সারাক্ষণ ডেস্ক
সমকালের একটি শিরোনাম “যমুনার সামনে এনসিপি, আপ বাংলাদেশ, শিবির, জুলাই ঐক্য, ইনকিলাব মঞ্চ”
আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার রাত দশটা থেকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। রাত দেড়টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন।
এতে জাতীয় নাগরিক পার্টি, জুলাই ঐক্য, শিবির, আপ বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থী, ইনকিলাব মঞ্চ, ছাত্র পক্ষের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন উপস্থিত হচ্ছেন। ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে মিছিল।
এ দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশ-র্যাব অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান করছেন। তারা নানা স্লোগান দিচ্ছেন। তারা ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামীলীগ নো মোর’, খুনি লীগের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে, ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
কর্মসূচিতে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, আপ বাংলাদেশের আলী আহসান জুনায়েদ, রাফে সালমান রিফাত, মোহাম্মদ হিযবুল্লাহ, শিবিরের দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, ইনকিলাব মঞ্চের শরীফ ওসমান হাদিসহ কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন।
আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “আইভীকে গ্রেপ্তারে গিয়ে সমর্থকদের ঘেরাওয়ের মুখে পুলিশ”
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হাজারো সমর্থকের ঘেরাওয়ের মুখে পড়েছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে শহরের দেওভোগ এলাকায় আইভীর বাড়িতে সদর মডেল থানা পুলিশ অভিযানে যায়।
পুলিশ সদস্যরা আইভীর বাড়িতে প্রবেশ করার পরপরেই বিপুল সংখ্যক সমর্থক ও দেওভোগ অঞ্চলের বাসিন্দারা বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকে।
এসময় ‘দল যার যার, আইভী আপা সবার’, ‘আইভী আপার কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’ স্লোগান দিতে থাকেন শত শত নারী পুরুষ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা পুলিশের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেন, বিক্ষোভের কারণে অভিযান চালানো পুলিশ সদস্যরা বাড়ির বাইরে অবস্থান করছেন। তাদের নিরাপদে নিয়ে আসার জন্য যৌথবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “দেশে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা এখন কওমি”
রাজধানীর শাহজাদপুরে একটি ছোট্ট বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন শরীয়তপুরের ইদ্রিস মোল্লা। সংসার চালান মাছ বিক্রি করে। আর বিকালের দিকে রাস্তার ধারে বসেন টুপি আর আতর নিয়ে। দুই ছেলে আর এক মেয়ে—তিন সন্তানকেই পড়াচ্ছেন কওমি মাদ্রাসায়। ইদ্রিস মোল্লা বলেন, ‘নিজে পড়ালেখা জানি না। সে কারণে কোনো চাকরি করার সুযোগ পাইনি, মাছ ফেরি করে সংসার চালাই। ছেলে-মেয়েদের তাই মাদ্রাসায় পড়ালেখা করাচ্ছি। স্কুলে পড়াতে তো অনেক টাকা-পয়সা লাগে, সে সামর্থ্য তো আর আমার নেই। পাঁচজনের সংসার চালাতেই অনেক কষ্ট হয়ে যায় আমার একার পক্ষে।
শুধু ইদ্রিস মোল্লাই নন, দরিদ্রতার কারণে বিগত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অভিভাবক সন্তানদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে মাদ্রাসাকে বেছে নিয়েছেন। দেশে বর্তমানে মূলধারার মাদ্রাসা রয়েছে দুই ধরনের—আলিয়া ও কওমি। এর মধ্যে আলিয়া মাদ্রাসাগুলো সাধারণত সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হয়। তাদের শিক্ষাক্রমে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সরকারি কারিকুলাম অন্তর্ভুক্ত থাকে। সেই সঙ্গে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্যও সংরক্ষণ করে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)। অপরদিকে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা পরিচালিত হয় সম্পূর্ণ বেসরকারিভাবে এবং শিক্ষাক্রমও পুরোপুরি নিজস্ব পদ্ধতিতে তৈরি। এমনকি এ ধারার প্রতিষ্ঠানগুলোয় কোনো মনিটরিং কিংবা অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সুস্পষ্ট পরিসংখ্যান সরকারের কাছে নেই।
দেশে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম বর্তমানে ছয়টি বৃহৎসহ অল্প কিছু ছোট বোর্ডের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় বোর্ড ধরা হয় বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশকে (বেফাক)। এটির অধীনে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত তিন বছরে পরীক্ষার্থী বেড়েছে প্রায় ৫৫ শতাংশ। বেফাকের ২০২২ সালের পরীক্ষায় মোট ২ লাখ ২৫ হাজার ৬৩১ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। সেখানে চলতি বছর ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭৬ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসে। সে হিসাবে তিন বছরের ব্যবধানে পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৪১৫ জন। এর মধ্যে মেয়ে পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়লো”
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর উপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ আরও দুই মাস (৬০ দিন) বাড়ানো হয়েছে। তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ বাড়িয়ে গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর আগে গত ১৩ই মার্চ থেকে তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ দুই মাস (৬০ দিন) বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৩ই মে। মেয়াদ বাড়ানোর আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর উপরের সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের (কোস্ট গার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তারাসহ) ‘দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’-এর ১২ (১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। এর মেয়াদ হবে ১৪ই মে থেকে পরবর্তী ৬০ দিন পর্যন্ত। সারা দেশে তারা এ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
Leave a Reply