০৫:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

বাজারমুখী ডলারের দামে নতুন অধ্যায়

  • Sarakhon Report
  • ০৬:৩৬:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • 46

সারাক্ষণ রিপোর্ট

বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারের হাতে ছেড়ে দিয়েছে। আইএমএফ‑এর ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা কর্মসূচির পরবর্তী কিস্তি পেতে দরকারি এই সংস্কার এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে বাস্তবায়িত হলো। এর ফলে ডলারের দর আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঠিক করবে না, ঠিক করবে আহরণ‑জোগানের স্বাভাবিক ছন্দ।

১৪ মে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, চালের বাজারের মতোই ডলার‑বাজার চলবে- কেন্দ্রীয় ব্যাংক হাত দেবে না, শুধু প্রতিদিন দুই দফা লেনদেন‑তথ্য নেবে।

আইএমএফ শর্ত  অর্থপ্রবাহ

মুদ্রানীতি নমনীয় করার এ পদক্ষেপ আইএমএফ‑এর চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের শর্ত।  জুনে ১.৩ বিলিয়ন ডলার পেতে রাস্তা পরিষ্কার হয়েছে; অন্য দাতা সংস্থাগুলো মিলিয়ে মোট ৩.৫ বিলিয়ন ডলার আশা করছে সরকার।

আমদানি‑রপ্তানি  রেমিট্যান্সের সম্ভাব্য প্রভাব

  • আমদানি ব্যয় কিছুটা বাড়তে পারে, বিশেষ করে জ্বালানি ও ভোগ্যপণ্যে, ফলে মূল্যস্ফীতি সাময়িক চাপের মুখে পড়তে পারে।
  • রপ্তানি‑মুখী শিল্প (তৈরি পোশাক, চামড়া) প্রতিযোগিতায় বাড়তি সুবিধা পাবে, কারণ স্বল্প‑মেয়াদে টাকার অবমূল্যায়ন রপ্তানি মূল্যে ছাড় দেবে।
  • রেমিট্যান্স প্রেরণ উৎসাহিত হবে, কারণ প্রবাসীরা আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে তুলনায় বেশি টাকা পাবেন।

ব্যাংক‑খাত  কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকায় পরিবর্তন

গভর্নর জানিয়েছেন, গত নয় মাসে কোনো ডলার বিক্রি করতে হয়নি, সামনের দশ মাসেও প্রয়োজন হবে না। ব্যাংকগুলোর ডলার কেনাবেচা নিজেদেরই সামাল দিতে হবে, তবে অস্বাভাবিক অস্থিরতায় বাংলাদেশ ব্যাংক জরুরি হস্তক্ষেপ করতে পারে।

ঝুঁকি  চ্যালেঞ্জ

  • বিরাট আমদানি বিল দিলে হঠাৎ চাহিদা‑চাপে টাকার অবমূল্যায়ন দ্রুত বাড়তে পারে।
  • আমূল সংস্কারের এই পর্যায়ে ব্যাংকগুলোকে ডলার তারল্য ঠিক রাখতে দক্ষ রিস্ক‑ম্যানেজমেন্ট গড়ে তুলতে হবে।
  • মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার ও রাজস্ব সংস্কার একসঙ্গে সমন্বয় করতে হবে, নইলে আইএমএফ‑এর পরবর্তী অগ্রগতি ব্যহত হতে পারে।

বাজারমুখী ডলারের দামে নতুন অধ্যায়

০৬:৩৬:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারের হাতে ছেড়ে দিয়েছে। আইএমএফ‑এর ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা কর্মসূচির পরবর্তী কিস্তি পেতে দরকারি এই সংস্কার এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে বাস্তবায়িত হলো। এর ফলে ডলারের দর আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঠিক করবে না, ঠিক করবে আহরণ‑জোগানের স্বাভাবিক ছন্দ।

১৪ মে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, চালের বাজারের মতোই ডলার‑বাজার চলবে- কেন্দ্রীয় ব্যাংক হাত দেবে না, শুধু প্রতিদিন দুই দফা লেনদেন‑তথ্য নেবে।

আইএমএফ শর্ত  অর্থপ্রবাহ

মুদ্রানীতি নমনীয় করার এ পদক্ষেপ আইএমএফ‑এর চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের শর্ত।  জুনে ১.৩ বিলিয়ন ডলার পেতে রাস্তা পরিষ্কার হয়েছে; অন্য দাতা সংস্থাগুলো মিলিয়ে মোট ৩.৫ বিলিয়ন ডলার আশা করছে সরকার।

আমদানি‑রপ্তানি  রেমিট্যান্সের সম্ভাব্য প্রভাব

  • আমদানি ব্যয় কিছুটা বাড়তে পারে, বিশেষ করে জ্বালানি ও ভোগ্যপণ্যে, ফলে মূল্যস্ফীতি সাময়িক চাপের মুখে পড়তে পারে।
  • রপ্তানি‑মুখী শিল্প (তৈরি পোশাক, চামড়া) প্রতিযোগিতায় বাড়তি সুবিধা পাবে, কারণ স্বল্প‑মেয়াদে টাকার অবমূল্যায়ন রপ্তানি মূল্যে ছাড় দেবে।
  • রেমিট্যান্স প্রেরণ উৎসাহিত হবে, কারণ প্রবাসীরা আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে তুলনায় বেশি টাকা পাবেন।

ব্যাংক‑খাত  কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকায় পরিবর্তন

গভর্নর জানিয়েছেন, গত নয় মাসে কোনো ডলার বিক্রি করতে হয়নি, সামনের দশ মাসেও প্রয়োজন হবে না। ব্যাংকগুলোর ডলার কেনাবেচা নিজেদেরই সামাল দিতে হবে, তবে অস্বাভাবিক অস্থিরতায় বাংলাদেশ ব্যাংক জরুরি হস্তক্ষেপ করতে পারে।

ঝুঁকি  চ্যালেঞ্জ

  • বিরাট আমদানি বিল দিলে হঠাৎ চাহিদা‑চাপে টাকার অবমূল্যায়ন দ্রুত বাড়তে পারে।
  • আমূল সংস্কারের এই পর্যায়ে ব্যাংকগুলোকে ডলার তারল্য ঠিক রাখতে দক্ষ রিস্ক‑ম্যানেজমেন্ট গড়ে তুলতে হবে।
  • মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার ও রাজস্ব সংস্কার একসঙ্গে সমন্বয় করতে হবে, নইলে আইএমএফ‑এর পরবর্তী অগ্রগতি ব্যহত হতে পারে।