০৭:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঈদের ১০ দিনের ছুটি: উৎপাদন, লজিস্টিকস ও রাজস্ব প্রবাহে আর্থিক ঝুঁকির বিশ্লেষণ

  • Sarakhon Report
  • ০৩:১৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • 111

সারাক্ষণ রিপোর্ট

প্রেক্ষাপট

মন্ত্রিপরিষদ ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিন সরকারি ছুটি অনুমোদন করেছে। ১১ ও ১২ জুন নির্বাহী আদেশে অতিরিক্ত ছুটি হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে; ক্ষতিপূরণস্বরূপ ১৭ মে ও ২৪ মে শনিবার সরকারিভাবে অফিস খোলা থাকবে ।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেবা

তফসিলি ব্যাংকের মূল ছুটি ৬ দিন (৫–১০ জুন) হলেও সাপ্তাহিক বন্ধ যুক্ত হয়ে কার্যত ৯ দিন লেনদেন বন্ধ থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে ১৭ মে ও ২৪ মে ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশনা জারি করেছে, কিন্তু ঈদের সপ্তাহে অনলাইন রিয়েল‑টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (RTGS)–এ সীমিত সক্ষমতা থাকবে । দীর্ঘ ব্যাংক ছুটির ফলে এলসি নিষ্পত্তি, ভ্যাট ও শুল্ক পরিশোধ, এবং করপোরেট নগদ‑প্রবাহে বিলম্ব হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

 বন্দর ও লজিস্টিকস পরিস্থিতি

চট্টগ্রাম বন্দরে শুধুমাত্র ঈদের দিনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আট ঘণ্টা অপারেশন বন্ধ থাকবে। তবে বিগত ঈদুল ফিতরের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় যে, ছুটি শুরুর দুই দিন আগেই দৈনিক কনটেইনার ডেলিভারি ৪,৫০০‑৫,০০০ TEU গড় থেকে নেমে ১,৭৫৩ TEU‑তে এসে দাঁড়ায়; ঈদের দিনে শূন্যে নেমে যায় এবং ছুটির পরবর্তী চার দিনে গড়ে মাত্র ৯৩৩ TEU ডেলিভারি হয় । স্বাভাবিক মাল উঠানামা পুনরুদ্ধার হতে তখন প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লেগেছিল। এই ধীরগতি চলতি মাসেও পুনরাবৃত্তি হলে পোর্ট‑ইয়ার্ডে অতিরিক্ত কনটেইনার জমে ডেমারেজ খরচ ও গাড়ি ঘুরেফিরে খালি ফেরার অসুবিধা বাড়াবে।

প্রধান শিল্পখাতে প্রত্যাশিত প্রভাব

নির্মাণ উপকরণ (ইস্পাত‑সিমেন্ট)

কাঁচামাল খালাসে প্রতিদিনের বিলম্ব নির্মাণ প্রকল্পের কাস্ট‑ফ্লো ও কাজের সময়সীমা বাড়াবে, ফলে প্রকল্প‑মালিকদের অর্থনৈতিক বহির্ভরতা বাড়তে পারে।

তৈরি পোশাক (RMG)

ঈদে শ্রমিকদের অতিরিক্ত ছুটি ও গুদাম বন্ধ থাকার কারণে ‘লিড‑টাইম’ বেড়ে যায়। এপ্রিল মাসে গার্মেন্ট শিপমেন্ট কমে যাওয়ায় সামগ্রিক রপ্তানি আয় মাত্র ৩ শতাংশের সামান্য বেশি হয়ে ৩ শ’ কোটি ডলারের অল্প ওপরেই থেমেছিল—যা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন । লাইনে থাকা নতুন ক্রয়াদেশ সময়মতো পাঠাতে না পারলে ক্রেতাদের বিকল্প উৎসে সরে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

ভোগ্যপণ্য ও FMCG

সরবরাহ শৃঙ্খলে বিলম্ব হলে দ্রুত নষ্ট‑যোগ্য (perishable) পণ্যের ইনভেন্টরি কমে খুচরা দামে ঊর্ধ্বগতি তৈরি করতে পারে, যা ভোক্তা মূল্যস্ফীতিকে ত্বরান্বিত করবে।

