১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

দেশীয় গবাদিপশুর প্রাচুর্য — এ ঈদে আমদানির দরকার নেই!

  • Sarakhon Report
  • ০৬:০৭:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
  • 249

সারাক্ষণ রিপোর্ট

ঈদুল আজহা ২০২৫: কোরবানির পশুর জোগান পরিস্থিতি

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ীআসন্ন ঈদুল আজহার জন্য দেশব্যাপী প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে গরু ও মহিষ রয়েছে প্রায় ৫৬ লাখছাগল ও ভেড়া রয়েছে ৬৮ লাখ এবং অন্যান্য প্রজাতির পশু রয়েছে ৫,৫০০টির বেশি। এ জোগান ঈদের চাহিদার তুলনায় প্রায় ২০ লাখ ৬০ হাজার পশু বেশি।

গরু আমদানিতে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা

পশুর এই উদ্বৃত্ত পরিস্থিতির কারণে সরকার এ বছরের ঈদে গরু আমদানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেনকোরবানির সময় দেশে বৈধ বা অবৈধভাবে কোনো পশু প্রবেশ করতে দেওয়া হবে নাযাতে দেশীয় পশু খাত সুরক্ষিত থাকে।

মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথে অগ্রগতি

বাংলাদেশ গত কয়েক বছর ধরেই মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে এগোচ্ছে। ২০২২ অর্থবছরে দেশে প্রায় ৯৩ লাখ টন মাংস উৎপাদিত হয়যেখানে বার্ষিক চাহিদা ছিল প্রায় ৭৫ লাখ টন। ২০১৪ সালে ভারতের গরু রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার পর দেশের খামারিরা গবাদিপশু পালনে অধিক উৎসাহিত হয়যার ফলে দেশীয় উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

 

স্থানীয় খামারিদের জন্য সরকারিভাবে সহায়তা

সরকার দেশীয় খামারিদের সহায়তায় কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে এবং পশুর হাটগুলোতে পশুদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিতে পশুচিকিৎসক দল মোতায়েন করেছে। এসব উদ্যোগের ফলে খামারি ও ভোক্তা উভয়ের জন্য একটি নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ ঈদের পরিবেশ নিশ্চিত করা হচ্ছে।

সচেতন পরিকল্পনা ও শক্তিশালী প্রাণিসম্পদ খাতের কারণে বাংলাদেশ ঈদুল আজহা ২০২৫-এ গবাদিপশু আমদানির প্রয়োজন ছাড়াই প্রস্তুত রয়েছে। এটি দেশের স্বনির্ভরতার একটি বড় সাফল্য।

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশীয় গবাদিপশুর প্রাচুর্য — এ ঈদে আমদানির দরকার নেই!

০৬:০৭:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

ঈদুল আজহা ২০২৫: কোরবানির পশুর জোগান পরিস্থিতি

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ীআসন্ন ঈদুল আজহার জন্য দেশব্যাপী প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে গরু ও মহিষ রয়েছে প্রায় ৫৬ লাখছাগল ও ভেড়া রয়েছে ৬৮ লাখ এবং অন্যান্য প্রজাতির পশু রয়েছে ৫,৫০০টির বেশি। এ জোগান ঈদের চাহিদার তুলনায় প্রায় ২০ লাখ ৬০ হাজার পশু বেশি।

গরু আমদানিতে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা

পশুর এই উদ্বৃত্ত পরিস্থিতির কারণে সরকার এ বছরের ঈদে গরু আমদানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেনকোরবানির সময় দেশে বৈধ বা অবৈধভাবে কোনো পশু প্রবেশ করতে দেওয়া হবে নাযাতে দেশীয় পশু খাত সুরক্ষিত থাকে।

মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথে অগ্রগতি

বাংলাদেশ গত কয়েক বছর ধরেই মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে এগোচ্ছে। ২০২২ অর্থবছরে দেশে প্রায় ৯৩ লাখ টন মাংস উৎপাদিত হয়যেখানে বার্ষিক চাহিদা ছিল প্রায় ৭৫ লাখ টন। ২০১৪ সালে ভারতের গরু রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার পর দেশের খামারিরা গবাদিপশু পালনে অধিক উৎসাহিত হয়যার ফলে দেশীয় উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

 

স্থানীয় খামারিদের জন্য সরকারিভাবে সহায়তা

সরকার দেশীয় খামারিদের সহায়তায় কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে এবং পশুর হাটগুলোতে পশুদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিতে পশুচিকিৎসক দল মোতায়েন করেছে। এসব উদ্যোগের ফলে খামারি ও ভোক্তা উভয়ের জন্য একটি নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ ঈদের পরিবেশ নিশ্চিত করা হচ্ছে।

সচেতন পরিকল্পনা ও শক্তিশালী প্রাণিসম্পদ খাতের কারণে বাংলাদেশ ঈদুল আজহা ২০২৫-এ গবাদিপশু আমদানির প্রয়োজন ছাড়াই প্রস্তুত রয়েছে। এটি দেশের স্বনির্ভরতার একটি বড় সাফল্য।