০৪:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

জাপানে আগামীতে চালের দাম বেশিই থাকবে

  • Sarakhon Report
  • ০১:৫৮:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • 74

সারাক্ষণ রিপোর্ট

জাপানে চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে স্টক মুক্ত এবং আমদানি নীতিমালায় শিথিলতা আনা হলেও কার্যকর প্রভাব পড়েনি। বিশ্লেষকেরা সতর্ক করছেনদেশটির বহু পুরোনো কৃষি নীতি এবং সরবরাহ সংকটের কারণে চালের দাম দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বেশি থাকতে পারে।

জাপানের কৃষিবন ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ীমে মাসের ৪ তারিখ শেষ হওয়া সপ্তাহে চালের দাম ১৮ সপ্তাহ পর প্রথমবারের মতো একটু কমলেও তা ছিল প্রতি পাঁচ কেজিতে ৪,২১৪ ইয়েন (প্রায় ২৮.৫০ মার্কিন ডলার)। এটি এক বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

২০২৪ সালের গ্রীষ্মে শুরু হওয়া এই মূল্যবৃদ্ধি খাদ্য খাতে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। কনভিনিয়েন্স স্টোরগুলো চাল দিয়ে তৈরি খাবারের দাম বাড়িয়েছে এবং জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট চেইন ম্যাটসুয়া ও ইয়োশিনোয়া খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিদেশি কিংবা মিশ্রিত চাল ব্যবহার করছে।

চাল সংকটের কারণ: চাহিদা ও সরবরাহ দুই-ই দায়ী

উৎসুনোমিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতিবিদ ও সহকারী অধ্যাপক ওগাওয়া মাসায়ুকি জানিয়েছেনচালের দাম বাড়ার পেছনে রেকর্ড পর্যটন প্রবাহ এবং দক্ষিণ জাপানের নানকাই ট্রাফ ভূকম্পনের শঙ্কায় অতিরিক্ত মজুতকরণ বড় ভূমিকা রেখেছে।

অন্যদিকে২০২৩ সালের প্রচণ্ড গরমে চালের মান ব্যাপকভাবে নষ্ট হয়েছিল। এর ফলেসাধারণত সাকুমিসো এবং চালভাজা খাবারের জন্য সংগ্রহ করা চালের পরিমাণ হ্রাস পায়। ফলে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যে খাওয়ার উপযোগী চাল ব্যবহৃত হওয়ায় চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্য ভেঙে পড়ে।

জেন্টান নীতির প্রভাব: পুরোনো দশকের কৃষি নিয়ন্ত্রণ এখনও বিদ্যমান

তোহোকু বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্টডক্টরাল গবেষক পার্ক সেওহি অ্যাশলি বলেনজাপানের পুরনো জেন্টান‘ নীতি এখনো চাল উৎপাদন সীমিত করছে। ১৯৭০ সালে চালের অতিরিক্ত উৎপাদন রোধ এবং কৃষকের আয় নিশ্চিত করতে চালু হওয়া এ ব্যবস্থায় কম জমিতে চাষে ভর্তুকি এবং কোটা না মানলে জরিমানা ছিল।

২০১৮ সালে এটি বাতিল হলেও বাস্তবে এখনও এটি কার্যকর থাকে। সরকার কৃষি সমিতিগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ে কৃত্রিমভাবে দাম বাড়িয়ে রাখতে উৎপাদন পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছে। পার্কের মতেএই নীতির ফলে জাপান হঠাৎ সরবরাহ সংকটে দ্রুত সাড়া দিতে অক্ষম হয়ে পড়েছে।

২০২৪ সালের নতুন ফসল আসার পর বাজার স্থিতিশীল হবে বলে সরকার আশা করলেও বাস্তবে দামের ঊর্ধ্বগতি বজায় ছিল। সরকার প্রাথমিকভাবে রিজার্ভ চাল মুক্ত করতে দ্বিধা করায় দাম আরও বেড়ে যায়। পরবর্তীতে রিজার্ভ চাল নিলামে তোলা হলেও তা বাজারে প্রভাব ফেলেনি।

