১০:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
সম্ভাব্য বাজার ধসের পূর্বাভাস: ওয়াল স্ট্রিটও জানে না কখন আসবে পতন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২) শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে সিটি ব্যাংক ও ইউনিসেফের চুক্তি: প্রান্তিক যুবকদের সবুজ দক্ষতায় সক্ষম করে তুলতে উদ্যোগ বিবিসি চেয়ারম্যানের ক্ষমাপ্রার্থনা: ট্রাম্পের বক্তৃতা সম্পাদনায় ‘বিচারের ভুল’ স্বীকার দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণ, আহত বহু বৃষ্টি থামাল চতুর্থ টি-টোয়েন্টি, ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড এনসিপি বুলেট নিয়েও প্রস্তুত- নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি ৫টি ব্যাংক একীভূতকরণে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ দিতে পারে সরকার: বাংলাদেশ ব্যাংক জাতীয় টেলিযোগাযোগ মনিটরিং সেন্টারের নতুন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরওয়ার

সার্ভিস রোবটের বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে চীন

  • Sarakhon Report
  • ০১:৫৪:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • 122

পণ্য উৎপাদন হোক আর ডেলিভারি, হোটেলের সেবা থেকে স্মার্ট বাসা; চীনের আনাচে কানাচে এখন চোখে পড়ে বিশেষ ধরনের সার্ভিস রোবটের দেখা। নিরবে কাজ চালিয়ে যাওয়া এসব রোবট এখন চীনের রপ্তানি বাণিজ্যেও ফেলতে শুরু করেছে ডিজিটাল পদচিহ্ন।

বিশ্বে এ ধরনের সার্ভিস রোবটের বাজারের ২৩ ভাগই দখল করে আছে একটি চীনা প্রতিষ্ঠান, যার নাম পুতু রোবটিক্স। চীনের প্রযুক্তি হাব শেনচেনে রয়েছে এর কারখানা। সম্প্রতি সেখানে এক লাখ তম সার্ভিস রোবটটি তৈরি করল পুতু রোবটিক্স।

পুতুর তৈরি বিড়ালের মতো দেখতে একটি খাবার ডেলিভারি রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে অন্তত ৬০টি দেশ ও অঞ্চলে।

পুতু রোবটিক্স-এর সিটিও কুয়ো ছোং জানালেন, রোবটের এই ব্যাচটি আমাদের ওয়্যারহাউজ থেকে জাপান ও ইউরোপের বাজারে যাওয়ার জন্য তৈরি। গত বছরের প্রথম ৩ মাসের তুলনায় এ বছর পুতু রোবটিক্স-এর বিক্রি বেড়েছে ৩ গুণ। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী গবেষণা করে রোবটের ভেতর নানা বৈশিষ্ট্য সংযোজন করার ফলেই এমনটা হয়েছে বলে জানান কুয়ো ছোং।

কুয়ো ছোং আরও জানালেন, ‘আমাদের বিক্রির ৮০-৯০ শতাংশই বিদেশের বাজারে। ইউরোপ, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার বাজার সবচেয়ে বড়। শিল্পের চাহিদা মাথায় রেখেই তৈরি করা হ্য আমাদের সব প্রযুক্তি ও পণ্য। গ্রাহকের বৈচিত্র্যময় চাহিদা পূরণ করতে গিয়েই আমাদের প্রযুক্তিতে বৈচিত্র্য বেড়েছে।’

পুতুর সার্ভিস রোবটে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে যান্ত্রিক বাহু। যা দিয়ে রোবটটি এখন লিফটের বাটন চাপতে পারে, আবার খাবারের বাটিও রাখতে পারে।

নকশা থেকে শুরু করে বাজার পর্যন্ত আসতে পুতু রোবটিক্স-এর সময় লেগেছে মাত্র চার বছর। আর এখন নতুন প্রযুক্তি যোগ হচ্ছে ছয় মাসের ব্যবধানেই।

জরিপে দেখা গেছে ২০৩৫ সাল নাগাদ এ ধরনের সার্ভিস রোবটের বাজার দাঁড়াবে ১৯৫ বিলিয়ন ডলারে।

আর এ বাড়তে থাকা বাজারকে মাথায় রেখে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের ইয়িচুয়াং শহরে প্রথমবারের মতো চালু হলো রোবটের জন্য ফোর-এস স্টোর। সেল, সার্ভিস, স্পেয়ার পার্টস ও সার্ভে সুবিধা দেবে এই স্টোর।

