১১:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

বাংলাদেশে ‘ভালো মশা’ প্রযুক্তি: বাস্তবায়নের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

  • Sarakhon Report
  • ০৭:৩০:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • 58

সারাক্ষণ রিপোর্ট

ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাংলাদেশে ‘ভালো মশা’ বা উলবাকিয়া-আক্রান্ত এডিস ইজিপ্টি মশা ব্যবহার একটি নতুন সম্ভাবনা হিসেবে দেখা দিয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই মশাগুলো ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমণ ৯২.৭% পর্যন্ত কমাতে সক্ষম। তবে এই প্রযুক্তি বাস্তবায়নের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক বিবেচনা করা প্রয়োজন।

বাস্তবায়নের সম্ভাবনা

পরিবেশগত উপযোগিতা: গবেষণায় তৈরি ‘wAlbB2-Dhaka’ স্ট্রেইন ঢাকার উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সক্ষম, যা মাঠপর্যায়ে প্রয়োগের জন্য ইতিবাচক।

প্রাকৃতিক ও নিরাপদ: উলবাকিয়া একটি প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়া, যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয় এবং এটি জেনেটিক্যালি পরিবর্তিত নয়, ফলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য নিরাপদ।

আন্তর্জাতিক সফলতা: অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশে এই প্রযুক্তি প্রয়োগে ডেঙ্গু সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য আশাব্যঞ্জক।

চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

মাঠপর্যায়ের পরীক্ষা: গবেষণাগারে সফল হলেও বাস্তব পরিবেশে এর কার্যকারিতা যাচাই করা প্রয়োজন। এজন্য সুপরিকল্পিত মাঠপর্যায়ের পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ জরুরি।

জনসচেতনতা ও অংশগ্রহণ: জনগণের আস্থা ও অংশগ্রহণ ছাড়া এই উদ্যোগ সফল হবে না। তাই সচেতনতা বৃদ্ধি ও সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

নীতিগত ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি: সরকারের নীতিগত সমর্থন, প্রয়োজনীয় অনুমোদন এবং প্রশাসনিক প্রস্তুতি এই প্রযুক্তি বাস্তবায়নের জন্য অপরিহার্য।

বিশেষজ্ঞদের মতামত

  • ড. শফিউল আলম (আইসিডিডিআর,বি): “উলবাকিয়া একটি প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়া, এটি নিরাপদ ও কার্যকর। এটি বাংলাদেশের জন্য নতুন প্রতিরক্ষার পথ খুলে দিতে পারে।”
  • হাসান মোহাম্মদ আল-আমিন (প্রধান লেখক): “মাঠপর্যায়ের পরীক্ষার জন্য এই গবেষণা ভিত্তি তৈরি করেছে। তবে বাস্তবায়নের আগে সুপরিকল্পিত যাচাই দরকার।”
  • ড. তাহমিদ আহমেদ (নির্বাহী পরিচালকআইসিডিডিআর,বি): “আমরা সরকারকে মাঠপর্যায়ের পরীক্ষায় সহায়তা করতে প্রস্তুত। পাশাপাশি ডেঙ্গু টিকা উন্নয়নেও অগ্রগতি হয়েছে।”

উপসংহার

‘ভালো মশা’ প্রযুক্তি বাংলাদেশের ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে একটি সম্ভাবনাময় ও টেকসই সমাধান হতে পারে। তবে এর সফল বাস্তবায়নের জন্য মাঠপর্যায়ের পরীক্ষা, জনগণের সচেতনতা ও অংশগ্রহণ, এবং সরকারের নীতিগত সহায়তা অপরিহার্য। সঠিক পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে এই প্রযুক্তি ডেঙ্গু প্রতিরোধে একটি কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

বাংলাদেশে ‘ভালো মশা’ প্রযুক্তি: বাস্তবায়নের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

০৭:৩০:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাংলাদেশে ‘ভালো মশা’ বা উলবাকিয়া-আক্রান্ত এডিস ইজিপ্টি মশা ব্যবহার একটি নতুন সম্ভাবনা হিসেবে দেখা দিয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই মশাগুলো ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমণ ৯২.৭% পর্যন্ত কমাতে সক্ষম। তবে এই প্রযুক্তি বাস্তবায়নের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক বিবেচনা করা প্রয়োজন।

বাস্তবায়নের সম্ভাবনা

পরিবেশগত উপযোগিতা: গবেষণায় তৈরি ‘wAlbB2-Dhaka’ স্ট্রেইন ঢাকার উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সক্ষম, যা মাঠপর্যায়ে প্রয়োগের জন্য ইতিবাচক।

প্রাকৃতিক ও নিরাপদ: উলবাকিয়া একটি প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়া, যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয় এবং এটি জেনেটিক্যালি পরিবর্তিত নয়, ফলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য নিরাপদ।

আন্তর্জাতিক সফলতা: অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশে এই প্রযুক্তি প্রয়োগে ডেঙ্গু সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য আশাব্যঞ্জক।

চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

মাঠপর্যায়ের পরীক্ষা: গবেষণাগারে সফল হলেও বাস্তব পরিবেশে এর কার্যকারিতা যাচাই করা প্রয়োজন। এজন্য সুপরিকল্পিত মাঠপর্যায়ের পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ জরুরি।

জনসচেতনতা ও অংশগ্রহণ: জনগণের আস্থা ও অংশগ্রহণ ছাড়া এই উদ্যোগ সফল হবে না। তাই সচেতনতা বৃদ্ধি ও সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

নীতিগত ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি: সরকারের নীতিগত সমর্থন, প্রয়োজনীয় অনুমোদন এবং প্রশাসনিক প্রস্তুতি এই প্রযুক্তি বাস্তবায়নের জন্য অপরিহার্য।

বিশেষজ্ঞদের মতামত

  • ড. শফিউল আলম (আইসিডিডিআর,বি): “উলবাকিয়া একটি প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়া, এটি নিরাপদ ও কার্যকর। এটি বাংলাদেশের জন্য নতুন প্রতিরক্ষার পথ খুলে দিতে পারে।”
  • হাসান মোহাম্মদ আল-আমিন (প্রধান লেখক): “মাঠপর্যায়ের পরীক্ষার জন্য এই গবেষণা ভিত্তি তৈরি করেছে। তবে বাস্তবায়নের আগে সুপরিকল্পিত যাচাই দরকার।”
  • ড. তাহমিদ আহমেদ (নির্বাহী পরিচালকআইসিডিডিআর,বি): “আমরা সরকারকে মাঠপর্যায়ের পরীক্ষায় সহায়তা করতে প্রস্তুত। পাশাপাশি ডেঙ্গু টিকা উন্নয়নেও অগ্রগতি হয়েছে।”

উপসংহার

‘ভালো মশা’ প্রযুক্তি বাংলাদেশের ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে একটি সম্ভাবনাময় ও টেকসই সমাধান হতে পারে। তবে এর সফল বাস্তবায়নের জন্য মাঠপর্যায়ের পরীক্ষা, জনগণের সচেতনতা ও অংশগ্রহণ, এবং সরকারের নীতিগত সহায়তা অপরিহার্য। সঠিক পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে এই প্রযুক্তি ডেঙ্গু প্রতিরোধে একটি কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।