০৯:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

গুমে সেনাসদস্যদের সংশ্লিষ্টতা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সেনাসদর

সমকালের একটি শিরোনাম “সংস্কারে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করছে বিএনপি: সালাহউদ্দিন”

সংস্কারের জন্য জাতীয় ঐকমত্য গঠনে বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সামাজিক এবং সংবাদমাধ্যমে ধারণা তৈরি করা হচ্ছে, বিএনপি সংস্কার চায় না। অথচ বিএনপি অনেক বিষয়ে দলীয় অবস্থান পরিবর্তন করে একমত হয়েছে জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে।

বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের অষ্টম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সংস্কারের ৪৭ সুপারিশের একটি বাদে সবগুলোতে একমত হয়েছে বিএনপি। একটি সামান্য ভিন্নমত জানিয়েছে। সংস্কার কমিশন দুদকের সার্চ কমিটির যেসব প্রস্তাব করেছে, এর প্রশংসা করেছে বিএনপি। কারণ, এতদিন দুদক ছিল বিরোধীদল দমনের হাতিয়ার।

তিনি বলেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ৪৭ সুপারিশের ৪২টিতে বিএনপি একমত জানিয়েছে। শুধু নিম্ন আদালত নিয়ে কিছু সুপারিশে ভিন্ন জানিয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের ২৪৩ সুপারিশের ১৪১টিতে একমত হয়েছে বিএনপি। জনপ্রশাসন সংস্কারের ২১৬ সুপারিশের ১৮৭টিতে একমত হয়েছে। বিএনপি ৯০ শতাংশের বেশি একমত। তারপরও বলা হচ্ছে, বিএনপির কারণে সংস্কারে ঐকমত্য হচ্ছে না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের বিপরীতে বিএনপি বিস্তারিত মতামত দিয়েছে, যা অন্য কোনো দল দেয়নি। সরকারের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে বিএনপি সংবিধানের ৭৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ন্যায়পাল নিয়োগ চেয়েছে। ন্যায়পালের জন্য পৃথক সচিবালয় স্থাপনের প্রস্তাব করেছে। অথচ বাজারে রিউমার আছে- বিএনপির কারণে সমঝোতা হচ্ছে না।

সালাহউদ্দিন আরও বলেন, অর্থবিল, আস্থা ভোট, সংবিধান সংশোধন এবং জাতীয় নিরাপত্তা বাদে অন্য  বিষয়ে এমপিরা স্বাধীনভাবে যেন ভোট দিতে পারেন, সে জন্য বিএনপি ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনে একমত হয়েছে।

বিএনপি ছাড় দিচ্ছে না, এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ ১০ বছরে সীমাবদ্ধ করার সুপারিশ আমিই করেছি। বিএনপি চেয়েছিল, দু’বারের পর বিরতি দিয়ে আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে। কিন্তু ঐকমত্যের জন্য বিএনপি ১০ বছর মেয়াদ নির্ধারণে প্রস্তাব অনুমোদন করে।

তিনি আরও বলেন, ঐকমত্য কমিশন প্রস্তাব করেছিল সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে স্বতন্ত্র কমিশন গঠন করা হবে। ঐকমত্যের জন্য বিএনপিই বিশেষায়িত কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছে। আমার দেওয়া প্রস্তাবে, সবাই ঐকমত্য হয়েছে।

সংসদের উচ্চকক্ষে ভোটের অনুপাতে আসন বণ্টন এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমাতে নিয়োগ কমিটি গঠনে এখনও রাজি নয় বিএনপি। একে অন্যান্য দল মৌলিক সংস্কার বলছে, এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি ৯০ ভাগের বেশি সংস্কার প্রস্তাবে একমত। শতভাগ বিষয়ে তো জোর করে একমত করা যাবে না। যদি শতভাগ বিষয়েই একমত হতে হয়- তাহলে আলোচনায় ডাকা হয় কেন?

 

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “গুমে সেনাসদস্যদের সংশ্লিষ্টতা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সেনাসদর”

গুমের ঘটনায় সেনাবাহিনীর কোনো সদস্যের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সেনাসদর। সেনাবাহিনীতে থাকা সদস্যদের মধ্যে যাঁরা বিভিন্ন সংস্থায় ডেপুটেশনে কর্মরত, তাঁদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানালেন মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’-তে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

গুমের সঙ্গে সেনা সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে কর্নেল শফিকুল বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সদস্যদের ডেপুটেশনে পাঠালে তাঁরা সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকে না। অভিযোগ উঠেছে, কয়েকজন সদস্য গুমের সঙ্গে জড়িত। তদন্তে যদি বিষয়টি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’

