০৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র-হামাস আলোচনায় অচলাবস্থা, গাজা ও ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে কূটনৈতিক ব্যস্ততা নদীতে ভাসমান হাট: বরিশাল ও ঝালকাঠির নৌপথে কৃষিপণ্যের জীবন্ত সংস্কৃতি চিতা বাঘ — ছায়ায় লুকিয়ে থাকা বনবাসী যুক্তরাজ্যের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেল ভারত : বাংলাদেশের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও সংকট: ছয় মাসেও কেন থামছে না এই মরণব্যাধি? আধুনিক জীবন ও উদারচিন্তা ভয়ের পরিবেশে: বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতা যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানি: গমজাত পণ্যের দামের ওপর প্রভাব শয়ে শয়ে মুসলমানকে বেআইনিভাবে বাংলাদেশে তাড়াচ্ছে ভারত, বলছে হিউমান রাইটস ওয়াচ প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-৪২) রওশন জামিল — চলচ্চিত্র, মঞ্চ ও নৃত্যজগতের আলোকবর্তিকা

হিউএনচাঙ (পর্ব-৯৪)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
  • 83

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

শ্রাবস্তীপুরীর এক ক্রোশ দূরে জেতবন। জন্যে অনাথপিণ্ডদ নামে পরিচিত ছিলেন। শ্রেষ্ঠী সুদত্ত দানশীলতার তিনি বুদ্ধ ও তাঁর শিষ্যদের থাকবার জন্যে একটা বিহার নির্মাণ করতে ইচ্ছা করলেন।

বুদ্ধ সারিপুত্রের সঙ্গে গিয়ে নগরের বাইরে রাজকুমার জেতের যে বাগান ছিল সেইটে পছন্দ করলেন।জেতকে বলতে তিনি হেসে বললেন যে, ‘বেশ। যত স্বর্ণমুদ্রা বিছিয়ে দিলে বাগানটা ভরে যায়, সেই দামে বাগানটা বেচতে রাজি আছি।’

অনাথপিণ্ডদ সানন্দে সেই দামেই বাগানটা কিনে নিয়ে বুদ্ধ ও তাঁর শিষ্যদের থাকবার জন্যে দিলেন। বুদ্ধ এই বিহারে থাকতে ভালোবাসতেন, আর তাঁর বহু উপদেশ, যা ত্রিপিটকে বণিত আছে, এই বিহারেই বলেছিলেন।

হিউএনচাঙের সময়ে বিহার, ভিক্ষুদের থাকবার বাড়িগুলি প্রায় সমস্তই ধ্বংস হয়েছিল, কেবল একটা ছোট বাড়িতে সোনালি রঙ করা বুদ্ধের একটা পাথরের মূর্তি ছিল। রাজা উদয়ন কৌশাদীতে চন্দনকাঠের বুদ্ধমূর্তি তৈয়ারী করেছেন শুনে রাজা প্রসেনজিৎ এই পাথরের বুদ্ধমূর্তিটি গড়ান।

(চলবে)

 

যুক্তরাষ্ট্র-হামাস আলোচনায় অচলাবস্থা, গাজা ও ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে কূটনৈতিক ব্যস্ততা

হিউএনচাঙ (পর্ব-৯৪)

০৯:০০:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

শ্রাবস্তীপুরীর এক ক্রোশ দূরে জেতবন। জন্যে অনাথপিণ্ডদ নামে পরিচিত ছিলেন। শ্রেষ্ঠী সুদত্ত দানশীলতার তিনি বুদ্ধ ও তাঁর শিষ্যদের থাকবার জন্যে একটা বিহার নির্মাণ করতে ইচ্ছা করলেন।

বুদ্ধ সারিপুত্রের সঙ্গে গিয়ে নগরের বাইরে রাজকুমার জেতের যে বাগান ছিল সেইটে পছন্দ করলেন।জেতকে বলতে তিনি হেসে বললেন যে, ‘বেশ। যত স্বর্ণমুদ্রা বিছিয়ে দিলে বাগানটা ভরে যায়, সেই দামে বাগানটা বেচতে রাজি আছি।’

অনাথপিণ্ডদ সানন্দে সেই দামেই বাগানটা কিনে নিয়ে বুদ্ধ ও তাঁর শিষ্যদের থাকবার জন্যে দিলেন। বুদ্ধ এই বিহারে থাকতে ভালোবাসতেন, আর তাঁর বহু উপদেশ, যা ত্রিপিটকে বণিত আছে, এই বিহারেই বলেছিলেন।

হিউএনচাঙের সময়ে বিহার, ভিক্ষুদের থাকবার বাড়িগুলি প্রায় সমস্তই ধ্বংস হয়েছিল, কেবল একটা ছোট বাড়িতে সোনালি রঙ করা বুদ্ধের একটা পাথরের মূর্তি ছিল। রাজা উদয়ন কৌশাদীতে চন্দনকাঠের বুদ্ধমূর্তি তৈয়ারী করেছেন শুনে রাজা প্রসেনজিৎ এই পাথরের বুদ্ধমূর্তিটি গড়ান।

(চলবে)