০৯:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশে বারবার শেয়ারবাজার ধস: পেছনে কারা

  • Sarakhon Report
  • ০৩:১৬:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • 103

সারাক্ষণ রিপোর্ট

বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে ধস যেন এক চিরচেনা চিত্রে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের টানা পতন ও বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভ বহুবার সামনে এসেছে। ২০২৫ সালের মে মাসে সূচক ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ৫,০২২ পয়েন্টে নেমে আসা শুধু একটি সাম্প্রতিক উদাহরণ। তবে এই ধস কেবল তাৎক্ষণিক কোনো অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক ঘটনার প্রতিক্রিয়া নয়—এর পেছনে লুকিয়ে রয়েছে দীর্ঘদিনের গৃহীত ভুল নীতি, দুর্বল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর প্রভাব। নিচে বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা হলো।

রাজনৈতিক অস্থিরতা: বিনিয়োগকারীর আস্থায় ধস

২০২৪ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই দেশে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বেড়েছে। মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিনির্ধারণে স্পষ্টতা না থাকায় বাজারে আস্থার ঘাটতি দেখা দেয়।

রাজনৈতিক দলগুলোর সহিংস কর্মসূচি, অনির্ধারিত নির্বাচন, প্রশাসনিক দুর্বলতা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি দীর্ঘমেয়াদে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে বিনিয়োগের পরিবেশ থাকে না—এটি একটি মৌলিক বাস্তবতা, যা বারবার উপেক্ষিত হয়েছে।

অর্থনৈতিক সংকট: উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও আয় হ্রাস

২০২৪ সালের শেষ দিকে মুদ্রাস্ফীতির হার ১১.৩৮ শতাংশে পৌঁছায়, যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়।

খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশে পৌঁছানোয় নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের পর বিনিয়োগের জন্য হাতে কিছুই থাকছে না।

ফলে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ দুইই কমছে।

অন্যদিকে, বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ, ও রাজস্ব ঘাটতি অর্থনীতিকে আরও সংকটে ফেলেছে, যার প্রভাব সরাসরি পড়ছে শেয়ারবাজারে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার ব্যর্থতা ও লুটপাট সংস্কৃতি

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর নীতিনির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণের দুর্বলতা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান।

বাজার কারসাজি, ইনসাইডার ট্রেডিং, গুজব ছড়িয়ে দর বাড়ানো বা কমানো—এসব দীর্ঘদিনের সমস্যা।

সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত বিনিয়োগকারী আবুল খায়ের হিরু ও তার চক্র শেয়ারদর কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

তবে এসব ঘটনার বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না থাকায় প্রভাবশালী চক্র বারবার ফিরে আসে।

এই পরিস্থিতিতে সাধারণ বিনিয়োগকারী মনে করে, বাজার একটি ‘জুয়া খেলার মাঠ’, যেখানে নিয়মিত মানুষ ঠকে যাচ্ছে আর অল্প কিছু লোক লাভবান হচ্ছে।

তরলতার সংকট ও মার্জিন অ্যাকাউন্টের ঝুঁকি

বর্তমানে বাজারে নগদ অর্থের ঘাটতি প্রকট। মার্জিন ঋণে নেওয়া শেয়ারগুলো দরপতনে বিক্রি করতে বাধ্য হওয়ায় দর আরও কমছে। বিনিয়োগকারীরা যখন দেখেন বাজারে বিক্রির চাপ বেড়ে যাচ্ছে, তখন তারা ক্ষতির ভয়ে আরও দ্রুত বিক্রি করতে থাকেন—ফলে তৈরি হয় একধরনের ‘প্যানিক সেলিং’।

এই চক্র চলতে থাকে, যা বাজারকে ধ্বংস করে।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের অভাব ও বিনিয়োগনীতিতে বৈষম্য

সরকার প্রণোদনা ও বিনিয়োগ সম্মেলন আয়োজন করলেও শেয়ারবাজারকে প্রায়শই গুরুত্ব দেওয়া হয় না।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলনে শেয়ারবাজারের কোনো প্রতিনিধি না থাকা বা আলোচনায় বিষয়টি অনুপস্থিত থাকা প্রমাণ করে যে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পুঁজিবাজারের গুরুত্ব দেওয়া হয় না।

