০৫:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
আলোচনার পরিবর্তে কেন শিক্ষকদের ওপর সহিংসতা — প্রশ্ন জিএম কাদেরের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডের ৯ রানে জয়; ওয়েস্ট ইনডিজকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল কিউইরা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল তুরস্ক নাটোরে পুলিশের হাত থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীকে ছিনিয়ে নিল জনতা বেতন কাঠামো উন্নয়ন ও উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন অব্যাহত রাজশাহীতে তাপমাত্রা নেমে ১৬.৫ ডিগ্রিতে: শীতের আগমনী বার্তা মোহাম্মদপুরে গ্যারেজে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি যানবাহন শীতের আরাম নিশ্চিত করুন: বাংলাদেশে কোন গিজারগুলো সেরা ঢাকা-খুলনাসহ ১৫ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ ব্যাংকঅ্যাশিওরেন্স: শোকাহত পরিবারের পাশে দ্রুত সহায়তা

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৬১)

সপ্তম পরিচ্ছেদ

দিন দুই পরে বাচ্চা বেদে একটু ভালো বোধ করতে লাগল। সন্ধেবেলা আমি যখন ওর কাছে গিয়ে বসলুম, দেখলুম একরাশ শুকনো পাতার ওপর শুয়ে তারাভরা কালো আকাশটার দিকে তাকিয়ে ও গুনগুন করে কী একটা সূর ভাঁজছে।

বললুম, ‘বাচ্চা বেদে, আমি তোমার পাশেই একটা আগুনের কুণ্ড জেলে খানিকটা জল গরম করি। তারপর চা খাওয়া যাবে। আমার ফ্লাস্কে খানিকটা দুধ আছে। চা করি, কেমন?’

দৌড়ে গিয়ে খানিকটা জল সংগ্রহ করলুম। তারপর আগুনের দু-পাশে মাটিতে দুটো বেয়োনেট পু’তে তাদের ওপর বন্দুকের নল সাফ করার ডান্ডাটা এমনভাবে আটকে দিলুম যাতে ডান্ডাটা আগুনের কুন্ডের ওপর আড়াআড়িভাবে

কূলে থাকে আর সেই ডাণ্ডার ওপর জল ভরে বসিয়ে দিলুম আমার কানাউ’চু খাওয়ার খালিটা। এরপর জখম-হওয়া ছেলেটার কাছে গিয়ে বসলুম।

জিজ্ঞেস করলুম, ‘বাচ্চা বেদে, কী গান গাইছ তুমি?’

জবাব দিতে একটু দেরি করল ও। তারপর বলল:

‘খুব পুরনো এটা গান করচি গো। গানটা বুলচে, বেদেদের লিজের কোনো দেশ নাই, যে-দেশে তারা ভালো ব্যাভার পায় সেটি তাদের দেশ। গানটা আরও বুলচে: ‘বল্ তো বেদে, কোন দেশে তোরা ভালো ব্যাভার পেয়েছিস?’ তা গানটাই জবাব দিচ্ছে: ‘কত দেশের ইধার-সিধার ছুঁড়ে বেড়ালম। হাঙ্গারিয়ান দেখলম, বুলগেরিয়ান দেখলম, তুর্ক’দের দেশেও গেলম, কিন্তুক এমন দেশটি দেখলম নাই যে-দেশের মানুষ আমার জাতভাইদের সাথে ভালো ব্যাভার করে’।’

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

আলোচনার পরিবর্তে কেন শিক্ষকদের ওপর সহিংসতা — প্রশ্ন জিএম কাদেরের

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৬১)

০৮:০০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

সপ্তম পরিচ্ছেদ

দিন দুই পরে বাচ্চা বেদে একটু ভালো বোধ করতে লাগল। সন্ধেবেলা আমি যখন ওর কাছে গিয়ে বসলুম, দেখলুম একরাশ শুকনো পাতার ওপর শুয়ে তারাভরা কালো আকাশটার দিকে তাকিয়ে ও গুনগুন করে কী একটা সূর ভাঁজছে।

বললুম, ‘বাচ্চা বেদে, আমি তোমার পাশেই একটা আগুনের কুণ্ড জেলে খানিকটা জল গরম করি। তারপর চা খাওয়া যাবে। আমার ফ্লাস্কে খানিকটা দুধ আছে। চা করি, কেমন?’

দৌড়ে গিয়ে খানিকটা জল সংগ্রহ করলুম। তারপর আগুনের দু-পাশে মাটিতে দুটো বেয়োনেট পু’তে তাদের ওপর বন্দুকের নল সাফ করার ডান্ডাটা এমনভাবে আটকে দিলুম যাতে ডান্ডাটা আগুনের কুন্ডের ওপর আড়াআড়িভাবে

কূলে থাকে আর সেই ডাণ্ডার ওপর জল ভরে বসিয়ে দিলুম আমার কানাউ’চু খাওয়ার খালিটা। এরপর জখম-হওয়া ছেলেটার কাছে গিয়ে বসলুম।

জিজ্ঞেস করলুম, ‘বাচ্চা বেদে, কী গান গাইছ তুমি?’

জবাব দিতে একটু দেরি করল ও। তারপর বলল:

‘খুব পুরনো এটা গান করচি গো। গানটা বুলচে, বেদেদের লিজের কোনো দেশ নাই, যে-দেশে তারা ভালো ব্যাভার পায় সেটি তাদের দেশ। গানটা আরও বুলচে: ‘বল্ তো বেদে, কোন দেশে তোরা ভালো ব্যাভার পেয়েছিস?’ তা গানটাই জবাব দিচ্ছে: ‘কত দেশের ইধার-সিধার ছুঁড়ে বেড়ালম। হাঙ্গারিয়ান দেখলম, বুলগেরিয়ান দেখলম, তুর্ক’দের দেশেও গেলম, কিন্তুক এমন দেশটি দেখলম নাই যে-দেশের মানুষ আমার জাতভাইদের সাথে ভালো ব্যাভার করে’।’