 রাজস্ব ও সামষ্টিক অর্থনীতি

কাস্টমস ছাড়পত্রে বিলম্বের ফলে সরকারি রাজস্ব (ভ্যাট ও আমদানি শুল্ক) আদায় পেছাবে। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর হিসাব অনুযায়ী, প্রতি কার্যদিবস ছুটিতে জাতীয় কোষাগারে গড়ে প্রায় ২০০–২৫০ কোটি টাকা কম জমা হয়; অতএব ৯ দিন ব্যাংক ও শুল্কায়ন কার্যত বন্ধ থাকলে রাজস্ব আদায়ে কমপক্ষে ১,৫০০–১,৮০০ কোটি টাকার ঘাটতি হতে পারে। বাজার‑ভিত্তিক মডেলে উৎপাদন বন্ধের কারণে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারে ০.১০‑০.১৫ শতাংশ পয়েন্ট পর্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষত এপ্রিলের রপ্তানি সংকোচনের প্রবণতা আরেক দফা দীর্ঘায়িত হলে।

নগদ‑প্রবাহ ও কর্মরত মূলধন

দীর্ঘ ছুটিতে এলসি নিষ্পত্তি ও ব্যাংক পেমেন্ট স্থগিত থাকায় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বর্ধিত ইনভেন্টরি ক্যারিইং কস্ট এবং ওয়ার্কিং ক্যাপিটালে অতিরিক্ত সুদ ব্যয় বহন করতে হবে। ছোট ও মাঝারি (SME) আমদানিকারকেরা লিকুডিটি সংকটে পড়তে পারেন, কারণ পোর্ট‑ডেমারেজ ও বাড়তি গাড়ি‑ভাড়া তাদের কার্যকর নগদ‑প্রবাহের ওপর সরাসরি চাপ সৃষ্টি করে।

 সুপারিশ

স্কেলেটন অপারেশন—কাস্টমস, ব্যাংক, শিপিং এজেন্ট, বিএসটিআই ও কোয়ারেন্টাইন সেল ৩০ শতাংশ জনবল নিয়ে জরুরি কাউন্টার সার্ভিস বহাল রাখলে ক্লিয়ারেন্স‑ডিলেই কমানো সম্ভব।

পোর্ট ফি মওকুফ—বন্দর কর্তৃপক্ষ ছুটির দিনগুলিতে অতিরিক্ত স্টোরেজ ও ডেমারেজ চার্জ ছাড় দিলে কাজে লাগবে, কারণ আমদানিকারকেরা কাজে লাগাতে পারবেন ছুটির পর দ্রুত ডেলিভারি।

ডিজিটাল পেমেন্ট ও ই‑রিলিজ—RTGS, ডকুমেন্টারি কালেকশন ও কাস্টমস ই‑পেমেন্ট সার্ভার ২৪×৭ সচল রাখার নির্দেশনা দ্রুত কার্যকর করতে হবে, যাতে শুল্ক দায়‑মুক্তি অব্যাহত থাকে।

রোটেশনাল লিভ মডেল—BGMEA ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোকে উৎসাহিত করা উচিত, যাতে কারখানাগুলো জোন‑ভিত্তিক পালাক্রমে ৪‑৫ দিন করে ছুটি দিয়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ না করে।

রিয়েল‑টাইম মনিটরিং সেল—বন্দর, কাস্টমস, ব্যাংক ও সড়ক‑রেল কর্তৃপক্ষের যৌথ কন্ট্রোল রুম থেকে প্রতিদিন কনটেইনার ডেলিভারি, শুল্ক আদায় ও ব্যাংক লেনদেন সংক্রান্ত ডেটা প্রকাশ করলে বাজার‑আস্থায় ইতিবাচক সিগন্যাল যাবে।

ঈদে নির্বিঘ্ন যাতায়াত ও সামাজিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে ১০ দিনের ছুটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হলেও কার্যকর সমন্বয় না থাকলে সাপ্লাই‑চেইন, উৎপাদন ও রপ্তানিতে বড়সড় গতি‑রোধের ঝুঁকি তৈরি হবে। বন্দর ২৪×৭ চালু রাখার ঘোষণা তখনই সুফল দেবে, যদি সমান্তরালভাবে ব্যাংক, কাস্টমস ও শিপিং এজেন্ট ন্যূনতম সক্ষমতা ধরে রাখতে পারে। আগাম পরিকল্পিত স্কেলেটন সার্ভিস, ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ও ডেমারেজ‑মওকুফ ব্যবস্থার মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় শমন করা সম্ভব। নচেৎ ঈদের আনন্দ শেষে অর্থনীতিকে স্বাভাবিক প্রবাহে ফেরাতে শিল্প‑ব্যবসা ও সরকার—উভয় পক্ষকে আরও দীর্ঘ সময় ও ব্যয় বহন করতে হবে।