ফলে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এই খাতে অনাগ্রহী হয়ে উঠছেন।

গোপন ও গভীরতর কারণ: অর্থনীতিতে শেয়ারবাজারকে উপেক্ষা

বাংলাদেশে শেয়ারবাজার মূলধন সংগ্রহের প্রকৃত মাধ্যম হয়ে উঠতে পারেনি। এটি বরং এক ধরনের “ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম” হয়ে আছে, যেখানে লভ্যাংশ নয়, দ্রুত দরবৃদ্ধিই মুখ্য লক্ষ্য।

এই সংস্কৃতির পেছনে রয়েছে—

  • উৎপাদনমুখী কোম্পানির অনুপস্থিতি: অধিকাংশ তালিকাভুক্ত কোম্পানির মৌলিক শক্তি দুর্বল।
  • অপ্রকাশ্য আর্থিক প্রতিবেদন: সময়মতো নির্ভরযোগ্য তথ্য না পাওয়ায় বাজারে গুজব নির্ভর আচরণ বাড়ে।
  • প্রভাবশালী ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণ: কিছু চক্র শেয়ারবাজারকে তাদের মুনাফার ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করে, আর সরকার বা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইচ্ছা বা অক্ষমতার কারণে নির্বিকার থাকে।

ভবিষ্যতের সম্ভাবনা ও সুপারিশ

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধে যদি—

  • রাজনৈতিক স্থিতি ফিরে আসে,
  • অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়িত হয়,
  • নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে,
    তবে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারে।

কিন্তু যেসব গোপন ও কাঠামোগত দুর্বলতা বহুদিন ধরে অব্যাহত রয়েছে, সেগুলো নিরসন না হলে বাজার আবারও ধসে পড়বে।

বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের নিয়মিত ধস কেবল সময়িক রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক সংকটের ফল নয়—এটি একটি কাঠামোগত দুর্বল অর্থনৈতিক সংস্কৃতির প্রতিফলন।

এখানে আস্থা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অনুপস্থিত।

এই দুর্বলতা দূর করা না গেলে ভবিষ্যতেও বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, আর পুঁজিবাজার একটি অর্থনৈতিক উন্নয়নের হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারবে না।

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৪২)

বাংলাদেশে বারবার শেয়ারবাজার ধস: পেছনে কারা

০৩:১৬:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে ধস যেন এক চিরচেনা চিত্রে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের টানা পতন ও বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভ বহুবার সামনে এসেছে। ২০২৫ সালের মে মাসে সূচক ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ৫,০২২ পয়েন্টে নেমে আসা শুধু একটি সাম্প্রতিক উদাহরণ। তবে এই ধস কেবল তাৎক্ষণিক কোনো অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক ঘটনার প্রতিক্রিয়া নয়—এর পেছনে লুকিয়ে রয়েছে দীর্ঘদিনের গৃহীত ভুল নীতি, দুর্বল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর প্রভাব। নিচে বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা হলো।

রাজনৈতিক অস্থিরতা: বিনিয়োগকারীর আস্থায় ধস

২০২৪ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই দেশে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বেড়েছে। মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিনির্ধারণে স্পষ্টতা না থাকায় বাজারে আস্থার ঘাটতি দেখা দেয়।

রাজনৈতিক দলগুলোর সহিংস কর্মসূচি, অনির্ধারিত নির্বাচন, প্রশাসনিক দুর্বলতা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি দীর্ঘমেয়াদে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে বিনিয়োগের পরিবেশ থাকে না—এটি একটি মৌলিক বাস্তবতা, যা বারবার উপেক্ষিত হয়েছে।

অর্থনৈতিক সংকট: উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও আয় হ্রাস

২০২৪ সালের শেষ দিকে মুদ্রাস্ফীতির হার ১১.৩৮ শতাংশে পৌঁছায়, যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়।

খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশে পৌঁছানোয় নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের পর বিনিয়োগের জন্য হাতে কিছুই থাকছে না।

ফলে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ দুইই কমছে।

অন্যদিকে, বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ, ও রাজস্ব ঘাটতি অর্থনীতিকে আরও সংকটে ফেলেছে, যার প্রভাব সরাসরি পড়ছে শেয়ারবাজারে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার ব্যর্থতা ও লুটপাট সংস্কৃতি