ভুক্তভোগী পরিবারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যদি কেউ নিজের নিরাপত্তা নিয়ে সেনাবাহিনীর কাছে সহযোগিতা চান, তাহলে আমরা যথাযথভাবে সহযোগিতা করব।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কর্নেল শফিকুল জানান, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে নির্দেশনা পেলে সেনাবাহিনী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

থানাগুলোতে অস্ত্র লুটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে যেসব অস্ত্র লুট হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ নির্বাচনের আগেই উদ্ধার হবে বলে আমরা আশাবাদী।’

কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে কর্নেল শফিকুল ইসলাম জানান, ‘সেনাবাহিনী এরই মধ্যে ৪০০ জনেরও বেশি কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। অলিতে-গলিতে সেনাবাহিনী সব সময় থাকতে পারে না, তবে তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

এ সময় গত দুই সপ্তাহে যৌথ অভিযানের গ্রেপ্তার ও অভিযান সম্পর্কে বর্ণনা দেন এই সেনা কর্মকর্তা।

কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গত দুই সপ্তাহে সেনাবাহিনী ২৬টি অবৈধ অস্ত্র ও ১০০ রাউন্ড গুলির খোঁজ পেয়েছে। আর গত আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৯ হাজার ৬৯২টি অস্ত্র।

একই সময়ে, সেনাবাহিনী বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৫৬২ জনসহ মোট ১৫ হাজার ৬৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট’ কর্মসূচি বাতিল”

জুলাই স্মৃতি উদযাপন উপলক্ষে ‘এক মিনিট প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট’ কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বৃহস্পতিবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে বিষয়টি জানান তিনি।

তিনি লিখেন, ‘‘জুলাই কোমেমোরেশন প্রোগ্রামের একটা কর্মসূচি নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা পর্যায় থেকেই দ্বিধা ছিলো। একটা মাত্র কর্মসূচিই আমরা কয়েকবার কেটেছি, আবার যুক্ত হয়েছে। আমরা অনেকেই একমত ছিলাম ‘এক মিনিট ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট’ গ্রেট আইডিয়া না সম্ভবত। পরে আবার নানা আলোচনায় এটা ঢুকে পড়ে কর্মসূচিতে। অনেক বড় কর্মসূচি এবং বড় একটা দল কাজ করলে এরকম দুয়েকটা ভুল চোখের আড়ালে থেকে যায়। যাই হোক, আমরা কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে, সেই কর্মসূচি নিয়ে আপনাদের মতামত জানানোর জন্য।’’

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আরও লিখেন, ‘আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, আমরা নিজেদের মধ্যে দ্রুত সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি-এক মিনিট প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি থাকছে না। সংশোধিত স্লাইড শেয়ার করে হচ্ছে। এর বাইরে সব কর্মসূচি অপরিবর্তিত থাকছে। লেটস রিকানেক্ট, রিগ্রুপ এন্ড রিইগনাইট দ্য ভেরি জুলাই ফায়ার।’

উল্লেখ্য, ‘জুলাই স্মৃতি উদযাপন অনুষ্ঠানমালা’ নামে ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। তাতে গণঅভ্যুত্থান চলাকালে আওয়ামী লীগ সরকারের ইন্টারনেট শাটডাউনের প্রতিবাদে ১৮ জুলাই এক মিনিটের প্রতীকী ইন্টারনেট ‘ব্ল্যাকআউট’ কর্মসূচি রাখা হয়েছিল।

 

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণসহ তিন এজেন্ডা নিয়ে আলোচনায় ঐকমত্য কমিশন”

রাষ্ট্র সংস্কারের বিভিন্ন বিষয়ে একমত হয়ে জুলাই সনদ তৈরির লক্ষ্যে আজ দ্বিতীয় দফার নবম দিনের মত দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। খবর বাসসের।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে এদিনের আলোচনা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।

এছাড়া কমিশনের সদস্য হিসেবে সেখানে রয়েছেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মো. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় অংশ গ্রহণ করছে- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।

আলোচনার শুরুতে সূচনা বক্তব্যে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, আমরা কি পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে, অন্যদের কি পরিমাণ আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আজকের এ পর্যায়ে এসেছি সেটা আমাদের প্রত্যেকের স্মরণ রাখতে হবে। হাজারো মানুষের আত্মত্যাগই যেন হয় আমাদের দিক নির্দেশক।

তিনি আরো বলেন, ৫৩ বছরে রাষ্ট্র গঠনের এমন সুযোগ আর আসেনি। অনেক অন্যায় অত্যাচার ও নিপীড়নের মধ্য দিয়ে এ সুযোগটা আমরা পেয়েছি, এ সুযোগ হেলায় হারানো যাবে না।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আজকের আলোচনায় পূর্বের অমীমাংসিত বিষয়ে অধিকতর আলোচনা হওয়ার পাশাপাশি বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন ও জরুরি অবস্থা ঘোষণা- এই তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

