০৯:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
৫৪০ কোটি টাকার ‘মাদক অর্থ’ পাচারে অভিযুক্ত বিক্রম সিং মজিঠিয়া উনসানে সমুদ্র সৈকতের রিসোর্ট উদ্বোধন: পর্যটনে বাজি ধরছে উত্তর কোরিয়া ওএমএস ও টিসিবি ডিলার নিয়োগে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধের আহ্বান এসএসসি টেস্টের দুই দিনে শ্রীলঙ্কার রাজত্ব রাসেল ভাইপারের হুমকি: শহরেও ঢুকছে বিপজ্জনক সাপ! মঙ্গল অভিযানের প্রস্তুতি: মহাকাশে পাঠানো হলো গাঁজা গাছের বীজ ২০২৫ সালের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ আইসল্যান্ড, শীর্ষ দশে সিঙ্গাপুর নৌকার বাংলাদেশ: জেলা-জেলা ঘিরে এক ইতিহাস ও সংস্কৃতি ইউরেনিয়াম এনরিচমেন্ট বা পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কী? কীভাবে এটি করা হয়? নেতানিয়াহুর বিচার বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের

আইনি সংস্কার ও দ্রুত বিচারের আহ্বান ব্লাস্টের

আজ আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস উপলক্ষে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) সরকারকে অবিলম্বে নির্যাতন প্রতিরোধে কার্যকর আইনগত সংস্কার ও বিচারপ্রাপ্তির পথে থাকা মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়েছে। ব্লাস্ট বলেছে, নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা বছরের পর বছর বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষায় থেকে ন্যায়্যতা পান না—এ অবস্থা অবিলম্বে বদলাতে হবে।

আইনি সংস্কার ও ওপিসিএটি অনুসমর্থনের দাবি

ওপিসিএটি অনুসমর্থন: ব্লাস্ট জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী সনদের ঐচ্ছিক প্রোটোকল (ওপিসিএটি) দ্রুত অনুসমর্থনের অনুরোধ জানিয়েছে, যাতে আটককেন্দ্রগুলো পর্যবেক্ষণের জন্য স্বাধীন ‘ন্যাশনাল প্রিভেন্টিভ মেকানিজম’ গঠিত হয়।

স্থানীয় আইন হালনাগাদ: ২০১৩ সালের ‘নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন’ ও ১৮৯৮ সালের দণ্ডবিধি ও ফৌজদারি কার্যবিধিসহ সংশ্লিষ্ট আইন যুগোপযোগী করে তদন্ত-বিচার ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা শক্তিশালী করার দাবি জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন প্রতিরোধ আইনের প্রয়োগ আসলে কতটা? - BBC  News বাংলা

দৃষ্টান্তমূলক মামলার দীর্ঘসূত্রতা

ব্লাস্ট উল্লেখ করেছে, তাদের সহায়তায় করা কয়েকটি আলোচিত মামলা বছরের পর বছর ঝুলে আছে—

  • ২০১১ সালের একটি চাঞ্চল্যকর পুলিশ নির্যাতন মামলা আজও প্রক্রিয়াধীন, যা বিচার-বিলম্বের জ্বলন্ত উদাহরণ।
  • ২০১৪ সালে হেফাজতে মৃত্যু-সংক্রান্ত আরেকটি মামলা উচ্চ আদালতে আপিল পর্যায়েই আটকে আছে। মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা ভুক্তভোগী পরিবারকে অনিশ্চয়তায় রাখছে এবং নির্যাতন বন্ধে প্রতিবন্ধক তৈরি করছে।

সাংবিধানিক ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা

বাংলাদেশ সংবিধানের ২৭, ৩১, ৩২, ৩৩ ও ৩৫ অনুচ্ছেদ স্পষ্টই নির্যাতন নিষিদ্ধ করে নাগরিকদের সমতা, জীবনের অধিকার, গ্রেপ্তার-রিমান্ডে ন্যায়্য আচরণ ও নিরপেক্ষ বিচারের নিশ্চয়তা দেয়। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ ইউএনসিএটি অনুস্বাক্ষর করলেও সনদের ২০, ২১ ও ২২ ধারা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি, ফলে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণে ঘাটতি রয়েছে।

ওপিসিএটি অনুসমর্থনের গুরুত্ব

ওপিসিএটি অনুসমর্থন হলে—

  • স্বাধীন তদারক কাঠামো গঠন করে আটককেন্দ্রে নিয়মিত পরিদর্শন নিশ্চিত করা যাবে।
  • আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে জবাবদিহি জোরদার হবে।
  • নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।

