০২:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

জাপান টাইমস প্রতিবেদন: মাইক্রোপ্লাস্টিক কি মানব প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট করছে?

  • Sarakhon Report
  • ১০:০০:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • 108

নারীর প্রজনন ক্ষমতায় মাইক্রোপ্লাস্টিকের হুমকি

২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইতালির গবেষকরা প্রথমবারের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেন—বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসাধীন নারীদের ডিম্বাণু তরলে মাইক্রোপ্লাস্টিক কণার উপস্থিতি। এটি ছিল বিশ্বে প্রথম এ ধরনের প্রমাণ।

এই গবেষণাটি বৈজ্ঞানিক জার্নাল Ecotoxicology and Environmental Safety-এ প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, নারীর প্রজনন ক্ষমতার ওপর একটি নতুন হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং এর বিপজ্জনক প্রভাব সম্পর্কে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

জাপানে বন্ধ্যাত্ব দিন দিন বাড়ছে। ২০০২ সালে প্রতি ৮ দম্পতির একজন বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা নিয়েছিলেন, যা ২০২১ সালে বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি ৪.৪ দম্পতির একজনে।

বিজ্ঞানীদের মত: সম্পর্ক এখনো নিশ্চিত নয়তবে উদ্বেগ যথেষ্ট

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই বন্ধ্যাত্বের পেছনে মাইক্রোপ্লাস্টিককে দায়ী করা যায় না, তবে সতর্ক হওয়া জরুরি। অধ্যাপক হিদেশিগে তাকাদা, যিনি টোকিও কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমেরিটাস, বলছেন—“১০ বছর আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি প্রমাণ রয়েছে যে মাইক্রোপ্লাস্টিক ও এতে থাকা রাসায়নিক উপাদানগুলো মানব দেহের ক্ষতি করছে।”

প্লাস্টিকের ব্যবহার ও দূষণ: বেড়েই চলেছে

প্লাস্টিক এখন জীবনের অঙ্গ, কিন্তু এর ব্যবহারও অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে। ২০০৪ সালে বিশ্বে ২২৫ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক উৎপাদিত হলেও ২০২৩ সালে তা দাঁড়ায় ৪১৪ মিলিয়ন টনে।

এই বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক অবশেষে ভেঙে ক্ষুদ্র কণায় পরিণত হয়ে মাইক্রোপ্লাস্টিক হিসেবে নদী ও মহাসাগরে প্রবেশ করে। এগুলো সামুদ্রিক প্রাণী খেয়ে ফেলে এবং খাদ্যচক্রে ফিরে আসে মানবদেহে।

মাইক্রোপ্লাস্টিকের ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান

তাকাদা বলেন, মাইক্রোপ্লাস্টিক কণার চেয়ে এর সঙ্গে থাকা রাসায়নিক উপাদানগুলোর প্রভাবই বেশি বিপজ্জনক। যেমন—অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ইউভি অ্যাবজর্বার, ফ্লেম রিটার্ডেন্ট এবং প্লাস্টিককে নমনীয় করার উপাদান। এদের অনেকের গঠন নারীদের হরমোনের মতো, যা শরীরে প্রবেশ করলে হরমোন রিসেপ্টরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভুল সংকেত দেয়। ফলে দেখা দেয় প্রজনন সমস্যা, মস্তিষ্কের বিকাশে ব্যাঘাতসহ নানা সমস্যা।

বিশেষজ্ঞরা জানান, এই রাসায়নিকগুলোকে বলা হয় “এন্ডোক্রাইন ডিসরাপ্টর”, যাদের প্রভাব নারী-পুরুষ উভয়ের হরমোনে দেখা যায়। পিএফএএস, বিসফেনল-এ এবং ফথালেটস হচ্ছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম।

বর্তমানে নীতিগত উদ্যোগ কতটা কার্যকর?

