০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
রাশিয়া, চীন ও ইরানের মাঝের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাবর্তন দেশবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানালেন তারেক রহমান নরওয়ের বড়দিনে বিতর্কিত খাবার লুটেফিস্কের প্রত্যাবর্তন, ঐতিহ্যেই ফিরছে স্বাদ প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৫) নিউজিল্যান্ডে গ্যাং প্রতীক নিষিদ্ধ: রাস্তায় শান্তি, কিন্তু অপরাধ কি সত্যিই কমল সৌদিতে বিরল তুষারপাতের পর প্রশ্ন: সংযুক্ত আরব আমিরাতেও কি আবার তুষারপাত সম্ভব? যে রিকশায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি, সেই চালকের আদালতে জবানবন্দি তারেক রহমানের নেতৃত্বে নির্বাচনে আমরা জয়ী হবো: মির্জা ফখরুল পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে বহুদলীয় গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে: নাহিদ

দেশবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানালেন তারেক রহমান

সমকালের একটি শিরোনাম “দেশবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানালেন তারেক রহমান”

দেশবাসীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ লন্ডন থেকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফিটে মহাসড়কে অগণিত মানুষের সমাগম ঘটে। ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন জনসমাগমে ঢাকা মহানগরী যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়। অভ্যর্থনা জানাতে আসা দেশবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তারেক রহমান।

এছাড়া অভ্যর্থনা জানাতে আসা ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীদের তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

অভ্যর্থনা কার্যক্রমকে সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী এবং সাংবাদিকদের তারেক রহমান আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে ১৭ বছর পর আজ সকালে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন তারেক রহমান। দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের দেওয়া সংবর্ধনা শেষে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।

বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে বাসে ওঠার আগে তারেক রহমান জুতা খুলে মাটিতে পা রাখেন এবং হাতে একমুঠো মাটি নেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের মধ্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম”ঋণমুক্তির স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন সিয়াম, নিভে গেলেন হাতবোমায়”

পরিবারের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য ছোটবেলা থেকেই চেষ্টা করেছেন সিয়াম মজুমদার (২১)। তাই চার বছর আগে ঋণগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। নিউ ইস্কাটনের একটি মোটরকার ডেকোরেশন দোকানে কাজ করে পরিবারকে সহায়তাও করতেন তিনি। ঋণ পরিশোধের পর দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল তাঁর।

কিন্তু গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া ককটেলের বিস্ফোরণে সিয়ামের সেই স্বপ্ন থেমে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, ককটেলটি ওপর থেকে এসে তাঁর মাথায় লাগে।

সিয়ামের পরিবার জানায়, ঢাকায় এসে রিকশা চালানো শুরু করেন তাঁর বাবা আলী আকবর মজুমদার। মা সিজু বেগম বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কাজ নেন। ছোট ভাই সেজান মজুমদারও ইস্কাটন এলাকায় একটি গাড়ি ডেকোরেশনের দোকানে কাজ করেন। পরিবারের সবাই মিলে চেষ্টা করছিলেন ঋণমুক্ত হওয়ার।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিউ ইস্কাটনের দুই হাজার গলির ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখা যায়, শোকে ভেঙে পড়েছেন সিয়ামের মা সিজু বেগম। বিলাপ করতে করতে তিনি বলেন, ঢাকায় এসে তাঁদের সব শেষ হয়ে গেছে। ছেলের হত্যার সুষ্ঠু বিচার চান তিনি।

ছোট ভাই সেজান মজুমদার বলেন, পরিবারের আর্থিক সংকট কাটিয়ে ভাই বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ এই মৃত্যু পুরো পরিবারকে নিঃস্ব করে দিয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ছেলের মরদেহ নিতে গিয়ে বাবা আলী আকবর মজুমদার বলেন, ভাগ্য বদলাতে ঢাকায় এসে ছেলেকে হারাতে হবে—এমনটা জানলে তিনি কখনোই ঢাকায় আসতেন না।

ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ জানায়, গতকাল সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা ১০ মিনিটে মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া বিস্ফোরকদ্রব্যের আঘাতে সিয়াম মজুমদার নিহত হন। ঘটনার সময় তিনি মগবাজার-নিউ ইস্কাটন সড়কে কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

ঘটনাস্থলের চা-দোকানি মো. ফারুক আজ বিকেলে বলেন, চা বানানোর সময় বিকট শব্দ হয়। পরে দেখা যায়, সিয়াম মাটিতে পড়ে আছেন, মাথা থেকে রক্ত ঝরছে।

