ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়
তবে এ প্রসঙ্গে একথাও বলা প্রয়োজন আজতেকদের যান্ত্রিক উপায়ে চাষ করার কোনো যন্ত্র ছিল না। প্রধানত শ্রমনির্ভর চাষই তারা করত। সাধারণ মানুষ, পরিবারের পুরুষ সদস্যরা হাতে শরীরে খেটে ফসল ঘরে তুলত।
সাধারণত কোদাল, কাঠের একরকম সরু, সূচালো দণ্ড দিয়ে চাষের কাজ করত। মেয়েরাও মাঝে মধ্যে জমি তৈরির কাজ করত। তারা পাথর দিয়ে জমি খুঁড়ে তার থেকে অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দিয়ে দিত। এই পাথুরে যন্ত্রকে বলা হয়। মানো (Mano) এবং সমতল আকারের পাথুরে যন্ত্রকে বলা হয় মেতাতে (Metate)।
উপত্যকার উর্বর জমিতে আজতেকরা ফুল, ফল, কাকাও, স্কোয়াশ এবং নানাধরনের সবজি ফলাত। এছাড়া লংকা, ধান এবং এক ধরনের ফলও চাষ করত যার সাহায্যে ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় বিয়ার জাতীয় পানীয় তৈরি করত। এছাড়া আজতেকরা হাঁস, কুকুর, বড় বড় পাখি শিকার করে। তবে এইসব প্রাণীর মাসে তারা খায় না।
রাজা, অভিজাত বা অপেক্ষাকৃত সচ্ছল পরিবারের লোক এই মাংস কেনে এবং এই মাংস খাওয়ার মধ্যে দিয়ে এই অভিজাত শ্রেণি সমাজে সম্মান অর্জন করে। একথা ঠিক যে আজতেক সমাজের অর্থনীতি, জীবিকা কষিকেন্দ্রিক কিন্তু তা সত্বেও বছরের কোনো কোনো সময় খরা বা অফলন-এর সমস্যা দেখা দেয়।
(চলবে)