০৫:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

ভারতের পদক্ষেপ কি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে রক্ষা করেছে ?

শুরুতেই উত্তেজনার ছায়া

গত এপ্রিলের এক জঙ্গি হামলার পর ভারত ও পাকিস্তান একটি নাজুক যুদ্ধবিরতির দিকে এগোয়। ভারত অভিযোগ করে, ২২ এপ্রিল ভারতশাসিত কাশ্মীরের পাহেলগামে লস্কর-ই-তইয়বা ও জইশ-ই-মুহাম্মদের সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। এর জবাবে ৭ মে ভারত পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। উভয় দেশ হামলার মাত্রা ও ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ভিন্ন দাবি করে। পারস্পরিক পাল্টা হামলায় যুদ্ধবিমানের পতন, ড্রোন হামলা এবং একে অপরকে দোষারোপের মধ্যে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে ওঠে।

যদিও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সংঘর্ষ শেষ হয়, ভারত তা অস্বীকার করে। তবে বাস্তবতা হলো, এবারের সংঘর্ষ সীমান্তের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। ভারতের ‘অপারেশন সিন্ধূর’ কেবল পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নয়, বরং পাঞ্জাবের ভেতরেও সন্ত্রাসী ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। এতে ভারত বোঝাতে চেয়েছিল যে দেশটি আর সীমিত প্রতিক্রিয়ায় সীমাবদ্ধ থাকবে না।

ভারতের কৌশল ও তার ব্যর্থতা

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার পাশাপাশি, পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া থেকে বিরত রাখাই ছিল ভারতের মূল লক্ষ্য। তবে বাস্তবে তা হয়নি। বরং পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এই পরিস্থিতিকে নিজেদের জয় হিসেবে প্রচার করে অভ্যন্তরীণ সমর্থন বাড়াতে সক্ষম হয়।

লস্কর-ই-তইয়বা সংশ্লিষ্ট একটি দল পাহেলগামের হামলার দায় স্বীকার করে। ভারত সাড়া দিয়ে ‘ইন্দাস জলচুক্তি’ একতরফাভাবে স্থগিত করে এবং পরে সামরিক হামলা চালায়। তবে এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি তখন তলানিতে, কারণ তারা পিটিআই নেতা ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে রাজনৈতিক বিরোধিতার মুখোমুখি হচ্ছিল। অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও জনগণের ক্ষোভ বেড়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ভারতের হামলা সেনাবাহিনীকে আবারও ‘জনতার রক্ষক’ হিসেবে তুলে ধরার সুযোগ দেয়। একটি জরিপে দেখা যায়, ৯৬% পাকিস্তানি মনে করেন তাদের দেশ সাম্প্রতিক সংঘর্ষে জয়ী হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করা হয়, যা পাকিস্তানের ইতিহাসে দ্বিতীয় ঘটনা।

প্রতিশোধের চেয়ে উসকানি

ভারতের হামলা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জিহাদি অবকাঠামো ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়। আইএসআই আগেই গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি সরিয়ে ফেলে। তদুপরি, এই সংঘর্ষ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কাছে এটি প্রমাণ করে যে তারা কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম।

সেনাপ্রধান মুনির আগেই ভারতবিরোধী মনোভাব দেখিয়েছেন। তিনি সম্প্রতি ‘দুই জাতি তত্ত্ব’ তুলে ধরে বলেন, “আমাদের ধর্ম, সংস্কৃতি, আকাঙ্ক্ষা সবকিছু ভিন্ন।” এর মাধ্যমে দেখা যায়, ব্যক্তিগত অবস্থানের চেয়ে প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টিভঙ্গিই অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি শান্তিপ্রিয় বলে পরিচিত পূর্ববর্তী সেনাপ্রধান বাজওয়াও ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা মদদ দিয়েছিলেন।

পারমাণবিক অস্ত্রের ছায়া

ভারতের পারমাণবিক ‘প্রথম ব্যবহার নয়’ নীতির বিপরীতে, পাকিস্তান প্রথমে হামলার অধিকার রাখে বলে জানিয়ে রেখেছে। ভারতের ‘কোল্ড স্টার্ট’ নীতির জবাবে পাকিস্তান কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দেয়। এবারের সংঘর্ষেও প্রতীকী পারমাণবিক বার্তা দেওয়া হয়।

ভারতীয় হামলার পর পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খোয়াজা আসিফ বলেন, দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হলে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। নুর খান ঘাঁটিসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা আঘাতের পর পরেই পাকিস্তানের জাতীয় কমান্ড কর্তৃপক্ষের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে এবং যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতায় নামে। ট্রাম্প দাবি করেন, তার প্রশাসন কেবল যুদ্ধ থামায়নি, বরং পারমাণবিক সংঘর্ষও ঠেকিয়েছে।

