০৬:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র-হামাস আলোচনায় অচলাবস্থা, গাজা ও ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে কূটনৈতিক ব্যস্ততা নদীতে ভাসমান হাট: বরিশাল ও ঝালকাঠির নৌপথে কৃষিপণ্যের জীবন্ত সংস্কৃতি চিতা বাঘ — ছায়ায় লুকিয়ে থাকা বনবাসী যুক্তরাজ্যের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেল ভারত : বাংলাদেশের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও সংকট: ছয় মাসেও কেন থামছে না এই মরণব্যাধি? আধুনিক জীবন ও উদারচিন্তা ভয়ের পরিবেশে: বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতা যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানি: গমজাত পণ্যের দামের ওপর প্রভাব শয়ে শয়ে মুসলমানকে বেআইনিভাবে বাংলাদেশে তাড়াচ্ছে ভারত, বলছে হিউমান রাইটস ওয়াচ প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-৪২) রওশন জামিল — চলচ্চিত্র, মঞ্চ ও নৃত্যজগতের আলোকবর্তিকা

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৬১)

  • Sarakhon Report
  • ০৭:০০:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • 117

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

তবে এ প্রসঙ্গে একথাও বলা প্রয়োজন আজতেকদের যান্ত্রিক উপায়ে চাষ করার কোনো যন্ত্র ছিল না। প্রধানত শ্রমনির্ভর চাষই তারা করত। সাধারণ মানুষ, পরিবারের পুরুষ সদস্যরা হাতে শরীরে খেটে ফসল ঘরে তুলত।

সাধারণত কোদাল, কাঠের একরকম সরু, সূচালো দণ্ড দিয়ে চাষের কাজ করত। মেয়েরাও মাঝে মধ্যে জমি তৈরির কাজ করত। তারা পাথর দিয়ে জমি খুঁড়ে তার থেকে অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দিয়ে দিত। এই পাথুরে যন্ত্রকে বলা হয়। মানো (Mano) এবং সমতল আকারের পাথুরে যন্ত্রকে বলা হয় মেতাতে (Metate)।

উপত্যকার উর্বর জমিতে আজতেকরা ফুল, ফল, কাকাও, স্কোয়াশ এবং নানাধরনের সবজি ফলাত। এছাড়া লংকা, ধান এবং এক ধরনের ফলও চাষ করত যার সাহায্যে ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় বিয়ার জাতীয় পানীয় তৈরি করত। এছাড়া আজতেকরা হাঁস, কুকুর, বড় বড় পাখি শিকার করে। তবে এইসব প্রাণীর মাসে তারা খায় না।

রাজা, অভিজাত বা অপেক্ষাকৃত সচ্ছল পরিবারের লোক এই মাংস কেনে এবং এই মাংস খাওয়ার মধ্যে দিয়ে এই অভিজাত  শ্রেণি সমাজে সম্মান অর্জন করে। একথা ঠিক যে আজতেক সমাজের অর্থনীতি, জীবিকা কষিকেন্দ্রিক কিন্তু তা সত্বেও বছরের কোনো কোনো সময় খরা বা অফলন-এর সমস্যা দেখা দেয়।

(চলবে)

 

যুক্তরাষ্ট্র-হামাস আলোচনায় অচলাবস্থা, গাজা ও ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে কূটনৈতিক ব্যস্ততা

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৬১)

০৭:০০:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

তবে এ প্রসঙ্গে একথাও বলা প্রয়োজন আজতেকদের যান্ত্রিক উপায়ে চাষ করার কোনো যন্ত্র ছিল না। প্রধানত শ্রমনির্ভর চাষই তারা করত। সাধারণ মানুষ, পরিবারের পুরুষ সদস্যরা হাতে শরীরে খেটে ফসল ঘরে তুলত।

সাধারণত কোদাল, কাঠের একরকম সরু, সূচালো দণ্ড দিয়ে চাষের কাজ করত। মেয়েরাও মাঝে মধ্যে জমি তৈরির কাজ করত। তারা পাথর দিয়ে জমি খুঁড়ে তার থেকে অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দিয়ে দিত। এই পাথুরে যন্ত্রকে বলা হয়। মানো (Mano) এবং সমতল আকারের পাথুরে যন্ত্রকে বলা হয় মেতাতে (Metate)।

উপত্যকার উর্বর জমিতে আজতেকরা ফুল, ফল, কাকাও, স্কোয়াশ এবং নানাধরনের সবজি ফলাত। এছাড়া লংকা, ধান এবং এক ধরনের ফলও চাষ করত যার সাহায্যে ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় বিয়ার জাতীয় পানীয় তৈরি করত। এছাড়া আজতেকরা হাঁস, কুকুর, বড় বড় পাখি শিকার করে। তবে এইসব প্রাণীর মাসে তারা খায় না।

রাজা, অভিজাত বা অপেক্ষাকৃত সচ্ছল পরিবারের লোক এই মাংস কেনে এবং এই মাংস খাওয়ার মধ্যে দিয়ে এই অভিজাত  শ্রেণি সমাজে সম্মান অর্জন করে। একথা ঠিক যে আজতেক সমাজের অর্থনীতি, জীবিকা কষিকেন্দ্রিক কিন্তু তা সত্বেও বছরের কোনো কোনো সময় খরা বা অফলন-এর সমস্যা দেখা দেয়।

(চলবে)