০১:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
পাকিস্তানে সীমাহীন শ্রমিক শোষণ আলেকজান্দ্রিয়ার প্রাসাদে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক: ক্লিওপেট্রা ও সিজারের কথোপকথন হিউএনচাঙ (পর্ব-১৪৯) বাংলাদেশে ইভ টিজিং- নারী মানসিক স্বাস্থ্য ও সামাজিক স্থিতিশীলতার সংকট এপি’র প্রতিবেদন: হাসিনা-বিরোধী বিদ্রোহের পরিণতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ মধুমতী নদী: দক্ষিনের যোগাযোগ পথ মধ্যপন্থী রাজনৈতিক দল ধ্বংস করা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর চিরসবুজ নায়িকা মৌসুমী: রূপালী পর্দার এক যুগের প্রতীক কাপ্তাই লেকের মাছের বৈচিত্র্য ও মাছ ধরার রীতি – পার্বত্য চট্টগ্রামের জলে জীবনের গল্প বাংলাদেশ–চায়না আপন মিডিয়া ক্লাব ও ডিআরইউ মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

সার্ভিস রোবটের বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে চীন

  • Sarakhon Report
  • ০১:৫৪:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • 41

পণ্য উৎপাদন হোক আর ডেলিভারি, হোটেলের সেবা থেকে স্মার্ট বাসা; চীনের আনাচে কানাচে এখন চোখে পড়ে বিশেষ ধরনের সার্ভিস রোবটের দেখা। নিরবে কাজ চালিয়ে যাওয়া এসব রোবট এখন চীনের রপ্তানি বাণিজ্যেও ফেলতে শুরু করেছে ডিজিটাল পদচিহ্ন।

বিশ্বে এ ধরনের সার্ভিস রোবটের বাজারের ২৩ ভাগই দখল করে আছে একটি চীনা প্রতিষ্ঠান, যার নাম পুতু রোবটিক্স। চীনের প্রযুক্তি হাব শেনচেনে রয়েছে এর কারখানা। সম্প্রতি সেখানে এক লাখ তম সার্ভিস রোবটটি তৈরি করল পুতু রোবটিক্স।

পুতুর তৈরি বিড়ালের মতো দেখতে একটি খাবার ডেলিভারি রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে অন্তত ৬০টি দেশ ও অঞ্চলে।

পুতু রোবটিক্স-এর সিটিও কুয়ো ছোং জানালেন, রোবটের এই ব্যাচটি আমাদের ওয়্যারহাউজ থেকে জাপান ও ইউরোপের বাজারে যাওয়ার জন্য তৈরি। গত বছরের প্রথম ৩ মাসের তুলনায় এ বছর পুতু রোবটিক্স-এর বিক্রি বেড়েছে ৩ গুণ। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী গবেষণা করে রোবটের ভেতর নানা বৈশিষ্ট্য সংযোজন করার ফলেই এমনটা হয়েছে বলে জানান কুয়ো ছোং।

কুয়ো ছোং আরও জানালেন, ‘আমাদের বিক্রির ৮০-৯০ শতাংশই বিদেশের বাজারে। ইউরোপ, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার বাজার সবচেয়ে বড়। শিল্পের চাহিদা মাথায় রেখেই তৈরি করা হ্য আমাদের সব প্রযুক্তি ও পণ্য। গ্রাহকের বৈচিত্র্যময় চাহিদা পূরণ করতে গিয়েই আমাদের প্রযুক্তিতে বৈচিত্র্য বেড়েছে।’

পুতুর সার্ভিস রোবটে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে যান্ত্রিক বাহু। যা দিয়ে রোবটটি এখন লিফটের বাটন চাপতে পারে, আবার খাবারের বাটিও রাখতে পারে।

নকশা থেকে শুরু করে বাজার পর্যন্ত আসতে পুতু রোবটিক্স-এর সময় লেগেছে মাত্র চার বছর। আর এখন নতুন প্রযুক্তি যোগ হচ্ছে ছয় মাসের ব্যবধানেই।

জরিপে দেখা গেছে ২০৩৫ সাল নাগাদ এ ধরনের সার্ভিস রোবটের বাজার দাঁড়াবে ১৯৫ বিলিয়ন ডলারে।

আর এ বাড়তে থাকা বাজারকে মাথায় রেখে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের ইয়িচুয়াং শহরে প্রথমবারের মতো চালু হলো রোবটের জন্য ফোর-এস স্টোর। সেল, সার্ভিস, স্পেয়ার পার্টস ও সার্ভে সুবিধা দেবে এই স্টোর।

