১২:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩২২)

লালা বাবুর মৃত্যুর সময় তাঁহার পুত্র শ্রীনারায়ণ সিংহ অত্যন্ত অল্প–বয়স্ক ছিলেন। তাঁহার মাতা কাত্যায়নী তাঁহার অভিভাবক নিযুক্ত হন। রাণী কাত্যায়নীও অনেক সদনুষ্ঠান করিয়াছিলেন; পরোপকারের জন্য। তাঁহার ৬ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। রাণী কাত্যায়নী ৫০ হাজার টাকা ব্যয়। করিয়া, বেলুড়ের বাটীতে এক অন্নমেরু ব্রত স্থাপন করেন।

শ্রীনারায়ণ মৃত্যুকালে তাঁহার দুই পত্নীকে পোষ্যপুত্র গ্রহণ করিতে অনুমতি দিয়া যান। জোটা পত্নী প্রতাপুচন্দ্র ও কনিষ্ঠা ঈশ্বরচন্দ্রকে পোষ্যপুত্র। গ্রহণ করেন। প্রতাপচন্দ্র অনেক সৎকার্য্যের জন্য গবর্ণমেন্ট হইতে রাজাবাহাদুর উপাধি প্রাপ্ত হন। কান্দীর ইংরেজী বিদ্যালয় প্রতাপ চন্দ্রেরই প্রতিষ্ঠিত। ঈশ্বরচন্দ্রের গানবাগে অত্যন্ত অনুরাগ ছিল।

তাঁহারই যত্নে বেলগাছিয়ার উদ্যানে কলিকাতার অনেক সম্ভ্রান্ত লোক মিলিত হইয়া, মাইকেল মধুসূদনের শর্ম্মিষ্ঠা নাটক অভিনয় করেন।। প্রতাপচন্দ্রের কুমার গিরিশচন্দ্র, পূর্ণচন্দ্র, কান্তিচন্দ্র ও শরচ্চন্দ্র নামে চারি পুত্র হয়। গিরিশচন্দ্র কান্দীতে এক দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করিয়াছেন। ঈশ্বরচন্দ্রের একটি মাত্র পুত্র হয়; ইনিই বিখ্যাত ইন্দ্রচন্দ্র। ইনি অত্যন্ত তেজস্বী ছিলেন।

যৌবনারম্ভে ইন্দ্রচন্দ্র অত্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল হইয়া উঠেন; পরে তাহার বেগ অনেক পরিমাণে প্রশমিত হয়। ইন্দ্রচন্দ্র অকালে ইহলোক পরিত্যাগ করিয়াছেন। তিনি স্বীয় পত্নীকে দত্তক গ্রহণে অনুমতি দিয়া যান; তদনুসারে তাঁহার পত্নী দত্তক গ্রহণ করিয়াছেন। কান্দীর রাজবংশ এক্ষণে কলিকাতার নিকট পাইকপাড়ায় বাস করিতেছেন। মধ্যে মধ্যে তাঁহারা কান্দীতে আগমন করিয়া থাকেন।

মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩২২)

১১:০০:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

লালা বাবুর মৃত্যুর সময় তাঁহার পুত্র শ্রীনারায়ণ সিংহ অত্যন্ত অল্প–বয়স্ক ছিলেন। তাঁহার মাতা কাত্যায়নী তাঁহার অভিভাবক নিযুক্ত হন। রাণী কাত্যায়নীও অনেক সদনুষ্ঠান করিয়াছিলেন; পরোপকারের জন্য। তাঁহার ৬ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। রাণী কাত্যায়নী ৫০ হাজার টাকা ব্যয়। করিয়া, বেলুড়ের বাটীতে এক অন্নমেরু ব্রত স্থাপন করেন।

শ্রীনারায়ণ মৃত্যুকালে তাঁহার দুই পত্নীকে পোষ্যপুত্র গ্রহণ করিতে অনুমতি দিয়া যান। জোটা পত্নী প্রতাপুচন্দ্র ও কনিষ্ঠা ঈশ্বরচন্দ্রকে পোষ্যপুত্র। গ্রহণ করেন। প্রতাপচন্দ্র অনেক সৎকার্য্যের জন্য গবর্ণমেন্ট হইতে রাজাবাহাদুর উপাধি প্রাপ্ত হন। কান্দীর ইংরেজী বিদ্যালয় প্রতাপ চন্দ্রেরই প্রতিষ্ঠিত। ঈশ্বরচন্দ্রের গানবাগে অত্যন্ত অনুরাগ ছিল।

তাঁহারই যত্নে বেলগাছিয়ার উদ্যানে কলিকাতার অনেক সম্ভ্রান্ত লোক মিলিত হইয়া, মাইকেল মধুসূদনের শর্ম্মিষ্ঠা নাটক অভিনয় করেন।। প্রতাপচন্দ্রের কুমার গিরিশচন্দ্র, পূর্ণচন্দ্র, কান্তিচন্দ্র ও শরচ্চন্দ্র নামে চারি পুত্র হয়। গিরিশচন্দ্র কান্দীতে এক দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করিয়াছেন। ঈশ্বরচন্দ্রের একটি মাত্র পুত্র হয়; ইনিই বিখ্যাত ইন্দ্রচন্দ্র। ইনি অত্যন্ত তেজস্বী ছিলেন।

যৌবনারম্ভে ইন্দ্রচন্দ্র অত্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল হইয়া উঠেন; পরে তাহার বেগ অনেক পরিমাণে প্রশমিত হয়। ইন্দ্রচন্দ্র অকালে ইহলোক পরিত্যাগ করিয়াছেন। তিনি স্বীয় পত্নীকে দত্তক গ্রহণে অনুমতি দিয়া যান; তদনুসারে তাঁহার পত্নী দত্তক গ্রহণ করিয়াছেন। কান্দীর রাজবংশ এক্ষণে কলিকাতার নিকট পাইকপাড়ায় বাস করিতেছেন। মধ্যে মধ্যে তাঁহারা কান্দীতে আগমন করিয়া থাকেন।