১২:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫

শিরোনাম: ২৫ মে আট ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দিলেন পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিকরা

  • Sarakhon Report
  • ০৭:০০:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • 63

সারাক্ষণ রিপোর্ট

আট ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা

বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ আগামী ২৫ মে, সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দেশের সব পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরির কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এ কর্মসূচিটি প্রতীকী প্রতিবাদের অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।

এ কর্মসূচির মাধ্যমে তারা ১০ দফা দাবির প্রেক্ষিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল এসব তথ্য জানান।

কমিশন বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবি

কাবুল জানান, বর্তমানে পেট্রোল ও অকটেন বিক্রিতে ডিপো রেটের ওপর ৫ শতাংশ এবং ডিজেলে ৩ শতাংশ কমিশন নির্ধারিত রয়েছে, যা ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল। তবে তারা কমিশন হার বাড়িয়ে ন্যূনতম ৭ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এতদিন ব্যবসা পরিচালনায় শুধু ডিলারশিপ লাইসেন্স, বিস্ফোরক লাইসেন্স এবং ট্রেড লাইসেন্সই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু সম্প্রতি পরিবেশ, অগ্নি নিরাপত্তা, ফ্যাক্টরি, বিএসটিআই এবং বিএআরসি লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করার নতুন নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, যার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই তারা প্রতিবাদ করে আসছেন।

সরকারের প্রতি সময়সীমা বেঁধে দেওয়া

সংবাদ সম্মেলনে কাবুল আরও বলেন, “আমরা সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি, ২৪ মে’র মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে হবে। এটি আমাদের পক্ষ থেকে শেষ প্রয়াস। এ সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ২৫ মে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সারাদেশে পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।”

এই সময়ের মধ্যে তেল উত্তোলন, পরিবহন, বিক্রি ও বিপণন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে হজ ফ্লাইট ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নির্বিঘ্নে পরিচালনার স্বার্থে জ্বালানি পরিবহন অব্যাহত থাকবে।

১০ দফা দাবির বিস্তারিত

১. তেল বিক্রিতে কমিশন হার বাড়িয়ে ন্যূনতম ৭ শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে।
২. সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমির ইজারার হার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে হবে।
৩. বিএসটিআই যেন আগের মতো শুধু ডিসপেনসিং ইউনিটের সিল-মাপ নিরীক্ষা করে।
৪. আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড টেস্ট ফি এবং রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে।
৫. পেট্রোল পাম্প শিল্প নয়, এটি কমিশন ভিত্তিক ব্যবসা। তাই পরিবেশ, ফ্যাক্টরি, ফায়ার সার্ভিস ও বিএআরসি লাইসেন্সের বাধ্যবাধকতা বাতিল করতে হবে।
৬. বিপণন কোম্পানির ডিলারশিপ ছাড়া সরাসরি জ্বালানি বিক্রি বন্ধ করতে হবে।
৭. ট্যাংকলরি চালকদের সংকট সমাধানে সহজভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে যত্রতত্র ট্যাংকলরি থামানো বন্ধ করতে হবে।
৯. তেলের ডিপোর প্রবেশপথেই কাগজপত্র যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হবে।
১০. সকল ট্যাংকলরির জন্য আন্তঃজেলা রুট পারমিট প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে দেশের জ্বালানি বিতরণব্যবস্থায় সাময়িক ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্টরা সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের আশায় রয়েছেন।

আপনি কি চান এই আন্দোলনের পটভূমিতে অতীতে এমন ধরনের আন্দোলনের উদাহরণসহ বিশ্লেষণ দেওয়া হোক?

শিরোনাম: ২৫ মে আট ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দিলেন পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিকরা

০৭:০০:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

আট ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা

বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ আগামী ২৫ মে, সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দেশের সব পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরির কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এ কর্মসূচিটি প্রতীকী প্রতিবাদের অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।

এ কর্মসূচির মাধ্যমে তারা ১০ দফা দাবির প্রেক্ষিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল এসব তথ্য জানান।

কমিশন বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবি

কাবুল জানান, বর্তমানে পেট্রোল ও অকটেন বিক্রিতে ডিপো রেটের ওপর ৫ শতাংশ এবং ডিজেলে ৩ শতাংশ কমিশন নির্ধারিত রয়েছে, যা ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল। তবে তারা কমিশন হার বাড়িয়ে ন্যূনতম ৭ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এতদিন ব্যবসা পরিচালনায় শুধু ডিলারশিপ লাইসেন্স, বিস্ফোরক লাইসেন্স এবং ট্রেড লাইসেন্সই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু সম্প্রতি পরিবেশ, অগ্নি নিরাপত্তা, ফ্যাক্টরি, বিএসটিআই এবং বিএআরসি লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করার নতুন নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, যার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই তারা প্রতিবাদ করে আসছেন।

সরকারের প্রতি সময়সীমা বেঁধে দেওয়া

সংবাদ সম্মেলনে কাবুল আরও বলেন, “আমরা সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি, ২৪ মে’র মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে হবে। এটি আমাদের পক্ষ থেকে শেষ প্রয়াস। এ সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ২৫ মে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সারাদেশে পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।”

এই সময়ের মধ্যে তেল উত্তোলন, পরিবহন, বিক্রি ও বিপণন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে হজ ফ্লাইট ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নির্বিঘ্নে পরিচালনার স্বার্থে জ্বালানি পরিবহন অব্যাহত থাকবে।

১০ দফা দাবির বিস্তারিত

১. তেল বিক্রিতে কমিশন হার বাড়িয়ে ন্যূনতম ৭ শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে।
২. সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমির ইজারার হার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে হবে।
৩. বিএসটিআই যেন আগের মতো শুধু ডিসপেনসিং ইউনিটের সিল-মাপ নিরীক্ষা করে।
৪. আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড টেস্ট ফি এবং রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে।
৫. পেট্রোল পাম্প শিল্প নয়, এটি কমিশন ভিত্তিক ব্যবসা। তাই পরিবেশ, ফ্যাক্টরি, ফায়ার সার্ভিস ও বিএআরসি লাইসেন্সের বাধ্যবাধকতা বাতিল করতে হবে।
৬. বিপণন কোম্পানির ডিলারশিপ ছাড়া সরাসরি জ্বালানি বিক্রি বন্ধ করতে হবে।
৭. ট্যাংকলরি চালকদের সংকট সমাধানে সহজভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে যত্রতত্র ট্যাংকলরি থামানো বন্ধ করতে হবে।
৯. তেলের ডিপোর প্রবেশপথেই কাগজপত্র যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হবে।
১০. সকল ট্যাংকলরির জন্য আন্তঃজেলা রুট পারমিট প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে দেশের জ্বালানি বিতরণব্যবস্থায় সাময়িক ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্টরা সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের আশায় রয়েছেন।

আপনি কি চান এই আন্দোলনের পটভূমিতে অতীতে এমন ধরনের আন্দোলনের উদাহরণসহ বিশ্লেষণ দেওয়া হোক?