সত্যেন্দ্রকুমার বসু
তার পর দক্ষিণ-পূর্বে ১৪০ মাইল গিয়ে হিউএনচাঙ অবশেষে বুদ্ধের জন্মস্থান কপিলাবাস্তর ভগ্নাবশেষ দেখতে পেলেন। এ-স্থান কালক্রমে জনশূন্য হয়ে গিয়েছিল। তবে হিউএনচাঙ বলেন যে, রাজপ্রাসাদের ইষ্টক-প্রাচীরের ভগ্নাবশেষ তখনো ছিল।
তখনো বুদ্ধমাতা মায়াদেবীর ঘরের, বুদ্ধের বাল্যকালের আর যৌবনাবস্থার অনেক ঘটনার (যথা, মহানিষ্ক্রমণ ইত্যাদি) স্মারকস্বরূপ চিত্রাঙ্কিত স্তূপের ভগ্নাবশেষ ছিল।লুম্বিনী উত্থানে, যেখানে বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন বলে প্রসিদ্ধি ছিল সেখানে, অশোক এক স্তম্ভ নির্মাণ করেন।
সেই স্তম্ভ আর শিলালিপি দেখে আধুনিক প্রত্নতাত্ত্বিকরা এই স্থান নির্দেশ করতে পেরেছেন। দুই হাজার। বছর পরে লুম্বিনীর আধুনিক নাম রুমিন্দেঈ।এইভাবে বুদ্ধের জীবনের নানা ঘটনা (এর মধ্যে অনেক ঘটনাই কিম্বদন্তীমূলক বা অলৌকিক) স্মরণ করতে করতে আর সেই সেই স্থানে নির্মিত স্তূপ দেখতে দেখতে কপিলাবাস্ত ছেড়ে হিউএনচাঙ গম্ভক নদীর তীরে কুশনগর গেলেন, যেখানে বুদ্ধ নির্বাণ লাভ করেন।
(চলবে)