০৯:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
সন্ত্রাসবিরোধে দ্বৈত মানদণ্ড নেই: ব্রিকসের দৃঢ় ঘোষণায় পহালগাম হামলার তীব্র নিন্দা হিউএনচাঙ (পর্ব-১৪১) প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) এর ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ঢাকায় ৭৩ সালে বস্তিবাসী ছিলো ৮ শতাংশ এখন ৪০ শতাংশ হোলি আর্টিজান হামলায় নিহত ভারতীয় নাগরিক: সন্ত্রাসের আতঙ্ক ও ভারতের গণমাধ্যম লন্ডনের ‘এভিটা’-তে ব্যালকনি ছেড়ে জনতার গানে ডুবে গেলেন র‌্যাচেল জেগলার সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে অর্ধশতাধিক সাংবাদিকের যৌথ বিবৃতি মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে কী বলেন তার বংশধররা? জনগণকে বিভক্ত করলেই রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় মব ভায়োলেন্স গত এগার মাসে ৮০ থেকে একশ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি করেছে পর্যটন খাতে

মব ভায়োলেন্স গত এগার মাসে ৮০ থেকে একশ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি করেছে পর্যটন খাতে

ভূমিকা

বাংলাদেশে গত প্রায় এক বছরে ( ১১ মাসে) রাজনৈতিক অস্থিরতা, মব হিংসা (মব ভায়োলেন্স), আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এই প্রেক্ষাপটে একাধিক দেশ তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ সফরে সতর্কতা বা আংশিক ভ্রমণ-নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এমন সতর্ক বার্তা বৈশ্বিক পর্যটকদের মধ্যে ভীতি তৈরি করে, যা দেশের পর্যটন খাতকে সরাসরি আঘাত করে এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে বড় ক্ষতি ডেকে আনে।

আন্তর্জাতিক সতর্কতা ও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি
গত ১১ মাসে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশে নির্দিষ্ট এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে, কোথাও কোথাও ‘ডু নট ট্রাভেল’ (ভ্রমণ বর্জনের) পর্যায়ের সতর্কতা দিয়েছে। এসব সতর্কবার্তার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে—

  • রাজনৈতিক সহিংস বিক্ষোভ
  • আইনশৃঙ্খলাহীন অবস্থা
  • মব ভায়োলেন্স বা জন-আক্রোশের সহিংস ঘটনা
  • বিচ্ছিন্ন বোমা হামলা ও সন্ত্রাসী হামলার শঙ্কা

এই প্রকার আন্তর্জাতিক সতর্কতা কোনো দেশের পর্যটন শিল্পে সবচেয়ে বড় নেতিবাচক বার্তা দেয়। পর্যটকরা ছুটি বা বিশ্রামের জন্য কোনো অস্থির বা অনিশ্চিত গন্তব্য বেছে নিতে চান না। নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কা এবং ছুটির মানসিক চাপ একসঙ্গে যায় না—তাই তারা অন্য, নিরাপদ দেশ বেছে নেন।

মব হিংসা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির বাস্তব চিত্র

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে বারবার খবরের শিরোনাম হয়েছে—

  • শিক্ষকদের উপর মব ভায়োলেন্স
  • স্থানীয় বিরোধে লিঞ্চিং
  • রাজপথে দফায় দফায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ
  • পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের অবিশ্বাস ও ভীতি
  • বিচ্ছিন্ন বোমা হামলার প্রচেষ্টা

এইসব ঘটনা বিদেশি গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে এবং বিদেশি দূতাবাসগুলো পর্যায়ক্রমে আপডেট দিয়ে নিজেদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে। এ অবস্থায় দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নেতিবাচক বার্তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

পর্যটন শিল্পে সরাসরি প্রভাব
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী ২০১৯ সালে দেশে ৩ লাখ ২৩ হাজার বিদেশি পর্যটক এসেছিলেন, যেখান থেকে আনুমানিক ৩০০–৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছিল।
কোভিডের পর ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার শুরু হলেও ২০২৩–২০২৪ অর্থবছরের (গত ১১ মাসের) পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যটন খাতের পরিসংখ্যান (আনুষ্ঠানিক ও অনুমান ভিত্তিক) থেকে দেখা যায়—

  • বিদেশি পর্যটক প্রবাহ প্রায় ৪০–৫০% কমেছে
  • আয়ের ঠিকানা (adventure tourism, cultural tourism, business meetings) সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত
  • আকাশপথে আসা বিদেশি পর্যটক সংখ্যা কমে গেছে
  • আন্তর্জাতিক ট্যুর অপারেটররা বাংলাদেশ প্যাকেজ সরিয়ে নিয়েছে বা বিকল্প গন্তব্য (ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা) প্রমোট করেছে

বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ক্ষতিঃ আনুমানিক হিসাব
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও বেসরকারি খাতের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়—