এ ঘটনায় সিয়ামের বাবা হাতিরঝিল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, এখনো কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। জড়িতদের চিহ্নিত করতে তদন্ত চলছে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতা করছে এনসিপি”

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আসন সমঝোতায় যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে এক্ষেত্রে কোনো নির্বাচনী জোট নয়, বরং জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুতে উভয় দলের মধ্যে আসন সমঝোতা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন। সেই সঙ্গে তারা জানান, আলোচনা চূড়ান্ত হলে জুলাই অভ্যুত্থানকে ঘিরে গড়ে ওঠা তরুণদের দলটিকে ৫০টি পর্যন্ত আসনে ছাড় দিতে পারে জামায়াত।

এনসিপি সূত্র জানায়, জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে গত বুধবার তাদের দুই দফায় বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠকে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে এনসিপির একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল। সেখানে জোটের বিষয়ে আলোচনা হলেও তা এড়িয়ে শুধু আসন সমঝোতার বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হন দুই দলের নেতারা। সংস্কার, বিচারসহ বেশকিছু মৌলিক ইস্যুতেও তারা একমত হয়েছেন।

আসন সমঝোতা হলে এনসিপিকে কত আসন ছাড়তে হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বৈঠক সূত্র এ বিষয়ে বণিক বার্তাকে জানায়, এনসিপি অন্তত ৫০টি আসনের নিশ্চয়তা চায়। তবে জামায়াতে ইসলামী ৩০টি আসন দিতে চায়। বিষয়টি চূড়ান্ত না হলেও ৩০-৫০টি আসন এনসিপিকে ছাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে এসব আসনে এনসিপির বর্তমান জোটসঙ্গী আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনও থাকতে পারে বলে জানা গেছে।

এনসিপির একটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতায় বেশি আগ্রহী ছিলেন দলটির অনেক নেতা। তবে বিভিন্ন সমীকরণ শেষে সেখান থেকে সরে আসতে হয়। বিএনপি এরই মধ্যে এনসিপির শীর্ষ সব নেতার আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে। আপাতত আর কোনো আলোচনাও নেই দলটির সঙ্গে। তাই জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেই নির্বাচনী ঐক্যে পৌঁছেছে এনসিপি। এখন আসন সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত হলে এনসিপির ঘোষিত প্রার্থী তালিকা থেকে শীর্ষ নেতাদের দু-একজনও রদবদল হতে পারেন। কেউ কেউ ঢাকার আসন ছেড়ে নিজ এলাকায়ও নির্বাচন করতে পারেন।

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। এনসিপি শাপলা কলি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছে, শতাধিক আসনে প্রার্থীও ঘোষণা করেছে। তারা এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনকে নিয়ে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’ গঠন করলেও আরো দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে যেসব দলের নিবন্ধন নেই তারা শাপলা কলি প্রতীকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “বাংলাদেশি সন্দেহে ওড়িশায় মুসলমান যুবককে পিটিয়ে হত্যা”

বাংলাদেশি সন্দেহে ভারতের ওড়িশায় এক মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তার আরও দুই সহকর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। বর্তমানে তারা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।

বিবিসি বাংলার এক খবরে বলা হয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে ওড়িশার সম্বলপুর জেলায়। সম্বলপুরের মহকুমা পুলিশ অফিসার, এসডিপিও জানিয়েছেন, আইন্থাপল্লী থানার অন্তর্গত দানিপালি এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত ওই যুবক, ১৯ বছর বয়সী জুয়েল রানা পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের সুতি অঞ্চলের বাসিন্দা। মাত্র পাঁচদিন আগে তিনি বাড়ি থেকে কাজ করতে ওড়িশা গিয়েছিলেন।

তার দুই সহকর্মী, যারা খুব কাছেই ছিলেন, তারা বিবিসিকে বলেছেন যে, দুষ্কৃতকারীরা বুধবার মারধর করে। তারা প্রথমে বাংলাদেশি বলে সন্দেহ করে এবং পরিচয়পত্র দেখতে চায়। পরিযায়ী শ্রমিকদের একটি সংগঠন বলছে, কেন্দ্রীয় সরকার ‘বাংলাদেশি’ এবং ‘রোহিঙ্গা’ ধরার যে বিশেষ প্রক্রিয়া শুরু করেছে, তারই ফলশ্রুতিতে বাংলাভাষী মুসলমানরা এভাবে একের পর এক বাংলাদেশি সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হচ্ছেন।