এরইমধ্যে চীনের ১০০টিরও বেশি রোবটিক্স যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী ও ৩০ টি হিউম্যানয়েড নির্মাতা এই সার্ভিস চেইনে অংশ নেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। বেইজিং হিউম্যানয়েড ইনোভেশন সেন্টার, ইউবিটেক এবং গ্যালাক্সিয়ার মতো নামকরা কিছু এআই রোবট প্রতিষ্ঠানও চুক্তি করেছে ফোর-এস এর সঙ্গে।

সিএমজি বাংলা

জনপ্রিয় সংবাদ

সম্ভাব্য বাজার ধসের পূর্বাভাস: ওয়াল স্ট্রিটও জানে না কখন আসবে পতন

সার্ভিস রোবটের বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে চীন

০১:৫৪:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

পণ্য উৎপাদন হোক আর ডেলিভারি, হোটেলের সেবা থেকে স্মার্ট বাসা; চীনের আনাচে কানাচে এখন চোখে পড়ে বিশেষ ধরনের সার্ভিস রোবটের দেখা। নিরবে কাজ চালিয়ে যাওয়া এসব রোবট এখন চীনের রপ্তানি বাণিজ্যেও ফেলতে শুরু করেছে ডিজিটাল পদচিহ্ন।

বিশ্বে এ ধরনের সার্ভিস রোবটের বাজারের ২৩ ভাগই দখল করে আছে একটি চীনা প্রতিষ্ঠান, যার নাম পুতু রোবটিক্স। চীনের প্রযুক্তি হাব শেনচেনে রয়েছে এর কারখানা। সম্প্রতি সেখানে এক লাখ তম সার্ভিস রোবটটি তৈরি করল পুতু রোবটিক্স।

পুতুর তৈরি বিড়ালের মতো দেখতে একটি খাবার ডেলিভারি রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে অন্তত ৬০টি দেশ ও অঞ্চলে।

পুতু রোবটিক্স-এর সিটিও কুয়ো ছোং জানালেন, রোবটের এই ব্যাচটি আমাদের ওয়্যারহাউজ থেকে জাপান ও ইউরোপের বাজারে যাওয়ার জন্য তৈরি। গত বছরের প্রথম ৩ মাসের তুলনায় এ বছর পুতু রোবটিক্স-এর বিক্রি বেড়েছে ৩ গুণ। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী গবেষণা করে রোবটের ভেতর নানা বৈশিষ্ট্য সংযোজন করার ফলেই এমনটা হয়েছে বলে জানান কুয়ো ছোং।

কুয়ো ছোং আরও জানালেন, ‘আমাদের বিক্রির ৮০-৯০ শতাংশই বিদেশের বাজারে। ইউরোপ, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার বাজার সবচেয়ে বড়। শিল্পের চাহিদা মাথায় রেখেই তৈরি করা হ্য আমাদের সব প্রযুক্তি ও পণ্য। গ্রাহকের বৈচিত্র্যময় চাহিদা পূরণ করতে গিয়েই আমাদের প্রযুক্তিতে বৈচিত্র্য বেড়েছে।’

পুতুর সার্ভিস রোবটে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে যান্ত্রিক বাহু। যা দিয়ে রোবটটি এখন লিফটের বাটন চাপতে পারে, আবার খাবারের বাটিও রাখতে পারে।

নকশা থেকে শুরু করে বাজার পর্যন্ত আসতে পুতু রোবটিক্স-এর সময় লেগেছে মাত্র চার বছর। আর এখন নতুন প্রযুক্তি যোগ হচ্ছে ছয় মাসের ব্যবধানেই।

জরিপে দেখা গেছে ২০৩৫ সাল নাগাদ এ ধরনের সার্ভিস রোবটের বাজার দাঁড়াবে ১৯৫ বিলিয়ন ডলারে।

আর এ বাড়তে থাকা বাজারকে মাথায় রেখে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের ইয়িচুয়াং শহরে প্রথমবারের মতো চালু হলো রোবটের জন্য ফোর-এস স্টোর। সেল, সার্ভিস, স্পেয়ার পার্টস ও সার্ভে সুবিধা দেবে এই স্টোর।

এরইমধ্যে চীনের ১০০টিরও বেশি রোবটিক্স যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী ও ৩০ টি হিউম্যানয়েড নির্মাতা এই সার্ভিস চেইনে অংশ নেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। বেইজিং হিউম্যানয়েড ইনোভেশন সেন্টার, ইউবিটেক এবং গ্যালাক্সিয়ার মতো নামকরা কিছু এআই রোবট প্রতিষ্ঠানও চুক্তি করেছে ফোর-এস এর সঙ্গে।

সিএমজি বাংলা