এরইমধ্যে চীনের ১০০টিরও বেশি রোবটিক্স যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী ও ৩০ টি হিউম্যানয়েড নির্মাতা এই সার্ভিস চেইনে অংশ নেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। বেইজিং হিউম্যানয়েড ইনোভেশন সেন্টার, ইউবিটেক এবং গ্যালাক্সিয়ার মতো নামকরা কিছু এআই রোবট প্রতিষ্ঠানও চুক্তি করেছে ফোর-এস এর সঙ্গে।

সিএমজি বাংলা

পাকিস্তানে সীমাহীন শ্রমিক শোষণ

সার্ভিস রোবটের বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে চীন

০১:৫৪:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

পণ্য উৎপাদন হোক আর ডেলিভারি, হোটেলের সেবা থেকে স্মার্ট বাসা; চীনের আনাচে কানাচে এখন চোখে পড়ে বিশেষ ধরনের সার্ভিস রোবটের দেখা। নিরবে কাজ চালিয়ে যাওয়া এসব রোবট এখন চীনের রপ্তানি বাণিজ্যেও ফেলতে শুরু করেছে ডিজিটাল পদচিহ্ন।

বিশ্বে এ ধরনের সার্ভিস রোবটের বাজারের ২৩ ভাগই দখল করে আছে একটি চীনা প্রতিষ্ঠান, যার নাম পুতু রোবটিক্স। চীনের প্রযুক্তি হাব শেনচেনে রয়েছে এর কারখানা। সম্প্রতি সেখানে এক লাখ তম সার্ভিস রোবটটি তৈরি করল পুতু রোবটিক্স।

পুতুর তৈরি বিড়ালের মতো দেখতে একটি খাবার ডেলিভারি রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে অন্তত ৬০টি দেশ ও অঞ্চলে।

পুতু রোবটিক্স-এর সিটিও কুয়ো ছোং জানালেন, রোবটের এই ব্যাচটি আমাদের ওয়্যারহাউজ থেকে জাপান ও ইউরোপের বাজারে যাওয়ার জন্য তৈরি। গত বছরের প্রথম ৩ মাসের তুলনায় এ বছর পুতু রোবটিক্স-এর বিক্রি বেড়েছে ৩ গুণ। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী গবেষণা করে রোবটের ভেতর নানা বৈশিষ্ট্য সংযোজন করার ফলেই এমনটা হয়েছে বলে জানান কুয়ো ছোং।

কুয়ো ছোং আরও জানালেন, ‘আমাদের বিক্রির ৮০-৯০ শতাংশই বিদেশের বাজারে। ইউরোপ, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার বাজার সবচেয়ে বড়। শিল্পের চাহিদা মাথায় রেখেই তৈরি করা হ্য আমাদের সব প্রযুক্তি ও পণ্য। গ্রাহকের বৈচিত্র্যময় চাহিদা পূরণ করতে গিয়েই আমাদের প্রযুক্তিতে বৈচিত্র্য বেড়েছে।’

পুতুর সার্ভিস রোবটে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে যান্ত্রিক বাহু। যা দিয়ে রোবটটি এখন লিফটের বাটন চাপতে পারে, আবার খাবারের বাটিও রাখতে পারে।

নকশা থেকে শুরু করে বাজার পর্যন্ত আসতে পুতু রোবটিক্স-এর সময় লেগেছে মাত্র চার বছর। আর এখন নতুন প্রযুক্তি যোগ হচ্ছে ছয় মাসের ব্যবধানেই।

জরিপে দেখা গেছে ২০৩৫ সাল নাগাদ এ ধরনের সার্ভিস রোবটের বাজার দাঁড়াবে ১৯৫ বিলিয়ন ডলারে।

আর এ বাড়তে থাকা বাজারকে মাথায় রেখে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের ইয়িচুয়াং শহরে প্রথমবারের মতো চালু হলো রোবটের জন্য ফোর-এস স্টোর। সেল, সার্ভিস, স্পেয়ার পার্টস ও সার্ভে সুবিধা দেবে এই স্টোর।

এরইমধ্যে চীনের ১০০টিরও বেশি রোবটিক্স যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী ও ৩০ টি হিউম্যানয়েড নির্মাতা এই সার্ভিস চেইনে অংশ নেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। বেইজিং হিউম্যানয়েড ইনোভেশন সেন্টার, ইউবিটেক এবং গ্যালাক্সিয়ার মতো নামকরা কিছু এআই রোবট প্রতিষ্ঠানও চুক্তি করেছে ফোর-এস এর সঙ্গে।

সিএমজি বাংলা