জাপান সরকার শিশুদের খেলনা ও খাদ্য প্যাকেটের কিছু রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। তবে, হিদেশিগে তাকাদা মনে করেন, এই সরাসরি নিয়ন্ত্রণ যথেষ্ট নয়, কারণ আমরা পরোক্ষভাবে মাছ, বাতাস ও পানির মাধ্যমে মাইক্রোপ্লাস্টিক গ্রহণ করছি।

২০২৩ সালের জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্লাস্টিকে ৩২০০টির বেশি রাসায়নিক রয়েছে যেগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু, এদের মধ্যে মাত্র ১৩০টির ওপরই আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

গবেষণার মান ও সীমাবদ্ধতা

গবেষণার মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অনেক সময় গবেষকদের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি থেকেই প্লাস্টিক দূষণ ঘটে। এছাড়া শরীরে থাকা কিছু প্রাকৃতিক উপাদান প্লাস্টিকের সঙ্গে মিল থাকায় ভুল মাপজোকের সম্ভাবনা থাকে।

২০২৫ সালের মার্চে Nature জার্নালে প্রকাশিত এক মন্তব্যে বলা হয়, অধিকাংশ গবেষণার নমুনা সংখ্যা কম (২০–৫০ জন) এবং গবেষণাগারগুলোই মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণের হটস্পট হয়ে উঠছে।

পুরুষের বন্ধ্যাত্ব: এখনো অস্পষ্ট যোগসূত্র

পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্রাণুর মান ও গতিশীলতা কমে যাচ্ছে, এমন তথ্য আগেও ছিল। ফুকুশিমা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সোইচিরো ওগাওয়া বলেন, এখনো মাইক্রোপ্লাস্টিক ও পুরুষ বন্ধ্যাত্বের মাঝে সরাসরি কোনো সম্পর্ক প্রমাণিত হয়নি।

তবে, গরম পরিবেশ, বিকিরণ, কীটনাশক, দূষণ ইত্যাদির প্রভাব পুরুষ বন্ধ্যাত্বের জন্য উদ্বেগজনক। বিশেষ করে ধূমপান সবচেয়ে ক্ষতিকর।

সমস্যা জটিলসমাধান হতে হবে সামগ্রিক

তাকাদা বলেন, ২১ শতকের দূষণ অনেক বেশি জটিল। অনেকগুলো রাসায়নিক একত্রে ক্ষতি করে—একক কোনো উপাদানকে দায়ী করা কঠিন। তাই প্লাস্টিক উৎপাদন ও ব্যবহারে সামগ্রিক হ্রাসই হতে পারে সর্বোত্তম কৌশল।

নীতিমালা ও ভবিষ্যতের পথ

২০২৪ সালের শেষ দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের INC-৫ সম্মেলনে প্লাস্টিক দূষণ ঠেকাতে কোনো বাধ্যতামূলক চুক্তিতে পৌঁছানো যায়নি। পরবর্তী বৈঠক হবে ২০২৫ সালের আগস্টে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়।

জাপান ২০১৯ সালে প্লাস্টিক কৌশল ঘোষণা করে এবং ২০২২ সালে একটি আইন কার্যকর করে, তবে পরিবেশবাদীরা বলছেন, এটি খুবই দুর্বল এবং মূলত রিসাইক্লিং-এর ওপর নির্ভরশীল।

২০২০ সালে জাপানে প্লাস্টিক ব্যাগের জন্য ফি চালু হলে মাত্র ২ বছরে এর ব্যবহার অর্ধেকে নেমে আসে। বর্তমানে ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ দোকানে প্লাস্টিক ব্যাগ নেয় না।

তবে, প্লাস্টিক ব্যাগ দেশের মোট প্লাস্টিক বর্জ্যের সামান্য অংশ মাত্র। বাক্স, বোতল, কাঁটা-চামচ ইত্যাদির মাধ্যমে প্লাস্টিকের ব্যবহার এখনো ব্যাপক।

ব্যক্তিগত উদ্যোগ: কী করা যেতে পারে?

তাকাদা বলছেন, খাবার ও প্লাস্টিককে আলাদা রাখাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্লাস্টিক গরমে ভেঙে ক্ষতিকর উপাদান ছড়ায়। তাই খাবার গরম করতে গ্লাস কনটেইনার ব্যবহার করা, প্লাস্টিক বোতলের পরিবর্তে অন্যান্য উপায় গ্রহণ করা ভালো।

“সব রাসায়নিক দূষণ বন্ধ করা সম্ভব নয়, কিন্তু ব্যবহার কমানো গেলে দেহে জমা হওয়া বিষের পরিমাণ কমানো যায়,” বলেন তাকাদা।

জাপান টাইমস প্রতিবেদন: মাইক্রোপ্লাস্টিক কি মানব প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট করছে?