এই সংঘর্ষের ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ হলো, দুই দেশ পারমাণবিক যুদ্ধ এড়িয়ে সীমিত প্রতিশোধে সীমাবদ্ধ থেকেছে। তবে এটি একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্তও তৈরি করে—পারমাণবিক অস্ত্র থাকার ফলে সীমিত সংঘর্ষ বা সন্ত্রাসের ঝুঁকি বেড়ে যায়, যা পরবর্তী সময়ে বড় সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

গুজব, ড্রোন এবং ভবিষ্যতের শঙ্কা

সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘যুদ্ধ উন্মাদনা’ ছড়িয়ে দেয়, যেখানে করাচিতে হামলা বা শহর দখলের মতো ভুল তথ্য প্রচার করে উত্তেজনা বাড়ানো হয়। অন্যদিকে, ড্রোনের ব্যবহার উভয় পক্ষের জন্য নতুন আশঙ্কা সৃষ্টি করে। আত্মঘাতী ড্রোন ব্যবহার জনমনে আতঙ্ক বাড়ায় এবং ভবিষ্যতের সংঘর্ষে এ ধরনের প্রযুক্তি দ্বিগুণ বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

ভারত সরকার বলছে, তারা কেবল বিরতি দিয়েছে—যে কোনো সময় আবারো হামলা চালাতে পারে। ভারত মনে করছে পাকিস্তান এখন কিছুটা দমে গেছে, কিন্তু বাস্তবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আরও আত্মবিশ্বাসী এবং প্রস্তুত মনে করছে নিজেদের। একমাত্র শান্তির পথ হতে পারে উভয় পক্ষের কৌশলগত সংযম, কারণ বারবার সংঘর্ষ তাদের জাতীয় অর্থনীতি এবং নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করে।

সাময়িক অবসান

পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে এই সংঘর্ষের অবসান সাময়িক। যেকোনো একটি সন্ত্রাসী হামলাই এই অঞ্চলকে আবার সংঘর্ষের মুখে ঠেলে দিতে পারে। যদি দুই দেশ একে অপরকে ধ্বংস করার মধ্যে লাভ দেখতেই থাকে, তবে শান্তি হবে কেবল এক মুহূর্তের বিলাসিতা। বাস্তবতা হলো, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা বুঝবে যে যুদ্ধ নয় বরং সংলাপই সমাধান—ততক্ষণ এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলতেই থাকবে।

 

ভারতের পদক্ষেপ কি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে রক্ষা করেছে ?

০৩:৪৮:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

শুরুতেই উত্তেজনার ছায়া

গত এপ্রিলের এক জঙ্গি হামলার পর ভারত ও পাকিস্তান একটি নাজুক যুদ্ধবিরতির দিকে এগোয়। ভারত অভিযোগ করে, ২২ এপ্রিল ভারতশাসিত কাশ্মীরের পাহেলগামে লস্কর-ই-তইয়বা ও জইশ-ই-মুহাম্মদের সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। এর জবাবে ৭ মে ভারত পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। উভয় দেশ হামলার মাত্রা ও ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ভিন্ন দাবি করে। পারস্পরিক পাল্টা হামলায় যুদ্ধবিমানের পতন, ড্রোন হামলা এবং একে অপরকে দোষারোপের মধ্যে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে ওঠে।

যদিও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সংঘর্ষ শেষ হয়, ভারত তা অস্বীকার করে। তবে বাস্তবতা হলো, এবারের সংঘর্ষ সীমান্তের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। ভারতের ‘অপারেশন সিন্ধূর’ কেবল পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নয়, বরং পাঞ্জাবের ভেতরেও সন্ত্রাসী ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। এতে ভারত বোঝাতে চেয়েছিল যে দেশটি আর সীমিত প্রতিক্রিয়ায় সীমাবদ্ধ থাকবে না।

ভারতের কৌশল ও তার ব্যর্থতা

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার পাশাপাশি, পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া থেকে বিরত রাখাই ছিল ভারতের মূল লক্ষ্য। তবে বাস্তবে তা হয়নি। বরং পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এই পরিস্থিতিকে নিজেদের জয় হিসেবে প্রচার করে অভ্যন্তরীণ সমর্থন বাড়াতে সক্ষম হয়।

লস্কর-ই-তইয়বা সংশ্লিষ্ট একটি দল পাহেলগামের হামলার দায় স্বীকার করে। ভারত সাড়া দিয়ে ‘ইন্দাস জলচুক্তি’ একতরফাভাবে স্থগিত করে এবং পরে সামরিক হামলা চালায়। তবে এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি তখন তলানিতে, কারণ তারা পিটিআই নেতা ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে রাজনৈতিক বিরোধিতার মুখোমুখি হচ্ছিল। অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও জনগণের ক্ষোভ বেড়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ভারতের হামলা সেনাবাহিনীকে আবারও ‘জনতার রক্ষক’ হিসেবে তুলে ধরার সুযোগ দেয়। একটি জরিপে দেখা যায়, ৯৬% পাকিস্তানি মনে করেন তাদের দেশ সাম্প্রতিক সংঘর্ষে জয়ী হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করা হয়, যা পাকিস্তানের ইতিহাসে দ্বিতীয় ঘটনা।

