১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
 গুগল প্লে ও ইউটিউবের নতুন কেনা সিনেমা আর পড়বে না মুভিজ অ্যানিওয়্যারে সাহিত্য প্রচারে শারজাহের ভূমিকা: সংস্কৃতি ও জ্ঞানের সেতুবন্ধন ‘আমাদের কণ্ঠ কেউ বন্ধ করতে পারবে না’—মিস ইউনিভার্স মেক্সিকোর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ উত্তর জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা ও রেল চলাচলে বিঘ্ন” জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল আবুল খায়ের গ্রুপ “ওরা করলে, আমরা প্রস্তুত”: পাকিস্তানের পারমাণবিক পরীক্ষা ইস্যুতে রাজনাথ সিংয়ের হুঁশিয়ারি বেঙ্গালুরুর জেলে আইএস জঙ্গি ও সিরিয়াল ধর্ষকের মোবাইল ব্যবহার ফাঁস, তদন্তে নেমেছে কর্ণাটক সরকার পাকিস্তানে সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের অভূতপূর্ব পদোন্নতি — এখন দেশের প্রথম ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ বর্তমানের সব জাতীয় সংকটই সরকারের সাজানো নাটক: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশের সঙ্গে টাকা ও ট্যারিফ বিরোধে আন্তর্জাতিক সালিশিতে আদানি পাওয়ার”

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৬১)

  • Sarakhon Report
  • ০৭:০০:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • 183

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

তবে এ প্রসঙ্গে একথাও বলা প্রয়োজন আজতেকদের যান্ত্রিক উপায়ে চাষ করার কোনো যন্ত্র ছিল না। প্রধানত শ্রমনির্ভর চাষই তারা করত। সাধারণ মানুষ, পরিবারের পুরুষ সদস্যরা হাতে শরীরে খেটে ফসল ঘরে তুলত।

সাধারণত কোদাল, কাঠের একরকম সরু, সূচালো দণ্ড দিয়ে চাষের কাজ করত। মেয়েরাও মাঝে মধ্যে জমি তৈরির কাজ করত। তারা পাথর দিয়ে জমি খুঁড়ে তার থেকে অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দিয়ে দিত। এই পাথুরে যন্ত্রকে বলা হয়। মানো (Mano) এবং সমতল আকারের পাথুরে যন্ত্রকে বলা হয় মেতাতে (Metate)।

উপত্যকার উর্বর জমিতে আজতেকরা ফুল, ফল, কাকাও, স্কোয়াশ এবং নানাধরনের সবজি ফলাত। এছাড়া লংকা, ধান এবং এক ধরনের ফলও চাষ করত যার সাহায্যে ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় বিয়ার জাতীয় পানীয় তৈরি করত। এছাড়া আজতেকরা হাঁস, কুকুর, বড় বড় পাখি শিকার করে। তবে এইসব প্রাণীর মাসে তারা খায় না।

রাজা, অভিজাত বা অপেক্ষাকৃত সচ্ছল পরিবারের লোক এই মাংস কেনে এবং এই মাংস খাওয়ার মধ্যে দিয়ে এই অভিজাত  শ্রেণি সমাজে সম্মান অর্জন করে। একথা ঠিক যে আজতেক সমাজের অর্থনীতি, জীবিকা কষিকেন্দ্রিক কিন্তু তা সত্বেও বছরের কোনো কোনো সময় খরা বা অফলন-এর সমস্যা দেখা দেয়।

(চলবে)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

 গুগল প্লে ও ইউটিউবের নতুন কেনা সিনেমা আর পড়বে না মুভিজ অ্যানিওয়্যারে

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৬১)

০৭:০০:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

তবে এ প্রসঙ্গে একথাও বলা প্রয়োজন আজতেকদের যান্ত্রিক উপায়ে চাষ করার কোনো যন্ত্র ছিল না। প্রধানত শ্রমনির্ভর চাষই তারা করত। সাধারণ মানুষ, পরিবারের পুরুষ সদস্যরা হাতে শরীরে খেটে ফসল ঘরে তুলত।

সাধারণত কোদাল, কাঠের একরকম সরু, সূচালো দণ্ড দিয়ে চাষের কাজ করত। মেয়েরাও মাঝে মধ্যে জমি তৈরির কাজ করত। তারা পাথর দিয়ে জমি খুঁড়ে তার থেকে অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দিয়ে দিত। এই পাথুরে যন্ত্রকে বলা হয়। মানো (Mano) এবং সমতল আকারের পাথুরে যন্ত্রকে বলা হয় মেতাতে (Metate)।

উপত্যকার উর্বর জমিতে আজতেকরা ফুল, ফল, কাকাও, স্কোয়াশ এবং নানাধরনের সবজি ফলাত। এছাড়া লংকা, ধান এবং এক ধরনের ফলও চাষ করত যার সাহায্যে ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় বিয়ার জাতীয় পানীয় তৈরি করত। এছাড়া আজতেকরা হাঁস, কুকুর, বড় বড় পাখি শিকার করে। তবে এইসব প্রাণীর মাসে তারা খায় না।

রাজা, অভিজাত বা অপেক্ষাকৃত সচ্ছল পরিবারের লোক এই মাংস কেনে এবং এই মাংস খাওয়ার মধ্যে দিয়ে এই অভিজাত  শ্রেণি সমাজে সম্মান অর্জন করে। একথা ঠিক যে আজতেক সমাজের অর্থনীতি, জীবিকা কষিকেন্দ্রিক কিন্তু তা সত্বেও বছরের কোনো কোনো সময় খরা বা অফলন-এর সমস্যা দেখা দেয়।

(চলবে)