সাপ্তাহিক শেয়ারবাজার: সূচক ও লেনদেন কমেছে, বিনিয়োগকারীদের হতাশা

ঈদের ১০ দিনের ছুটি: উৎপাদন, লজিস্টিকস ও রাজস্ব প্রবাহে আর্থিক ঝুঁকির বিশ্লেষণ

০৩:১৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

প্রেক্ষাপট

মন্ত্রিপরিষদ ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিন সরকারি ছুটি অনুমোদন করেছে। ১১ ও ১২ জুন নির্বাহী আদেশে অতিরিক্ত ছুটি হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে; ক্ষতিপূরণস্বরূপ ১৭ মে ও ২৪ মে শনিবার সরকারিভাবে অফিস খোলা থাকবে ।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেবা

তফসিলি ব্যাংকের মূল ছুটি ৬ দিন (৫–১০ জুন) হলেও সাপ্তাহিক বন্ধ যুক্ত হয়ে কার্যত ৯ দিন লেনদেন বন্ধ থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে ১৭ মে ও ২৪ মে ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশনা জারি করেছে, কিন্তু ঈদের সপ্তাহে অনলাইন রিয়েল‑টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (RTGS)–এ সীমিত সক্ষমতা থাকবে । দীর্ঘ ব্যাংক ছুটির ফলে এলসি নিষ্পত্তি, ভ্যাট ও শুল্ক পরিশোধ, এবং করপোরেট নগদ‑প্রবাহে বিলম্ব হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

 বন্দর ও লজিস্টিকস পরিস্থিতি

চট্টগ্রাম বন্দরে শুধুমাত্র ঈদের দিনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আট ঘণ্টা অপারেশন বন্ধ থাকবে। তবে বিগত ঈদুল ফিতরের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় যে, ছুটি শুরুর দুই দিন আগেই দৈনিক কনটেইনার ডেলিভারি ৪,৫০০‑৫,০০০ TEU গড় থেকে নেমে ১,৭৫৩ TEU‑তে এসে দাঁড়ায়; ঈদের দিনে শূন্যে নেমে যায় এবং ছুটির পরবর্তী চার দিনে গড়ে মাত্র ৯৩৩ TEU ডেলিভারি হয় । স্বাভাবিক মাল উঠানামা পুনরুদ্ধার হতে তখন প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লেগেছিল। এই ধীরগতি চলতি মাসেও পুনরাবৃত্তি হলে পোর্ট‑ইয়ার্ডে অতিরিক্ত কনটেইনার জমে ডেমারেজ খরচ ও গাড়ি ঘুরেফিরে খালি ফেরার অসুবিধা বাড়াবে।

প্রধান শিল্পখাতে প্রত্যাশিত প্রভাব

নির্মাণ উপকরণ (ইস্পাত‑সিমেন্ট)

কাঁচামাল খালাসে প্রতিদিনের বিলম্ব নির্মাণ প্রকল্পের কাস্ট‑ফ্লো ও কাজের সময়সীমা বাড়াবে, ফলে প্রকল্প‑মালিকদের অর্থনৈতিক বহির্ভরতা বাড়তে পারে।

তৈরি পোশাক (RMG)

ঈদে শ্রমিকদের অতিরিক্ত ছুটি ও গুদাম বন্ধ থাকার কারণে ‘লিড‑টাইম’ বেড়ে যায়। এপ্রিল মাসে গার্মেন্ট শিপমেন্ট কমে যাওয়ায় সামগ্রিক রপ্তানি আয় মাত্র ৩ শতাংশের সামান্য বেশি হয়ে ৩ শ’ কোটি ডলারের অল্প ওপরেই থেমেছিল—যা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন । লাইনে থাকা নতুন ক্রয়াদেশ সময়মতো পাঠাতে না পারলে ক্রেতাদের বিকল্প উৎসে সরে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

ভোগ্যপণ্য ও FMCG

সরবরাহ শৃঙ্খলে বিলম্ব হলে দ্রুত নষ্ট‑যোগ্য (perishable) পণ্যের ইনভেন্টরি কমে খুচরা দামে ঊর্ধ্বগতি তৈরি করতে পারে, যা ভোক্তা মূল্যস্ফীতিকে ত্বরান্বিত করবে।

