ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়
কয়েক বছর অন্তর খরার এমন পর্যায়ে যায় যে দুর্ভিক্ষ, মহামারী দেখা দেয়। তবে এসব সহেও তারা এই খরা দুর্ভিক্ষকে প্রতিরোধ করার কৌশল উদ্ভাবন করেছিল। তেনোচতিতলান সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে সেচের জল সংগ্রহ করে এবং সেই সঙ্গে খাল কেটে তা থেকে জল সংগ্রহ করেও এই সমস্যা মোকাবিলা করত।
আজতেক সমাজের। সাধারণ মানুষের একটা অংশ নির্মাণ শিল্পে বা বাড়িঘর, সরকারি বাসভবন, রাজার প্রসাদ, এবং প্লাজাতে বড় বড় বাড়ি তৈরীর শ্রমিক হিসেবেও কাজ করত। এর থেকে জীবিকা নির্বাহ করার মধ্যে এক ধরনের নিরাপত্তা ছিল।
কেন না বিশেষ করে সরকারি বাসভবন, আবাসন তৈরির একটা নিশ্চয়তা ও ধারাবাহিকতা ছিল। আজতেক জনগোষ্ঠীর জীবিকাঅর্জনের অনুকূল উপাদান হল তাদের বাণিজ্য এবং অন্যান্য অঞ্চল এবং রাজ্যের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগাযোগ। এক্ষেত্রে কৃষিজাত দ্রব্য ছাড়া উৎপাদিত পণ্যর গুরুত্ব ছিল বেশি।
(চলবে)