নরবলি প্রথা
মায়া, আজতেক জনসমাজে ধর্মীয় বিশ্বাস এবং লোকাচার লোকরীতির গুরুত্ব খুব বেশি। অন্যভাবে বলা যায়, পুরোহিত থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, মধ্যবিত্ত সমাজ নিজেদের জীবনে লোকবিশ্বাস এবং লোকাচারকে মেনে চলে, যার অন্যতম প্রকাশ ঘটে নরবলি প্রথার মধ্যে।
সাধারণভাবে দেখা গেছে মায়া আজতেক এবং ইনকারা বিশেষ দেবতাকে সন্তুষ্ট করার জন্য এই নরবলি দেয়। ঐতিহাসিকদের তথ্য থেকে জানা যায় তেনোচতিতলান-এর মহান পিরামিডকে নতুনভাবে সাজানোর জন্য আজতেকরা হাজার হাজার যুদ্ধবন্দিকে উৎসর্গ করেছিল।
অর্থাৎ কেবলমাত্র ধর্মীয় আচার নয়, জীবন ও সমাজের নানা ঘটনায় সাফল্য, মঙ্গল লাভ করার জন্যও নরবলির পথ গ্রহণ করা হত। এর থেকে আমরা সহজেই বুঝতে পারি মায়া ও আজতেক সভ্যতায় পশুবলি এবং নরবলির অভ্যাস কী গভীরভাবে বাসা বেঁধেছিল।
আদতে আজতেক, মায়া, ইনকা সমাজে মেসোআমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকা সমাজ সংস্কৃতির প্রভাব ও সংমিশ্রণ ঘটেছিল। বিশেষত আজতেকরা মেসোআমেরিকা সমাজের প্রচলিত নানা প্রথার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল এবং এর মধ্যে নরবলি প্রথা ছিল অন্যতম।
(চলবে)