যে এলাকায় জুয়েল রানাকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, সেই আইন্থাপল্লী থানা এলাকাটি সম্বলপুর মহকুমার অধীন। মহকুমা পুলিশ অফিসার তোফান বাগ বিবিসিকে ঘটনাক্রমের যে বর্ণনা দিয়েছেন, তার সঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শী জুয়েল রানার সহকর্মীদের বক্তব্য প্রায় মিলে গেছে। উভয়ের বক্তব্য- বিড়ি খাওয়ার সময় প্রথমে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা হামলার শিকার তিন ব্যক্তির পরিচয়পত্র দেখতে চায়। তারপরই তাদের মারধর করে। এতে জুয়েল রানা ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

রাশিয়া, চীন ও ইরানের মাঝের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাবর্তন

দেশবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানালেন তারেক রহমান

০৬:৫২:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “দেশবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানালেন তারেক রহমান”

দেশবাসীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ লন্ডন থেকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফিটে মহাসড়কে অগণিত মানুষের সমাগম ঘটে। ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন জনসমাগমে ঢাকা মহানগরী যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়। অভ্যর্থনা জানাতে আসা দেশবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তারেক রহমান।

এছাড়া অভ্যর্থনা জানাতে আসা ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীদের তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

অভ্যর্থনা কার্যক্রমকে সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী এবং সাংবাদিকদের তারেক রহমান আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে ১৭ বছর পর আজ সকালে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন তারেক রহমান। দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের দেওয়া সংবর্ধনা শেষে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।

বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে বাসে ওঠার আগে তারেক রহমান জুতা খুলে মাটিতে পা রাখেন এবং হাতে একমুঠো মাটি নেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের মধ্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম”ঋণমুক্তির স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন সিয়াম, নিভে গেলেন হাতবোমায়”

পরিবারের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য ছোটবেলা থেকেই চেষ্টা করেছেন সিয়াম মজুমদার (২১)। তাই চার বছর আগে ঋণগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। নিউ ইস্কাটনের একটি মোটরকার ডেকোরেশন দোকানে কাজ করে পরিবারকে সহায়তাও করতেন তিনি। ঋণ পরিশোধের পর দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল তাঁর।

কিন্তু গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া ককটেলের বিস্ফোরণে সিয়ামের সেই স্বপ্ন থেমে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, ককটেলটি ওপর থেকে এসে তাঁর মাথায় লাগে।

সিয়ামের পরিবার জানায়, ঢাকায় এসে রিকশা চালানো শুরু করেন তাঁর বাবা আলী আকবর মজুমদার। মা সিজু বেগম বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কাজ নেন। ছোট ভাই সেজান মজুমদারও ইস্কাটন এলাকায় একটি গাড়ি ডেকোরেশনের দোকানে কাজ করেন। পরিবারের সবাই মিলে চেষ্টা করছিলেন ঋণমুক্ত হওয়ার।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিউ ইস্কাটনের দুই হাজার গলির ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখা যায়, শোকে ভেঙে পড়েছেন সিয়ামের মা সিজু বেগম। বিলাপ করতে করতে তিনি বলেন, ঢাকায় এসে তাঁদের সব শেষ হয়ে গেছে। ছেলের হত্যার সুষ্ঠু বিচার চান তিনি।

ছোট ভাই সেজান মজুমদার বলেন, পরিবারের আর্থিক সংকট কাটিয়ে ভাই বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ এই মৃত্যু পুরো পরিবারকে নিঃস্ব করে দিয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ছেলের মরদেহ নিতে গিয়ে বাবা আলী আকবর মজুমদার বলেন, ভাগ্য বদলাতে ঢাকায় এসে ছেলেকে হারাতে হবে—এমনটা জানলে তিনি কখনোই ঢাকায় আসতেন না।

ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ জানায়, গতকাল সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা ১০ মিনিটে মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া বিস্ফোরকদ্রব্যের আঘাতে সিয়াম মজুমদার নিহত হন। ঘটনার সময় তিনি মগবাজার-নিউ ইস্কাটন সড়কে কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

ঘটনাস্থলের চা-দোকানি মো. ফারুক আজ বিকেলে বলেন, চা বানানোর সময় বিকট শব্দ হয়। পরে দেখা যায়, সিয়াম মাটিতে পড়ে আছেন, মাথা থেকে রক্ত ঝরছে।

এ ঘটনায় সিয়ামের বাবা হাতিরঝিল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, এখনো কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। জড়িতদের চিহ্নিত করতে তদন্ত চলছে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতা করছে এনসিপি”

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আসন সমঝোতায় যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে এক্ষেত্রে কোনো নির্বাচনী জোট নয়, বরং জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুতে উভয় দলের মধ্যে আসন সমঝোতা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন। সেই সঙ্গে তারা জানান, আলোচনা চূড়ান্ত হলে জুলাই অভ্যুত্থানকে ঘিরে গড়ে ওঠা তরুণদের দলটিকে ৫০টি পর্যন্ত আসনে ছাড় দিতে পারে জামায়াত।