প্রতিশোধের চেয়ে উসকানি

ভারতের হামলা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জিহাদি অবকাঠামো ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়। আইএসআই আগেই গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি সরিয়ে ফেলে। তদুপরি, এই সংঘর্ষ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কাছে এটি প্রমাণ করে যে তারা কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম।

সেনাপ্রধান মুনির আগেই ভারতবিরোধী মনোভাব দেখিয়েছেন। তিনি সম্প্রতি ‘দুই জাতি তত্ত্ব’ তুলে ধরে বলেন, “আমাদের ধর্ম, সংস্কৃতি, আকাঙ্ক্ষা সবকিছু ভিন্ন।” এর মাধ্যমে দেখা যায়, ব্যক্তিগত অবস্থানের চেয়ে প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টিভঙ্গিই অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি শান্তিপ্রিয় বলে পরিচিত পূর্ববর্তী সেনাপ্রধান বাজওয়াও ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা মদদ দিয়েছিলেন।

পারমাণবিক অস্ত্রের ছায়া

ভারতের পারমাণবিক ‘প্রথম ব্যবহার নয়’ নীতির বিপরীতে, পাকিস্তান প্রথমে হামলার অধিকার রাখে বলে জানিয়ে রেখেছে। ভারতের ‘কোল্ড স্টার্ট’ নীতির জবাবে পাকিস্তান কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দেয়। এবারের সংঘর্ষেও প্রতীকী পারমাণবিক বার্তা দেওয়া হয়।

ভারতীয় হামলার পর পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খোয়াজা আসিফ বলেন, দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হলে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। নুর খান ঘাঁটিসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা আঘাতের পর পরেই পাকিস্তানের জাতীয় কমান্ড কর্তৃপক্ষের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে এবং যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতায় নামে। ট্রাম্প দাবি করেন, তার প্রশাসন কেবল যুদ্ধ থামায়নি, বরং পারমাণবিক সংঘর্ষও ঠেকিয়েছে।

এই সংঘর্ষের ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ হলো, দুই দেশ পারমাণবিক যুদ্ধ এড়িয়ে সীমিত প্রতিশোধে সীমাবদ্ধ থেকেছে। তবে এটি একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্তও তৈরি করে—পারমাণবিক অস্ত্র থাকার ফলে সীমিত সংঘর্ষ বা সন্ত্রাসের ঝুঁকি বেড়ে যায়, যা পরবর্তী সময়ে বড় সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

গুজব, ড্রোন এবং ভবিষ্যতের শঙ্কা

সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘যুদ্ধ উন্মাদনা’ ছড়িয়ে দেয়, যেখানে করাচিতে হামলা বা শহর দখলের মতো ভুল তথ্য প্রচার করে উত্তেজনা বাড়ানো হয়। অন্যদিকে, ড্রোনের ব্যবহার উভয় পক্ষের জন্য নতুন আশঙ্কা সৃষ্টি করে। আত্মঘাতী ড্রোন ব্যবহার জনমনে আতঙ্ক বাড়ায় এবং ভবিষ্যতের সংঘর্ষে এ ধরনের প্রযুক্তি দ্বিগুণ বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

ভারত সরকার বলছে, তারা কেবল বিরতি দিয়েছে—যে কোনো সময় আবারো হামলা চালাতে পারে। ভারত মনে করছে পাকিস্তান এখন কিছুটা দমে গেছে, কিন্তু বাস্তবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আরও আত্মবিশ্বাসী এবং প্রস্তুত মনে করছে নিজেদের। একমাত্র শান্তির পথ হতে পারে উভয় পক্ষের কৌশলগত সংযম, কারণ বারবার সংঘর্ষ তাদের জাতীয় অর্থনীতি এবং নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করে।

সাময়িক অবসান

পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে এই সংঘর্ষের অবসান সাময়িক। যেকোনো একটি সন্ত্রাসী হামলাই এই অঞ্চলকে আবার সংঘর্ষের মুখে ঠেলে দিতে পারে। যদি দুই দেশ একে অপরকে ধ্বংস করার মধ্যে লাভ দেখতেই থাকে, তবে শান্তি হবে কেবল এক মুহূর্তের বিলাসিতা। বাস্তবতা হলো, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা বুঝবে যে যুদ্ধ নয় বরং সংলাপই সমাধান—ততক্ষণ এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলতেই থাকবে।