিন্তু ১৫০ শ্রীষ্টাব্দের আর্যভটের সঙ্গে আলবিরূণীর পরিচয় ছিল না। কোন উদ্ধৃতিও তাঁর সঙ্গে মেলে না। বরং একটি উদ্ধৃতি এই আর্যভটের মতের বিরোধী। আবার আলবিরূণীর প্রমাণেই বলা যায় কুহুমপুরের আর্যভট দশম শতাব্দীর মত এত পরবর্তীকালের পণ্ডিত নন।

তাহলে কি কুসুমপুরের আর্যভট কোন নূতন পণ্ডিত? এ অনুমান নিরাপদ নয়। কারণ দ্বিতীয় ভাস্করাচার্যের পূর্বে কোন ভারতীয় গণিতবিদই দুজন আর্যভটের অস্তিত্বের কথা বলেন নাই। ডঃ দত্ত এই প্রসঙ্গে বলেছেন কুসুমপুরের আর্যভট একটি আকাশকুসুম চিন্তা মাত্র। একজনকেই দুজন বলে ভুল করা হয়েছে। অবশ্য এমত শঙ্কর বালকৃষ্ণ দীক্ষিতেরও।

(চলবে)

জনপ্রিয় সংবাদ

সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৬৪)

০৩:৩৯:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

এবার দেখা যাক আর্যভটীয় গ্রন্থটি কোন আর্যভটের রচনা। আর্যভটীয়ের রচনা-কার নিশ্চয়ই ব্রহ্মগুপ্তের পূর্ববর্তী ছিলেন। কারণ ব্রহ্মগুপ্ত এর উদ্ধৃতি ব্রাহ্মস্ফুট সিদ্ধান্তে দিয়েছেন। আবার আলবিরূণী বলেছেন ব্রহ্মগুপ্ত প্রথম আর্যভটের থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন। তাহলে কুসুমপুরের আর্যভট কে? আলবিদ্ধণীর আগেই দুজন আর্যভট ছিলেন।

একজন ৪৭৬ খ্রীষ্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন অপরজন ৯৫০ খ্রীষ্টাব্দে জীবিত ছিলেন। কিন্তু ১৫০ শ্রীষ্টাব্দের আর্যভটের সঙ্গে আলবিরূণীর পরিচয় ছিল না। কোন উদ্ধৃতিও তাঁর সঙ্গে মেলে না। বরং একটি উদ্ধৃতি এই আর্যভটের মতের বিরোধী। আবার আলবিরূণীর প্রমাণেই বলা যায় কুহুমপুরের আর্যভট দশম শতাব্দীর মত এত পরবর্তীকালের পণ্ডিত নন।

তাহলে কি কুসুমপুরের আর্যভট কোন নূতন পণ্ডিত? এ অনুমান নিরাপদ নয়। কারণ দ্বিতীয় ভাস্করাচার্যের পূর্বে কোন ভারতীয় গণিতবিদই দুজন আর্যভটের অস্তিত্বের কথা বলেন নাই। ডঃ দত্ত এই প্রসঙ্গে বলেছেন কুসুমপুরের আর্যভট একটি আকাশকুসুম চিন্তা মাত্র। একজনকেই দুজন বলে ভুল করা হয়েছে। অবশ্য এমত শঙ্কর বালকৃষ্ণ দীক্ষিতেরও।

(চলবে)