  • ২০১৯ সালে দেশে বিদেশি পর্যটন আয় ছিল প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন ডলার
  • করোনার পরে আয় কিছুটা উঠে প্রায় ২০০–২২০ মিলিয়ন ডলারে
  • চলতি বছর (শেষ ১১ মাসে) ধারাবাহিক অস্থিরতা ও সতর্কতা জারি হওয়ায় প্রায় ৮০–১০০ মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা আয় হারিয়েছে বাংলাদেশ

এ ক্ষতি শুধু সরাসরি ট্যুরিস্ট স্পেন্ড নয়—হোটেল, রেস্টুরেন্ট, পরিবহন, গাইড, শপিং, বিমান সংস্থা ইত্যাদি সংক্রান্ত পরোক্ষ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ক্ষতিও বিশাল।

অর্থনীতিতে প্রভাব

  • পর্যটন খাতের সাথে ১০–১২ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত
  • বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ কমলে আমদানি ব্যয় মেটানো কঠিন
  • ট্যুরিজম ব্র্যান্ড ক্ষতিগ্রস্ত হলে ভবিষ্যতের বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ
  • সরকারকেও গুরুত্বপূর্ণ রাজস্ব হারাতে হয়

বিকল্প দেশে পর্যটকরা কেন যাচ্ছেন?
বিশ্লেষণ অনুযায়ী, যারা বিদেশি পর্যটক বাংলাদেশে আসার পরিকল্পনা বাতিল করেছেন, তারা মূলত—

  • ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড বা মালয়েশিয়া যাচ্ছেন
  • নিরাপদ গন্তব্যে ভিসা সহজ, প্রচার শক্তিশালী
  • এসব দেশে নিরাপত্তার ভাবমূর্তি তুলনামূলক ভালো

পর্যটকেরা মানসিক শান্তি ও নিরাপত্তা খুঁজে বেড়াতে যান। যেখানে সন্ত্রাস, রাজনৈতিক সহিংসতা ও হিংস্র জনতা শাস্তি দেওয়ার সংস্কৃতি আছে, সেখানে তারা যায় না।

সরকার ও নীতিনির্ধারকদের করণীয়

  • মব ভায়োলেন্স ও আইনশৃঙ্খলাহীনতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ
  • রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ ও স্থিতিশীলতা আনা
  • বিদেশি দূতাবাসের সতর্কবার্তা হালনাগাদ রাখতে কূটনৈতিক উদ্যোগ
  • পর্যটন খাতকে নিরাপদ ও বন্ধুবৎসল দেখানোর পরিকল্পিত প্রচার

বাংলাদেশ পর্যটনের সম্ভাবনাময় দেশ—সুন্দরবন, কক্সবাজার, পাহাড়, ঐতিহ্যবাহী নগর সবই আমাদের রয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে পর্যটক আসবে না। গত ১১ মাসে ৮০–১০০ মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ক্ষতি শুধু সতর্কবার্তার কারণে নয়, অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার প্রতিফলনও। সরকার ও সমাজ—উভয়কেই এ সংকট সমাধানে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে।

সন্ত্রাসবিরোধে দ্বৈত মানদণ্ড নেই: ব্রিকসের দৃঢ় ঘোষণায় পহালগাম হামলার তীব্র নিন্দা

মব ভায়োলেন্স গত এগার মাসে ৮০ থেকে একশ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি করেছে পর্যটন খাতে

০৭:০০:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

ভূমিকা

বাংলাদেশে গত প্রায় এক বছরে ( ১১ মাসে) রাজনৈতিক অস্থিরতা, মব হিংসা (মব ভায়োলেন্স), আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এই প্রেক্ষাপটে একাধিক দেশ তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ সফরে সতর্কতা বা আংশিক ভ্রমণ-নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এমন সতর্ক বার্তা বৈশ্বিক পর্যটকদের মধ্যে ভীতি তৈরি করে, যা দেশের পর্যটন খাতকে সরাসরি আঘাত করে এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে বড় ক্ষতি ডেকে আনে।

আন্তর্জাতিক সতর্কতা ও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি
গত ১১ মাসে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশে নির্দিষ্ট এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে, কোথাও কোথাও ‘ডু নট ট্রাভেল’ (ভ্রমণ বর্জনের) পর্যায়ের সতর্কতা দিয়েছে। এসব সতর্কবার্তার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে—

  • রাজনৈতিক সহিংস বিক্ষোভ
  • আইনশৃঙ্খলাহীন অবস্থা
  • মব ভায়োলেন্স বা জন-আক্রোশের সহিংস ঘটনা
  • বিচ্ছিন্ন বোমা হামলা ও সন্ত্রাসী হামলার শঙ্কা

এই প্রকার আন্তর্জাতিক সতর্কতা কোনো দেশের পর্যটন শিল্পে সবচেয়ে বড় নেতিবাচক বার্তা দেয়। পর্যটকরা ছুটি বা বিশ্রামের জন্য কোনো অস্থির বা অনিশ্চিত গন্তব্য বেছে নিতে চান না। নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কা এবং ছুটির মানসিক চাপ একসঙ্গে যায় না—তাই তারা অন্য, নিরাপদ দেশ বেছে নেন।