 

গুমে সেনাসদস্যদের সংশ্লিষ্টতা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সেনাসদর

০৩:৩৯:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “সংস্কারে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করছে বিএনপি: সালাহউদ্দিন”

সংস্কারের জন্য জাতীয় ঐকমত্য গঠনে বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সামাজিক এবং সংবাদমাধ্যমে ধারণা তৈরি করা হচ্ছে, বিএনপি সংস্কার চায় না। অথচ বিএনপি অনেক বিষয়ে দলীয় অবস্থান পরিবর্তন করে একমত হয়েছে জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে।

বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের অষ্টম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সংস্কারের ৪৭ সুপারিশের একটি বাদে সবগুলোতে একমত হয়েছে বিএনপি। একটি সামান্য ভিন্নমত জানিয়েছে। সংস্কার কমিশন দুদকের সার্চ কমিটির যেসব প্রস্তাব করেছে, এর প্রশংসা করেছে বিএনপি। কারণ, এতদিন দুদক ছিল বিরোধীদল দমনের হাতিয়ার।

তিনি বলেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ৪৭ সুপারিশের ৪২টিতে বিএনপি একমত জানিয়েছে। শুধু নিম্ন আদালত নিয়ে কিছু সুপারিশে ভিন্ন জানিয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের ২৪৩ সুপারিশের ১৪১টিতে একমত হয়েছে বিএনপি। জনপ্রশাসন সংস্কারের ২১৬ সুপারিশের ১৮৭টিতে একমত হয়েছে। বিএনপি ৯০ শতাংশের বেশি একমত। তারপরও বলা হচ্ছে, বিএনপির কারণে সংস্কারে ঐকমত্য হচ্ছে না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের বিপরীতে বিএনপি বিস্তারিত মতামত দিয়েছে, যা অন্য কোনো দল দেয়নি। সরকারের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে বিএনপি সংবিধানের ৭৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ন্যায়পাল নিয়োগ চেয়েছে। ন্যায়পালের জন্য পৃথক সচিবালয় স্থাপনের প্রস্তাব করেছে। অথচ বাজারে রিউমার আছে- বিএনপির কারণে সমঝোতা হচ্ছে না।

সালাহউদ্দিন আরও বলেন, অর্থবিল, আস্থা ভোট, সংবিধান সংশোধন এবং জাতীয় নিরাপত্তা বাদে অন্য  বিষয়ে এমপিরা স্বাধীনভাবে যেন ভোট দিতে পারেন, সে জন্য বিএনপি ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনে একমত হয়েছে।

বিএনপি ছাড় দিচ্ছে না, এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ ১০ বছরে সীমাবদ্ধ করার সুপারিশ আমিই করেছি। বিএনপি চেয়েছিল, দু’বারের পর বিরতি দিয়ে আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে। কিন্তু ঐকমত্যের জন্য বিএনপি ১০ বছর মেয়াদ নির্ধারণে প্রস্তাব অনুমোদন করে।

তিনি আরও বলেন, ঐকমত্য কমিশন প্রস্তাব করেছিল সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে স্বতন্ত্র কমিশন গঠন করা হবে। ঐকমত্যের জন্য বিএনপিই বিশেষায়িত কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছে। আমার দেওয়া প্রস্তাবে, সবাই ঐকমত্য হয়েছে।

সংসদের উচ্চকক্ষে ভোটের অনুপাতে আসন বণ্টন এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমাতে নিয়োগ কমিটি গঠনে এখনও রাজি নয় বিএনপি। একে অন্যান্য দল মৌলিক সংস্কার বলছে, এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি ৯০ ভাগের বেশি সংস্কার প্রস্তাবে একমত। শতভাগ বিষয়ে তো জোর করে একমত করা যাবে না। যদি শতভাগ বিষয়েই একমত হতে হয়- তাহলে আলোচনায় ডাকা হয় কেন?

 

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “গুমে সেনাসদস্যদের সংশ্লিষ্টতা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সেনাসদর”

গুমের ঘটনায় সেনাবাহিনীর কোনো সদস্যের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সেনাসদর। সেনাবাহিনীতে থাকা সদস্যদের মধ্যে যাঁরা বিভিন্ন সংস্থায় ডেপুটেশনে কর্মরত, তাঁদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানালেন মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’-তে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

গুমের সঙ্গে সেনা সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে কর্নেল শফিকুল বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সদস্যদের ডেপুটেশনে পাঠালে তাঁরা সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকে না। অভিযোগ উঠেছে, কয়েকজন সদস্য গুমের সঙ্গে জড়িত। তদন্তে যদি বিষয়টি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’

