০৬:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

রাফাল নির্মাতা দাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ারে ধস, পাকিস্তানের জে-১০ নির্মাতা চীনা সিএসি-র উত্থান

  • Sarakhon Report
  • ০৫:৫০:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • 27

সারাক্ষণ ডেস্ক

ভারত-পাকিস্তানের চলমান উত্তেজনার মধ্যে ভারত কর্তৃক পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন সিন্দুর’-এ রাফাল যুদ্ধবিমান ব্যবহারের খবরে ইউরোপীয় শেয়ারবাজারে বড় ধাক্কা খেল ফ্রান্সের যুদ্ধবিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান দাসো অ্যাভিয়েশন। গত সোমবার প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের মূল্য একদিনেই প্রায় ৭ শতাংশ কমে ইউরো ২৯২-এ নেমে আসে। দিনভর শেয়ারের দর ওঠানামা করছিল ইউরো ২৯১ থেকে ২৯৫-এর মধ্যে।

এদিকে পাকিস্তানের ব্যবহৃত জে-১০ যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী চীনের চেংডু এয়ারক্রাফট করপোরেশন (সিএসি)-এর শেয়ার গত ১২ মে একদিনেই বেড়েছে ২০ শতাংশ। এদিন চীনের এই কোম্পানিটির শেয়ারের দর ছিল ৯৫.৮৬ ইউয়ানযা গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি।

ভারতীয় বিমানবাহিনী গত ৭ মে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত সন্ত্রাসী স্থাপনায় অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি সফল অভিযান পরিচালনা করে। লাইভ মিন্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়এই অভিযানে ভারতের ব্যবহৃত রাফাল যুদ্ধবিমানগুলো স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল এবং হ্যামার মিউনিশনে সজ্জিত ছিল। অভিযানের সময় পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করা হয়নি বলেও দাবি করা হয়।

অভিযানের পর গত ৮ মে দাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ারের দাম ইউরোপীয় স্টক এক্সচেঞ্জ ইউরোনেক্সট প্যারিসে ১.৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ইউরো ৩২৫.৮-তে পৌঁছে। এতে চলতি বছরের শুরু থেকে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের মোট বৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ৬৬.৭ শতাংশযেখানে গত ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারের মূল্য ছিল ইউরো ১৯৫.৯০।

কিন্তু এরপর থেকেই টানা পাঁচটি ট্রেডিং সেশনে দাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ারের দাম ১০ শতাংশের বেশি কমে যায়।

লক্ষ্মীশ্রী ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটিজের গবেষণা বিভাগের প্রধান অংশুল জৈন বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের খবরে দাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ার বাজারে অস্থিতিশীলতা বেড়েছে। শেয়ারের দর বর্তমানে ২৯২২৯১ ইউরোর গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন স্তরে পৌঁছেছে। এই স্তর ভেঙে গেলে শেয়ারের দাম দ্রুত ২৬০ ইউরো পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে সম্প্রতি ভারত ও ফ্রান্স ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য ২৬টি নৌ-সংস্করণের রাফাল বিমান কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির মূল্য প্রায় ৬৩ হাজার কোটি রুপি। বিমানগুলো ভারতের বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তে মোতায়েন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (সিসিএস) সরকারি পর্যায়ে এই চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। মোট ২৬টি রাফাল বিমানের মধ্যে ২২টি এক আসনের যুদ্ধবিমান এবং চারটি দ্বি-আসনের প্রশিক্ষণ বিমান রয়েছে।

উল্লেখ্যভারতীয় বিমানবাহিনী বর্তমানে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান পরিচালনা করছে। এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণমেরামতপ্রশিক্ষণ এবং সিমুলেশন কার্যক্রম পরিচালিত হয় ভারতের আম্বালা বিমানঘাঁটিতে।

চেংডু এয়ারক্রাফট করপোরেশনের উত্থান

চীনের মূল ভূখণ্ডের শেয়ারবাজারে চেংডু এয়ারক্রাফট করপোরেশনের শেয়ারের দর সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের পর দ্রুত বৃদ্ধি পায়। গত ৬ মে শেয়ারের দর ৫৯.২৩ ইউয়ান থাকলেও মাত্র তিন দিনের মাথায় এটি ৫০ শতাংশ বেড়ে ৮৮.৮৮ ইউয়ানে পৌঁছায়। যদিও মুনাফা গ্রহণের কারণে ৯ মে তা কিছুটা কমে ৭৯.৮৮ ইউয়ানে বন্ধ হয়তারপরও ৬ মের তুলনায় তা ৩৫ শতাংশ বেশি।

উল্লেখ্যপাকিস্তানের ব্যবহৃত জে-১০সি যুদ্ধবিমান চীনের তৈরি একটি এক-ইঞ্জিন বিশিষ্ট হালকা যুদ্ধবিমানযার ডাকনাম মেংলং‘ বা তেজস্বী ড্রাগন। ১৯৯৮ সালে প্রথম পরীক্ষামূলক উড়ানের পর ২০০৩ সালে এটি চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ারফোর্সে (পিএলএএফ) মোতায়েন করা হয়। বিমানটির জে-১০সি সংস্করণ ২০১৮ সালে উন্নত করে বৈদ্যুতিক প্রযুক্তিতে সুসজ্জিত করা হয় এবং ২০২২ সালে পাকিস্তানে রপ্তানি করা হ