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর নীতিনির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণের দুর্বলতা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান।

বাজার কারসাজি, ইনসাইডার ট্রেডিং, গুজব ছড়িয়ে দর বাড়ানো বা কমানো—এসব দীর্ঘদিনের সমস্যা।

সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত বিনিয়োগকারী আবুল খায়ের হিরু ও তার চক্র শেয়ারদর কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

তবে এসব ঘটনার বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না থাকায় প্রভাবশালী চক্র বারবার ফিরে আসে।

এই পরিস্থিতিতে সাধারণ বিনিয়োগকারী মনে করে, বাজার একটি ‘জুয়া খেলার মাঠ’, যেখানে নিয়মিত মানুষ ঠকে যাচ্ছে আর অল্প কিছু লোক লাভবান হচ্ছে।

তরলতার সংকট ও মার্জিন অ্যাকাউন্টের ঝুঁকি

বর্তমানে বাজারে নগদ অর্থের ঘাটতি প্রকট। মার্জিন ঋণে নেওয়া শেয়ারগুলো দরপতনে বিক্রি করতে বাধ্য হওয়ায় দর আরও কমছে। বিনিয়োগকারীরা যখন দেখেন বাজারে বিক্রির চাপ বেড়ে যাচ্ছে, তখন তারা ক্ষতির ভয়ে আরও দ্রুত বিক্রি করতে থাকেন—ফলে তৈরি হয় একধরনের ‘প্যানিক সেলিং’।

এই চক্র চলতে থাকে, যা বাজারকে ধ্বংস করে।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের অভাব ও বিনিয়োগনীতিতে বৈষম্য

সরকার প্রণোদনা ও বিনিয়োগ সম্মেলন আয়োজন করলেও শেয়ারবাজারকে প্রায়শই গুরুত্ব দেওয়া হয় না।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলনে শেয়ারবাজারের কোনো প্রতিনিধি না থাকা বা আলোচনায় বিষয়টি অনুপস্থিত থাকা প্রমাণ করে যে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পুঁজিবাজারের গুরুত্ব দেওয়া হয় না।

ফলে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এই খাতে অনাগ্রহী হয়ে উঠছেন।

গোপন ও গভীরতর কারণ: অর্থনীতিতে শেয়ারবাজারকে উপেক্ষা

বাংলাদেশে শেয়ারবাজার মূলধন সংগ্রহের প্রকৃত মাধ্যম হয়ে উঠতে পারেনি। এটি বরং এক ধরনের “ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম” হয়ে আছে, যেখানে লভ্যাংশ নয়, দ্রুত দরবৃদ্ধিই মুখ্য লক্ষ্য।

এই সংস্কৃতির পেছনে রয়েছে—

  • উৎপাদনমুখী কোম্পানির অনুপস্থিতি: অধিকাংশ তালিকাভুক্ত কোম্পানির মৌলিক শক্তি দুর্বল।
  • অপ্রকাশ্য আর্থিক প্রতিবেদন: সময়মতো নির্ভরযোগ্য তথ্য না পাওয়ায় বাজারে গুজব নির্ভর আচরণ বাড়ে।
  • প্রভাবশালী ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণ: কিছু চক্র শেয়ারবাজারকে তাদের মুনাফার ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করে, আর সরকার বা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইচ্ছা বা অক্ষমতার কারণে নির্বিকার থাকে।

ভবিষ্যতের সম্ভাবনা ও সুপারিশ

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধে যদি—

  • রাজনৈতিক স্থিতি ফিরে আসে,
  • অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়িত হয়,
  • নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে,
    তবে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারে।

কিন্তু যেসব গোপন ও কাঠামোগত দুর্বলতা বহুদিন ধরে অব্যাহত রয়েছে, সেগুলো নিরসন না হলে বাজার আবারও ধসে পড়বে।

বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের নিয়মিত ধস কেবল সময়িক রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক সংকটের ফল নয়—এটি একটি কাঠামোগত দুর্বল অর্থনৈতিক সংস্কৃতির প্রতিফলন।

এখানে আস্থা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অনুপস্থিত।

এই দুর্বলতা দূর করা না গেলে ভবিষ্যতেও বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, আর পুঁজিবাজার একটি অর্থনৈতিক উন্নয়নের হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারবে না।