ভুক্তভোগী পরিবারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যদি কেউ নিজের নিরাপত্তা নিয়ে সেনাবাহিনীর কাছে সহযোগিতা চান, তাহলে আমরা যথাযথভাবে সহযোগিতা করব।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কর্নেল শফিকুল জানান, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে নির্দেশনা পেলে সেনাবাহিনী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

থানাগুলোতে অস্ত্র লুটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে যেসব অস্ত্র লুট হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ নির্বাচনের আগেই উদ্ধার হবে বলে আমরা আশাবাদী।’

কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে কর্নেল শফিকুল ইসলাম জানান, ‘সেনাবাহিনী এরই মধ্যে ৪০০ জনেরও বেশি কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। অলিতে-গলিতে সেনাবাহিনী সব সময় থাকতে পারে না, তবে তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

এ সময় গত দুই সপ্তাহে যৌথ অভিযানের গ্রেপ্তার ও অভিযান সম্পর্কে বর্ণনা দেন এই সেনা কর্মকর্তা।

কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গত দুই সপ্তাহে সেনাবাহিনী ২৬টি অবৈধ অস্ত্র ও ১০০ রাউন্ড গুলির খোঁজ পেয়েছে। আর গত আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৯ হাজার ৬৯২টি অস্ত্র।

একই সময়ে, সেনাবাহিনী বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৫৬২ জনসহ মোট ১৫ হাজার ৬৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট’ কর্মসূচি বাতিল”

জুলাই স্মৃতি উদযাপন উপলক্ষে ‘এক মিনিট প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট’ কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বৃহস্পতিবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে বিষয়টি জানান তিনি।

তিনি লিখেন, ‘‘জুলাই কোমেমোরেশন প্রোগ্রামের একটা কর্মসূচি নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা পর্যায় থেকেই দ্বিধা ছিলো। একটা মাত্র কর্মসূচিই আমরা কয়েকবার কেটেছি, আবার যুক্ত হয়েছে। আমরা অনেকেই একমত ছিলাম ‘এক মিনিট ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট’ গ্রেট আইডিয়া না সম্ভবত। পরে আবার নানা আলোচনায় এটা ঢুকে পড়ে কর্মসূচিতে। অনেক বড় কর্মসূচি এবং বড় একটা দল কাজ করলে এরকম দুয়েকটা ভুল চোখের আড়ালে থেকে যায়। যাই হোক, আমরা কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে, সেই কর্মসূচি নিয়ে আপনাদের মতামত জানানোর জন্য।’’

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আরও লিখেন, ‘আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, আমরা নিজেদের মধ্যে দ্রুত সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি-এক মিনিট প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি থাকছে না। সংশোধিত স্লাইড শেয়ার করে হচ্ছে। এর বাইরে সব কর্মসূচি অপরিবর্তিত থাকছে। লেটস রিকানেক্ট, রিগ্রুপ এন্ড রিইগনাইট দ্য ভেরি জুলাই ফায়ার।’

উল্লেখ্য, ‘জুলাই স্মৃতি উদযাপন অনুষ্ঠানমালা’ নামে ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। তাতে গণঅভ্যুত্থান চলাকালে আওয়ামী লীগ সরকারের ইন্টারনেট শাটডাউনের প্রতিবাদে ১৮ জুলাই এক মিনিটের প্রতীকী ইন্টারনেট ‘ব্ল্যাকআউট’ কর্মসূচি রাখা হয়েছিল।

 

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণসহ তিন এজেন্ডা নিয়ে আলোচনায় ঐকমত্য কমিশন”

রাষ্ট্র সংস্কারের বিভিন্ন বিষয়ে একমত হয়ে জুলাই সনদ তৈরির লক্ষ্যে আজ দ্বিতীয় দফার নবম দিনের মত দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। খবর বাসসের।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে এদিনের আলোচনা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।

এছাড়া কমিশনের সদস্য হিসেবে সেখানে রয়েছেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মো. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় অংশ গ্রহণ করছে- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।

আলোচনার শুরুতে সূচনা বক্তব্যে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, আমরা কি পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে, অন্যদের কি পরিমাণ আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আজকের এ পর্যায়ে এসেছি সেটা আমাদের প্রত্যেকের স্মরণ রাখতে হবে। হাজারো মানুষের আত্মত্যাগই যেন হয় আমাদের দিক নির্দেশক।

তিনি আরো বলেন, ৫৩ বছরে রাষ্ট্র গঠনের এমন সুযোগ আর আসেনি। অনেক অন্যায় অত্যাচার ও নিপীড়নের মধ্য দিয়ে এ সুযোগটা আমরা পেয়েছি, এ সুযোগ হেলায় হারানো যাবে না।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আজকের আলোচনায় পূর্বের অমীমাংসিত বিষয়ে অধিকতর আলোচনা হওয়ার পাশাপাশি বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন ও জরুরি অবস্থা ঘোষণা- এই তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।