বাজারে দেরিতে পৌঁছায় রিজার্ভ চাল

সরকার ১৯৯৫ সালে রিজার্ভ চাল ব্যবস্থা চালু করলেও এ বছর প্রথমবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া সরবরাহ সংকটে তা ব্যবহার করছে। মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত তিন দফায় ৩ লাখ টনের বেশি চাল নিলামে ছাড়া হয়েছে।

কিন্তু ন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ অ্যাসোসিয়েশনস (জেন-নো)যারা নিলামের বেশিরভাগ চাল কিনেছেতারা তা প্রথমে পাইকারদের কাছে সরবরাহ করেপরে তা খুচরা বাজারে পৌঁছায়। ফলে বাজারে প্রবেশে সময় লাগে।

পার্ক বলেন, “যেমন মার্চে মুক্ত চাল দোকানে পৌঁছাতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যায়ফলে তাৎক্ষণিক ঘাটতি পূরণ হয়নি।

১৩ মে পর্যন্তমার্চ মাসে কেনা ১,৯৯,২৭০ টন চালের মাত্র ৩২ শতাংশই বিতরণ করেছে জেন-নো। দিনে ২-৩ হাজার টন করে চাল সরবরাহ করলেও খুচরা বাজারে তা পর্যাপ্ত হারে পৌঁছায়নি।

চাল আমদানিতে নতুন উদ্যোগ ও রাজনৈতিক সংকট

সরকার চাল আমদানিও বাড়ানোর কথা ভাবছে। ২০ বছরের মধ্যে প্রথমবার মার্চে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে চাল আমদানি করেছে জাপান। যুক্তরাষ্ট্র থেকেও আমদানি বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ন্যূনতম প্রবেশাধিকার‘ চুক্তির আওতায় জাপান প্রতিবছর প্রায় ৭,৭০,০০০ টন চাল শুল্কমুক্ত আমদানি করে। কোটা ছাড়ালে প্রতি কেজিতে ৩৪১ ইয়েন শুল্ক বসে। গত অর্থবছরে এ কোটা অনুযায়ী ৪৫ শতাংশ চাল সরবরাহ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

তবে চালকে ঘিরে রাজনীতি জাপানে খুবই সংবেদনশীল। কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থক। ফলে এই নির্বাচনী বছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশি চাল আমদানির প্রস্তাব বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

রিতসুমেইকান এশিয়া-প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অধ্যাপক সাতো ইয়োইচিরো বলেন, “জাপান সম্ভবত আমদানি কোটা না বাড়িয়ে অন্য দেশ থেকে চাল আমদানির উৎস পরিবর্তন করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়ানোর চেষ্টা করবে।” এতে অভ্যন্তরীণ কৃষকরা কম ক্ষতিগ্রস্ত হবেকারণ আমদানিকৃত চাল প্রধানত প্রক্রিয়াজাত খাদ্যে ব্যবহৃত হয়।

তাঁর মতেচালের দাম আরও বাড়তে পারেবিশেষ করে চালভিত্তিক প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের দাম বাড়বে। কারণআমদানি কোটা পূরণ করতেও যথেষ্ট সরবরাহ আসতে সময় লাগবে।

২০২৫ সালের ফসল নিয়ে আগাম দর-কষাকষি শুরু

ওগাওয়া বলেনসরকার নীতিগত বড় কোনো পরিবর্তন না আনলে চালের দাম কমবে না। ইতোমধ্যেই ২০২৫ সালের ফসল নিয়ে ব্যবসায়ীরা কৃষকদের সঙ্গে বেশি দামে আগাম চুক্তি করছে।

তিনি বলেন, “এ ধরনের আগাম দর-কষাকষি এই প্রথম দেখা যাচ্ছে।

এছাড়া চালের দামে পার্থক্য ক্রমেই বাড়ছে। অনেক ক্রেতা সস্তা মিশ্রিত চাল বেছে নিচ্ছেন। ওগাওয়ার মতে২০২৭ সাল পর্যন্ত প্রতি পাঁচ কেজি চালের দামে ৩,৮০০ ইয়েন থেকে ৬,৫০০ ইয়েন পর্যন্ত পার্থক্য থাকতে পারে।