 রাজস্ব ও সামষ্টিক অর্থনীতি

কাস্টমস ছাড়পত্রে বিলম্বের ফলে সরকারি রাজস্ব (ভ্যাট ও আমদানি শুল্ক) আদায় পেছাবে। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর হিসাব অনুযায়ী, প্রতি কার্যদিবস ছুটিতে জাতীয় কোষাগারে গড়ে প্রায় ২০০–২৫০ কোটি টাকা কম জমা হয়; অতএব ৯ দিন ব্যাংক ও শুল্কায়ন কার্যত বন্ধ থাকলে রাজস্ব আদায়ে কমপক্ষে ১,৫০০–১,৮০০ কোটি টাকার ঘাটতি হতে পারে। বাজার‑ভিত্তিক মডেলে উৎপাদন বন্ধের কারণে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারে ০.১০‑০.১৫ শতাংশ পয়েন্ট পর্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষত এপ্রিলের রপ্তানি সংকোচনের প্রবণতা আরেক দফা দীর্ঘায়িত হলে।

নগদ‑প্রবাহ ও কর্মরত মূলধন

দীর্ঘ ছুটিতে এলসি নিষ্পত্তি ও ব্যাংক পেমেন্ট স্থগিত থাকায় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বর্ধিত ইনভেন্টরি ক্যারিইং কস্ট এবং ওয়ার্কিং ক্যাপিটালে অতিরিক্ত সুদ ব্যয় বহন করতে হবে। ছোট ও মাঝারি (SME) আমদানিকারকেরা লিকুডিটি সংকটে পড়তে পারেন, কারণ পোর্ট‑ডেমারেজ ও বাড়তি গাড়ি‑ভাড়া তাদের কার্যকর নগদ‑প্রবাহের ওপর সরাসরি চাপ সৃষ্টি করে।

 সুপারিশ

স্কেলেটন অপারেশন—কাস্টমস, ব্যাংক, শিপিং এজেন্ট, বিএসটিআই ও কোয়ারেন্টাইন সেল ৩০ শতাংশ জনবল নিয়ে জরুরি কাউন্টার সার্ভিস বহাল রাখলে ক্লিয়ারেন্স‑ডিলেই কমানো সম্ভব।

পোর্ট ফি মওকুফ—বন্দর কর্তৃপক্ষ ছুটির দিনগুলিতে অতিরিক্ত স্টোরেজ ও ডেমারেজ চার্জ ছাড় দিলে কাজে লাগবে, কারণ আমদানিকারকেরা কাজে লাগাতে পারবেন ছুটির পর দ্রুত ডেলিভারি।

ডিজিটাল পেমেন্ট ও ই‑রিলিজ—RTGS, ডকুমেন্টারি কালেকশন ও কাস্টমস ই‑পেমেন্ট সার্ভার ২৪×৭ সচল রাখার নির্দেশনা দ্রুত কার্যকর করতে হবে, যাতে শুল্ক দায়‑মুক্তি অব্যাহত থাকে।

রোটেশনাল লিভ মডেল—BGMEA ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোকে উৎসাহিত করা উচিত, যাতে কারখানাগুলো জোন‑ভিত্তিক পালাক্রমে ৪‑৫ দিন করে ছুটি দিয়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ না করে।

রিয়েল‑টাইম মনিটরিং সেল—বন্দর, কাস্টমস, ব্যাংক ও সড়ক‑রেল কর্তৃপক্ষের যৌথ কন্ট্রোল রুম থেকে প্রতিদিন কনটেইনার ডেলিভারি, শুল্ক আদায় ও ব্যাংক লেনদেন সংক্রান্ত ডেটা প্রকাশ করলে বাজার‑আস্থায় ইতিবাচক সিগন্যাল যাবে।

ঈদে নির্বিঘ্ন যাতায়াত ও সামাজিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে ১০ দিনের ছুটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হলেও কার্যকর সমন্বয় না থাকলে সাপ্লাই‑চেইন, উৎপাদন ও রপ্তানিতে বড়সড় গতি‑রোধের ঝুঁকি তৈরি হবে। বন্দর ২৪×৭ চালু রাখার ঘোষণা তখনই সুফল দেবে, যদি সমান্তরালভাবে ব্যাংক, কাস্টমস ও শিপিং এজেন্ট ন্যূনতম সক্ষমতা ধরে রাখতে পারে। আগাম পরিকল্পিত স্কেলেটন সার্ভিস, ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ও ডেমারেজ‑মওকুফ ব্যবস্থার মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় শমন করা সম্ভব। নচেৎ ঈদের আনন্দ শেষে অর্থনীতিকে স্বাভাবিক প্রবাহে ফেরাতে শিল্প‑ব্যবসা ও সরকার—উভয় পক্ষকে আরও দীর্ঘ সময় ও ব্যয় বহন করতে হবে।