১০:০০:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

নারীর প্রজনন ক্ষমতায় মাইক্রোপ্লাস্টিকের হুমকি

২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইতালির গবেষকরা প্রথমবারের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেন—বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসাধীন নারীদের ডিম্বাণু তরলে মাইক্রোপ্লাস্টিক কণার উপস্থিতি। এটি ছিল বিশ্বে প্রথম এ ধরনের প্রমাণ।

এই গবেষণাটি বৈজ্ঞানিক জার্নাল Ecotoxicology and Environmental Safety-এ প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, নারীর প্রজনন ক্ষমতার ওপর একটি নতুন হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং এর বিপজ্জনক প্রভাব সম্পর্কে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

জাপানে বন্ধ্যাত্ব দিন দিন বাড়ছে। ২০০২ সালে প্রতি ৮ দম্পতির একজন বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা নিয়েছিলেন, যা ২০২১ সালে বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি ৪.৪ দম্পতির একজনে।

বিজ্ঞানীদের মত: সম্পর্ক এখনো নিশ্চিত নয়তবে উদ্বেগ যথেষ্ট

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই বন্ধ্যাত্বের পেছনে মাইক্রোপ্লাস্টিককে দায়ী করা যায় না, তবে সতর্ক হওয়া জরুরি। অধ্যাপক হিদেশিগে তাকাদা, যিনি টোকিও কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমেরিটাস, বলছেন—“১০ বছর আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি প্রমাণ রয়েছে যে মাইক্রোপ্লাস্টিক ও এতে থাকা রাসায়নিক উপাদানগুলো মানব দেহের ক্ষতি করছে।”

প্লাস্টিকের ব্যবহার ও দূষণ: বেড়েই চলেছে

প্লাস্টিক এখন জীবনের অঙ্গ, কিন্তু এর ব্যবহারও অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে। ২০০৪ সালে বিশ্বে ২২৫ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক উৎপাদিত হলেও ২০২৩ সালে তা দাঁড়ায় ৪১৪ মিলিয়ন টনে।

এই বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক অবশেষে ভেঙে ক্ষুদ্র কণায় পরিণত হয়ে মাইক্রোপ্লাস্টিক হিসেবে নদী ও মহাসাগরে প্রবেশ করে। এগুলো সামুদ্রিক প্রাণী খেয়ে ফেলে এবং খাদ্যচক্রে ফিরে আসে মানবদেহে।

মাইক্রোপ্লাস্টিকের ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান

তাকাদা বলেন, মাইক্রোপ্লাস্টিক কণার চেয়ে এর সঙ্গে থাকা রাসায়নিক উপাদানগুলোর প্রভাবই বেশি বিপজ্জনক। যেমন—অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ইউভি অ্যাবজর্বার, ফ্লেম রিটার্ডেন্ট এবং প্লাস্টিককে নমনীয় করার উপাদান। এদের অনেকের গঠন নারীদের হরমোনের মতো, যা শরীরে প্রবেশ করলে হরমোন রিসেপ্টরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভুল সংকেত দেয়। ফলে দেখা দেয় প্রজনন সমস্যা, মস্তিষ্কের বিকাশে ব্যাঘাতসহ নানা সমস্যা।

বিশেষজ্ঞরা জানান, এই রাসায়নিকগুলোকে বলা হয় “এন্ডোক্রাইন ডিসরাপ্টর”, যাদের প্রভাব নারী-পুরুষ উভয়ের হরমোনে দেখা যায়। পিএফএএস, বিসফেনল-এ এবং ফথালেটস হচ্ছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম।

বর্তমানে নীতিগত উদ্যোগ কতটা কার্যকর?