তথ্য সূত্র ( হিন্দুস্থান টাইমস)

রাফাল নির্মাতা দাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ারে ধস, পাকিস্তানের জে-১০ নির্মাতা চীনা সিএসি-র উত্থান

০৫:৫০:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

ভারত-পাকিস্তানের চলমান উত্তেজনার মধ্যে ভারত কর্তৃক পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন সিন্দুর’-এ রাফাল যুদ্ধবিমান ব্যবহারের খবরে ইউরোপীয় শেয়ারবাজারে বড় ধাক্কা খেল ফ্রান্সের যুদ্ধবিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান দাসো অ্যাভিয়েশন। গত সোমবার প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের মূল্য একদিনেই প্রায় ৭ শতাংশ কমে ইউরো ২৯২-এ নেমে আসে। দিনভর শেয়ারের দর ওঠানামা করছিল ইউরো ২৯১ থেকে ২৯৫-এর মধ্যে।

এদিকে পাকিস্তানের ব্যবহৃত জে-১০ যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী চীনের চেংডু এয়ারক্রাফট করপোরেশন (সিএসি)-এর শেয়ার গত ১২ মে একদিনেই বেড়েছে ২০ শতাংশ। এদিন চীনের এই কোম্পানিটির শেয়ারের দর ছিল ৯৫.৮৬ ইউয়ানযা গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি।

ভারতীয় বিমানবাহিনী গত ৭ মে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত সন্ত্রাসী স্থাপনায় অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি সফল অভিযান পরিচালনা করে। লাইভ মিন্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়এই অভিযানে ভারতের ব্যবহৃত রাফাল যুদ্ধবিমানগুলো স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল এবং হ্যামার মিউনিশনে সজ্জিত ছিল। অভিযানের সময় পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করা হয়নি বলেও দাবি করা হয়।

অভিযানের পর গত ৮ মে দাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ারের দাম ইউরোপীয় স্টক এক্সচেঞ্জ ইউরোনেক্সট প্যারিসে ১.৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ইউরো ৩২৫.৮-তে পৌঁছে। এতে চলতি বছরের শুরু থেকে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের মোট বৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ৬৬.৭ শতাংশযেখানে গত ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারের মূল্য ছিল ইউরো ১৯৫.৯০।

কিন্তু এরপর থেকেই টানা পাঁচটি ট্রেডিং সেশনে দাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ারের দাম ১০ শতাংশের বেশি কমে যায়।

লক্ষ্মীশ্রী ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটিজের গবেষণা বিভাগের প্রধান অংশুল জৈন বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের খবরে দাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ার বাজারে অস্থিতিশীলতা বেড়েছে। শেয়ারের দর বর্তমানে ২৯২২৯১ ইউরোর গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন স্তরে পৌঁছেছে। এই স্তর ভেঙে গেলে শেয়ারের দাম দ্রুত ২৬০ ইউরো পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে সম্প্রতি ভারত ও ফ্রান্স ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য ২৬টি নৌ-সংস্করণের রাফাল বিমান কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির মূল্য প্রায় ৬৩ হাজার কোটি রুপি। বিমানগুলো ভারতের বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তে মোতায়েন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (সিসিএস) সরকারি পর্যায়ে এই চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। মোট ২৬টি রাফাল বিমানের মধ্যে ২২টি এক আসনের যুদ্ধবিমান এবং চারটি দ্বি-আসনের প্রশিক্ষণ বিমান রয়েছে।

উল্লেখ্যভারতীয় বিমানবাহিনী বর্তমানে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান পরিচালনা করছে। এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণমেরামতপ্রশিক্ষণ এবং সিমুলেশন কার্যক্রম পরিচালিত হয় ভারতের আম্বালা বিমানঘাঁটিতে।

চেংডু এয়ারক্রাফট করপোরেশনের উত্থান

চীনের মূল ভূখণ্ডের শেয়ারবাজারে চেংডু এয়ারক্রাফট করপোরেশনের শেয়ারের দর সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের পর দ্রুত বৃদ্ধি পায়। গত ৬ মে শেয়ারের দর ৫৯.২৩ ইউয়ান থাকলেও মাত্র তিন দিনের মাথায় এটি ৫০ শতাংশ বেড়ে ৮৮.৮৮ ইউয়ানে পৌঁছায়। যদিও মুনাফা গ্রহণের কারণে ৯ মে তা কিছুটা কমে ৭৯.৮৮ ইউয়ানে বন্ধ হয়তারপরও ৬ মের তুলনায় তা ৩৫ শতাংশ বেশি।

উল্লেখ্যপাকিস্তানের ব্যবহৃত জে-১০সি যুদ্ধবিমান চীনের তৈরি একটি এক-ইঞ্জিন বিশিষ্ট হালকা যুদ্ধবিমানযার ডাকনাম মেংলং‘ বা তেজস্বী ড্রাগন। ১৯৯৮ সালে প্রথম পরীক্ষামূলক উড়ানের পর ২০০৩ সালে এটি চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ারফোর্সে (পিএলএএফ) মোতায়েন করা হয়। বিমানটির জে-১০সি সংস্করণ ২০১৮ সালে উন্নত করে বৈদ্যুতিক প্রযুক্তিতে সুসজ্জিত করা হয় এবং ২০২২ সালে পাকিস্তানে রপ্তানি করা হ

তথ্য সূত্র ( হিন্দুস্থান টাইমস)