এনসিপি সূত্র জানায়, জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে গত বুধবার তাদের দুই দফায় বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠকে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে এনসিপির একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল। সেখানে জোটের বিষয়ে আলোচনা হলেও তা এড়িয়ে শুধু আসন সমঝোতার বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হন দুই দলের নেতারা। সংস্কার, বিচারসহ বেশকিছু মৌলিক ইস্যুতেও তারা একমত হয়েছেন।

আসন সমঝোতা হলে এনসিপিকে কত আসন ছাড়তে হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বৈঠক সূত্র এ বিষয়ে বণিক বার্তাকে জানায়, এনসিপি অন্তত ৫০টি আসনের নিশ্চয়তা চায়। তবে জামায়াতে ইসলামী ৩০টি আসন দিতে চায়। বিষয়টি চূড়ান্ত না হলেও ৩০-৫০টি আসন এনসিপিকে ছাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে এসব আসনে এনসিপির বর্তমান জোটসঙ্গী আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনও থাকতে পারে বলে জানা গেছে।

এনসিপির একটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতায় বেশি আগ্রহী ছিলেন দলটির অনেক নেতা। তবে বিভিন্ন সমীকরণ শেষে সেখান থেকে সরে আসতে হয়। বিএনপি এরই মধ্যে এনসিপির শীর্ষ সব নেতার আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে। আপাতত আর কোনো আলোচনাও নেই দলটির সঙ্গে। তাই জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেই নির্বাচনী ঐক্যে পৌঁছেছে এনসিপি। এখন আসন সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত হলে এনসিপির ঘোষিত প্রার্থী তালিকা থেকে শীর্ষ নেতাদের দু-একজনও রদবদল হতে পারেন। কেউ কেউ ঢাকার আসন ছেড়ে নিজ এলাকায়ও নির্বাচন করতে পারেন।

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। এনসিপি শাপলা কলি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছে, শতাধিক আসনে প্রার্থীও ঘোষণা করেছে। তারা এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনকে নিয়ে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’ গঠন করলেও আরো দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে যেসব দলের নিবন্ধন নেই তারা শাপলা কলি প্রতীকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “বাংলাদেশি সন্দেহে ওড়িশায় মুসলমান যুবককে পিটিয়ে হত্যা”

বাংলাদেশি সন্দেহে ভারতের ওড়িশায় এক মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তার আরও দুই সহকর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। বর্তমানে তারা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।

বিবিসি বাংলার এক খবরে বলা হয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে ওড়িশার সম্বলপুর জেলায়। সম্বলপুরের মহকুমা পুলিশ অফিসার, এসডিপিও জানিয়েছেন, আইন্থাপল্লী থানার অন্তর্গত দানিপালি এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত ওই যুবক, ১৯ বছর বয়সী জুয়েল রানা পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের সুতি অঞ্চলের বাসিন্দা। মাত্র পাঁচদিন আগে তিনি বাড়ি থেকে কাজ করতে ওড়িশা গিয়েছিলেন।

তার দুই সহকর্মী, যারা খুব কাছেই ছিলেন, তারা বিবিসিকে বলেছেন যে, দুষ্কৃতকারীরা বুধবার মারধর করে। তারা প্রথমে বাংলাদেশি বলে সন্দেহ করে এবং পরিচয়পত্র দেখতে চায়। পরিযায়ী শ্রমিকদের একটি সংগঠন বলছে, কেন্দ্রীয় সরকার ‘বাংলাদেশি’ এবং ‘রোহিঙ্গা’ ধরার যে বিশেষ প্রক্রিয়া শুরু করেছে, তারই ফলশ্রুতিতে বাংলাভাষী মুসলমানরা এভাবে একের পর এক বাংলাদেশি সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হচ্ছেন।

যে এলাকায় জুয়েল রানাকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, সেই আইন্থাপল্লী থানা এলাকাটি সম্বলপুর মহকুমার অধীন। মহকুমা পুলিশ অফিসার তোফান বাগ বিবিসিকে ঘটনাক্রমের যে বর্ণনা দিয়েছেন, তার সঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শী জুয়েল রানার সহকর্মীদের বক্তব্য প্রায় মিলে গেছে। উভয়ের বক্তব্য- বিড়ি খাওয়ার সময় প্রথমে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা হামলার শিকার তিন ব্যক্তির পরিচয়পত্র দেখতে চায়। তারপরই তাদের মারধর করে। এতে জুয়েল রানা ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।