ব্লাস্টের সুপারিশ

  • নির্যাতন-বিরোধী আইন ও বিধি দ্রুত সংস্কার ও কার্যকর প্রয়োগ।
  • চলমান নির্যাতন-সংক্রান্ত মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল বা দ্রুতগতির আদালত গঠন।
  • তদন্ত সংস্থা, পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষকে সুস্পষ্ট দায়বদ্ধতার আওতায় এনে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা।
  • ভুক্তভোগী ও তাঁদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন ও মানসিক সহায়তা।
  • ওপিসিএটি অনুসমর্থন ও জাতীয় প্রতিরোধ-প্রণালী অবিলম্বে গঠন।

৫৪০ কোটি টাকার ‘মাদক অর্থ’ পাচারে অভিযুক্ত বিক্রম সিং মজিঠিয়া

আইনি সংস্কার ও দ্রুত বিচারের আহ্বান ব্লাস্টের

০৪:৩৭:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

আজ আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস উপলক্ষে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) সরকারকে অবিলম্বে নির্যাতন প্রতিরোধে কার্যকর আইনগত সংস্কার ও বিচারপ্রাপ্তির পথে থাকা মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়েছে। ব্লাস্ট বলেছে, নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা বছরের পর বছর বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষায় থেকে ন্যায়্যতা পান না—এ অবস্থা অবিলম্বে বদলাতে হবে।

আইনি সংস্কার ও ওপিসিএটি অনুসমর্থনের দাবি

ওপিসিএটি অনুসমর্থন: ব্লাস্ট জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী সনদের ঐচ্ছিক প্রোটোকল (ওপিসিএটি) দ্রুত অনুসমর্থনের অনুরোধ জানিয়েছে, যাতে আটককেন্দ্রগুলো পর্যবেক্ষণের জন্য স্বাধীন ‘ন্যাশনাল প্রিভেন্টিভ মেকানিজম’ গঠিত হয়।

স্থানীয় আইন হালনাগাদ: ২০১৩ সালের ‘নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন’ ও ১৮৯৮ সালের দণ্ডবিধি ও ফৌজদারি কার্যবিধিসহ সংশ্লিষ্ট আইন যুগোপযোগী করে তদন্ত-বিচার ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা শক্তিশালী করার দাবি জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন প্রতিরোধ আইনের প্রয়োগ আসলে কতটা? - BBC  News বাংলা

দৃষ্টান্তমূলক মামলার দীর্ঘসূত্রতা

ব্লাস্ট উল্লেখ করেছে, তাদের সহায়তায় করা কয়েকটি আলোচিত মামলা বছরের পর বছর ঝুলে আছে—

  • ২০১১ সালের একটি চাঞ্চল্যকর পুলিশ নির্যাতন মামলা আজও প্রক্রিয়াধীন, যা বিচার-বিলম্বের জ্বলন্ত উদাহরণ।
  • ২০১৪ সালে হেফাজতে মৃত্যু-সংক্রান্ত আরেকটি মামলা উচ্চ আদালতে আপিল পর্যায়েই আটকে আছে। মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা ভুক্তভোগী পরিবারকে অনিশ্চয়তায় রাখছে এবং নির্যাতন বন্ধে প্রতিবন্ধক তৈরি করছে।

সাংবিধানিক ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা

বাংলাদেশ সংবিধানের ২৭, ৩১, ৩২, ৩৩ ও ৩৫ অনুচ্ছেদ স্পষ্টই নির্যাতন নিষিদ্ধ করে নাগরিকদের সমতা, জীবনের অধিকার, গ্রেপ্তার-রিমান্ডে ন্যায়্য আচরণ ও নিরপেক্ষ বিচারের নিশ্চয়তা দেয়। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ ইউএনসিএটি অনুস্বাক্ষর করলেও সনদের ২০, ২১ ও ২২ ধারা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি, ফলে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণে ঘাটতি রয়েছে।

ওপিসিএটি অনুসমর্থনের গুরুত্ব

ওপিসিএটি অনুসমর্থন হলে—

  • স্বাধীন তদারক কাঠামো গঠন করে আটককেন্দ্রে নিয়মিত পরিদর্শন নিশ্চিত করা যাবে।
  • আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে জবাবদিহি জোরদার হবে।
  • নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।

ব্লাস্টের সুপারিশ

  • নির্যাতন-বিরোধী আইন ও বিধি দ্রুত সংস্কার ও কার্যকর প্রয়োগ।
  • চলমান নির্যাতন-সংক্রান্ত মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল বা দ্রুতগতির আদালত গঠন।
  • তদন্ত সংস্থা, পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষকে সুস্পষ্ট দায়বদ্ধতার আওতায় এনে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা।
  • ভুক্তভোগী ও তাঁদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন ও মানসিক সহায়তা।
  • ওপিসিএটি অনুসমর্থন ও জাতীয় প্রতিরোধ-প্রণালী অবিলম্বে গঠন।