জাপানে আগামীতে চালের দাম বেশিই থাকবে

০১:৫৮:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

জাপানে চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে স্টক মুক্ত এবং আমদানি নীতিমালায় শিথিলতা আনা হলেও কার্যকর প্রভাব পড়েনি। বিশ্লেষকেরা সতর্ক করছেনদেশটির বহু পুরোনো কৃষি নীতি এবং সরবরাহ সংকটের কারণে চালের দাম দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বেশি থাকতে পারে।

জাপানের কৃষিবন ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ীমে মাসের ৪ তারিখ শেষ হওয়া সপ্তাহে চালের দাম ১৮ সপ্তাহ পর প্রথমবারের মতো একটু কমলেও তা ছিল প্রতি পাঁচ কেজিতে ৪,২১৪ ইয়েন (প্রায় ২৮.৫০ মার্কিন ডলার)। এটি এক বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

২০২৪ সালের গ্রীষ্মে শুরু হওয়া এই মূল্যবৃদ্ধি খাদ্য খাতে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। কনভিনিয়েন্স স্টোরগুলো চাল দিয়ে তৈরি খাবারের দাম বাড়িয়েছে এবং জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট চেইন ম্যাটসুয়া ও ইয়োশিনোয়া খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিদেশি কিংবা মিশ্রিত চাল ব্যবহার করছে।

চাল সংকটের কারণ: চাহিদা ও সরবরাহ দুই-ই দায়ী

উৎসুনোমিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতিবিদ ও সহকারী অধ্যাপক ওগাওয়া মাসায়ুকি জানিয়েছেনচালের দাম বাড়ার পেছনে রেকর্ড পর্যটন প্রবাহ এবং দক্ষিণ জাপানের নানকাই ট্রাফ ভূকম্পনের শঙ্কায় অতিরিক্ত মজুতকরণ বড় ভূমিকা রেখেছে।

অন্যদিকে২০২৩ সালের প্রচণ্ড গরমে চালের মান ব্যাপকভাবে নষ্ট হয়েছিল। এর ফলেসাধারণত সাকুমিসো এবং চালভাজা খাবারের জন্য সংগ্রহ করা চালের পরিমাণ হ্রাস পায়। ফলে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যে খাওয়ার উপযোগী চাল ব্যবহৃত হওয়ায় চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্য ভেঙে পড়ে।

জেন্টান নীতির প্রভাব: পুরোনো দশকের কৃষি নিয়ন্ত্রণ এখনও বিদ্যমান

তোহোকু বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্টডক্টরাল গবেষক পার্ক সেওহি অ্যাশলি বলেনজাপানের পুরনো জেন্টান‘ নীতি এখনো চাল উৎপাদন সীমিত করছে। ১৯৭০ সালে চালের অতিরিক্ত উৎপাদন রোধ এবং কৃষকের আয় নিশ্চিত করতে চালু হওয়া এ ব্যবস্থায় কম জমিতে চাষে ভর্তুকি এবং কোটা না মানলে জরিমানা ছিল।

২০১৮ সালে এটি বাতিল হলেও বাস্তবে এখনও এটি কার্যকর থাকে। সরকার কৃষি সমিতিগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ে কৃত্রিমভাবে দাম বাড়িয়ে রাখতে উৎপাদন পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছে। পার্কের মতেএই নীতির ফলে জাপান হঠাৎ সরবরাহ সংকটে দ্রুত সাড়া দিতে অক্ষম হয়ে পড়েছে।

২০২৪ সালের নতুন ফসল আসার পর বাজার স্থিতিশীল হবে বলে সরকার আশা করলেও বাস্তবে দামের ঊর্ধ্বগতি বজায় ছিল। সরকার প্রাথমিকভাবে রিজার্ভ চাল মুক্ত করতে দ্বিধা করায় দাম আরও বেড়ে যায়। পরবর্তীতে রিজার্ভ চাল নিলামে তোলা হলেও তা বাজারে প্রভাব ফেলেনি।