জাপান সরকার শিশুদের খেলনা ও খাদ্য প্যাকেটের কিছু রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। তবে, হিদেশিগে তাকাদা মনে করেন, এই সরাসরি নিয়ন্ত্রণ যথেষ্ট নয়, কারণ আমরা পরোক্ষভাবে মাছ, বাতাস ও পানির মাধ্যমে মাইক্রোপ্লাস্টিক গ্রহণ করছি।

২০২৩ সালের জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্লাস্টিকে ৩২০০টির বেশি রাসায়নিক রয়েছে যেগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু, এদের মধ্যে মাত্র ১৩০টির ওপরই আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

গবেষণার মান ও সীমাবদ্ধতা

গবেষণার মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অনেক সময় গবেষকদের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি থেকেই প্লাস্টিক দূষণ ঘটে। এছাড়া শরীরে থাকা কিছু প্রাকৃতিক উপাদান প্লাস্টিকের সঙ্গে মিল থাকায় ভুল মাপজোকের সম্ভাবনা থাকে।

২০২৫ সালের মার্চে Nature জার্নালে প্রকাশিত এক মন্তব্যে বলা হয়, অধিকাংশ গবেষণার নমুনা সংখ্যা কম (২০–৫০ জন) এবং গবেষণাগারগুলোই মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণের হটস্পট হয়ে উঠছে।

পুরুষের বন্ধ্যাত্ব: এখনো অস্পষ্ট যোগসূত্র

পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্রাণুর মান ও গতিশীলতা কমে যাচ্ছে, এমন তথ্য আগেও ছিল। ফুকুশিমা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সোইচিরো ওগাওয়া বলেন, এখনো মাইক্রোপ্লাস্টিক ও পুরুষ বন্ধ্যাত্বের মাঝে সরাসরি কোনো সম্পর্ক প্রমাণিত হয়নি।

তবে, গরম পরিবেশ, বিকিরণ, কীটনাশক, দূষণ ইত্যাদির প্রভাব পুরুষ বন্ধ্যাত্বের জন্য উদ্বেগজনক। বিশেষ করে ধূমপান সবচেয়ে ক্ষতিকর।

সমস্যা জটিলসমাধান হতে হবে সামগ্রিক

তাকাদা বলেন, ২১ শতকের দূষণ অনেক বেশি জটিল। অনেকগুলো রাসায়নিক একত্রে ক্ষতি করে—একক কোনো উপাদানকে দায়ী করা কঠিন। তাই প্লাস্টিক উৎপাদন ও ব্যবহারে সামগ্রিক হ্রাসই হতে পারে সর্বোত্তম কৌশল।

নীতিমালা ও ভবিষ্যতের পথ

২০২৪ সালের শেষ দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের INC-৫ সম্মেলনে প্লাস্টিক দূষণ ঠেকাতে কোনো বাধ্যতামূলক চুক্তিতে পৌঁছানো যায়নি। পরবর্তী বৈঠক হবে ২০২৫ সালের আগস্টে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়।

জাপান ২০১৯ সালে প্লাস্টিক কৌশল ঘোষণা করে এবং ২০২২ সালে একটি আইন কার্যকর করে, তবে পরিবেশবাদীরা বলছেন, এটি খুবই দুর্বল এবং মূলত রিসাইক্লিং-এর ওপর নির্ভরশীল।

২০২০ সালে জাপানে প্লাস্টিক ব্যাগের জন্য ফি চালু হলে মাত্র ২ বছরে এর ব্যবহার অর্ধেকে নেমে আসে। বর্তমানে ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ দোকানে প্লাস্টিক ব্যাগ নেয় না।

তবে, প্লাস্টিক ব্যাগ দেশের মোট প্লাস্টিক বর্জ্যের সামান্য অংশ মাত্র। বাক্স, বোতল, কাঁটা-চামচ ইত্যাদির মাধ্যমে প্লাস্টিকের ব্যবহার এখনো ব্যাপক।

ব্যক্তিগত উদ্যোগ: কী করা যেতে পারে?

তাকাদা বলছেন, খাবার ও প্লাস্টিককে আলাদা রাখাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্লাস্টিক গরমে ভেঙে ক্ষতিকর উপাদান ছড়ায়। তাই খাবার গরম করতে গ্লাস কনটেইনার ব্যবহার করা, প্লাস্টিক বোতলের পরিবর্তে অন্যান্য উপায় গ্রহণ করা ভালো।

“সব রাসায়নিক দূষণ বন্ধ করা সম্ভব নয়, কিন্তু ব্যবহার কমানো গেলে দেহে জমা হওয়া বিষের পরিমাণ কমানো যায়,” বলেন তাকাদা।