বাজারে দেরিতে পৌঁছায় রিজার্ভ চাল

সরকার ১৯৯৫ সালে রিজার্ভ চাল ব্যবস্থা চালু করলেও এ বছর প্রথমবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া সরবরাহ সংকটে তা ব্যবহার করছে। মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত তিন দফায় ৩ লাখ টনের বেশি চাল নিলামে ছাড়া হয়েছে।

কিন্তু ন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ অ্যাসোসিয়েশনস (জেন-নো)যারা নিলামের বেশিরভাগ চাল কিনেছেতারা তা প্রথমে পাইকারদের কাছে সরবরাহ করেপরে তা খুচরা বাজারে পৌঁছায়। ফলে বাজারে প্রবেশে সময় লাগে।

পার্ক বলেন, “যেমন মার্চে মুক্ত চাল দোকানে পৌঁছাতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যায়ফলে তাৎক্ষণিক ঘাটতি পূরণ হয়নি।

১৩ মে পর্যন্তমার্চ মাসে কেনা ১,৯৯,২৭০ টন চালের মাত্র ৩২ শতাংশই বিতরণ করেছে জেন-নো। দিনে ২-৩ হাজার টন করে চাল সরবরাহ করলেও খুচরা বাজারে তা পর্যাপ্ত হারে পৌঁছায়নি।

চাল আমদানিতে নতুন উদ্যোগ ও রাজনৈতিক সংকট

সরকার চাল আমদানিও বাড়ানোর কথা ভাবছে। ২০ বছরের মধ্যে প্রথমবার মার্চে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে চাল আমদানি করেছে জাপান। যুক্তরাষ্ট্র থেকেও আমদানি বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ন্যূনতম প্রবেশাধিকার‘ চুক্তির আওতায় জাপান প্রতিবছর প্রায় ৭,৭০,০০০ টন চাল শুল্কমুক্ত আমদানি করে। কোটা ছাড়ালে প্রতি কেজিতে ৩৪১ ইয়েন শুল্ক বসে। গত অর্থবছরে এ কোটা অনুযায়ী ৪৫ শতাংশ চাল সরবরাহ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

তবে চালকে ঘিরে রাজনীতি জাপানে খুবই সংবেদনশীল। কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থক। ফলে এই নির্বাচনী বছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশি চাল আমদানির প্রস্তাব বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

রিতসুমেইকান এশিয়া-প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অধ্যাপক সাতো ইয়োইচিরো বলেন, “জাপান সম্ভবত আমদানি কোটা না বাড়িয়ে অন্য দেশ থেকে চাল আমদানির উৎস পরিবর্তন করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়ানোর চেষ্টা করবে।” এতে অভ্যন্তরীণ কৃষকরা কম ক্ষতিগ্রস্ত হবেকারণ আমদানিকৃত চাল প্রধানত প্রক্রিয়াজাত খাদ্যে ব্যবহৃত হয়।

তাঁর মতেচালের দাম আরও বাড়তে পারেবিশেষ করে চালভিত্তিক প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের দাম বাড়বে। কারণআমদানি কোটা পূরণ করতেও যথেষ্ট সরবরাহ আসতে সময় লাগবে।

২০২৫ সালের ফসল নিয়ে আগাম দর-কষাকষি শুরু

ওগাওয়া বলেনসরকার নীতিগত বড় কোনো পরিবর্তন না আনলে চালের দাম কমবে না। ইতোমধ্যেই ২০২৫ সালের ফসল নিয়ে ব্যবসায়ীরা কৃষকদের সঙ্গে বেশি দামে আগাম চুক্তি করছে।

তিনি বলেন, “এ ধরনের আগাম দর-কষাকষি এই প্রথম দেখা যাচ্ছে।

এছাড়া চালের দামে পার্থক্য ক্রমেই বাড়ছে। অনেক ক্রেতা সস্তা মিশ্রিত চাল বেছে নিচ্ছেন। ওগাওয়ার মতে২০২৭ সাল পর্যন্ত প্রতি পাঁচ কেজি চালের দামে ৩,৮০০ ইয়েন থেকে ৬,৫০০ ইয়েন পর্যন্ত পার্থক্য থাকতে পারে।