মব হিংসা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির বাস্তব চিত্র

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে বারবার খবরের শিরোনাম হয়েছে—

  • শিক্ষকদের উপর মব ভায়োলেন্স
  • স্থানীয় বিরোধে লিঞ্চিং
  • রাজপথে দফায় দফায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ
  • পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের অবিশ্বাস ও ভীতি
  • বিচ্ছিন্ন বোমা হামলার প্রচেষ্টা

এইসব ঘটনা বিদেশি গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে এবং বিদেশি দূতাবাসগুলো পর্যায়ক্রমে আপডেট দিয়ে নিজেদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে। এ অবস্থায় দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নেতিবাচক বার্তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

পর্যটন শিল্পে সরাসরি প্রভাব
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী ২০১৯ সালে দেশে ৩ লাখ ২৩ হাজার বিদেশি পর্যটক এসেছিলেন, যেখান থেকে আনুমানিক ৩০০–৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছিল।
কোভিডের পর ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার শুরু হলেও ২০২৩–২০২৪ অর্থবছরের (গত ১১ মাসের) পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যটন খাতের পরিসংখ্যান (আনুষ্ঠানিক ও অনুমান ভিত্তিক) থেকে দেখা যায়—

  • বিদেশি পর্যটক প্রবাহ প্রায় ৪০–৫০% কমেছে
  • আয়ের ঠিকানা (adventure tourism, cultural tourism, business meetings) সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত
  • আকাশপথে আসা বিদেশি পর্যটক সংখ্যা কমে গেছে
  • আন্তর্জাতিক ট্যুর অপারেটররা বাংলাদেশ প্যাকেজ সরিয়ে নিয়েছে বা বিকল্প গন্তব্য (ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা) প্রমোট করেছে

বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ক্ষতিঃ আনুমানিক হিসাব
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও বেসরকারি খাতের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়—

  • ২০১৯ সালে দেশে বিদেশি পর্যটন আয় ছিল প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন ডলার
  • করোনার পরে আয় কিছুটা উঠে প্রায় ২০০–২২০ মিলিয়ন ডলারে
  • চলতি বছর (শেষ ১১ মাসে) ধারাবাহিক অস্থিরতা ও সতর্কতা জারি হওয়ায় প্রায় ৮০–১০০ মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা আয় হারিয়েছে বাংলাদেশ

এ ক্ষতি শুধু সরাসরি ট্যুরিস্ট স্পেন্ড নয়—হোটেল, রেস্টুরেন্ট, পরিবহন, গাইড, শপিং, বিমান সংস্থা ইত্যাদি সংক্রান্ত পরোক্ষ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ক্ষতিও বিশাল।

অর্থনীতিতে প্রভাব

  • পর্যটন খাতের সাথে ১০–১২ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত
  • বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ কমলে আমদানি ব্যয় মেটানো কঠিন
  • ট্যুরিজম ব্র্যান্ড ক্ষতিগ্রস্ত হলে ভবিষ্যতের বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ
  • সরকারকেও গুরুত্বপূর্ণ রাজস্ব হারাতে হয়

বিকল্প দেশে পর্যটকরা কেন যাচ্ছেন?
বিশ্লেষণ অনুযায়ী, যারা বিদেশি পর্যটক বাংলাদেশে আসার পরিকল্পনা বাতিল করেছেন, তারা মূলত—

  • ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড বা মালয়েশিয়া যাচ্ছেন
  • নিরাপদ গন্তব্যে ভিসা সহজ, প্রচার শক্তিশালী
  • এসব দেশে নিরাপত্তার ভাবমূর্তি তুলনামূলক ভালো

পর্যটকেরা মানসিক শান্তি ও নিরাপত্তা খুঁজে বেড়াতে যান। যেখানে সন্ত্রাস, রাজনৈতিক সহিংসতা ও হিংস্র জনতা শাস্তি দেওয়ার সংস্কৃতি আছে, সেখানে তারা যায় না।

সরকার ও নীতিনির্ধারকদের করণীয়

  • মব ভায়োলেন্স ও আইনশৃঙ্খলাহীনতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ
  • রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ ও স্থিতিশীলতা আনা
  • বিদেশি দূতাবাসের সতর্কবার্তা হালনাগাদ রাখতে কূটনৈতিক উদ্যোগ
  • পর্যটন খাতকে নিরাপদ ও বন্ধুবৎসল দেখানোর পরিকল্পিত প্রচার

বাংলাদেশ পর্যটনের সম্ভাবনাময় দেশ—সুন্দরবন, কক্সবাজার, পাহাড়, ঐতিহ্যবাহী নগর সবই আমাদের রয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে পর্যটক আসবে না। গত ১১ মাসে ৮০–১০০ মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ক্ষতি শুধু সতর্কবার্তার কারণে নয়, অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার প্রতিফলনও। সরকার ও সমাজ—উভয়কেই এ সংকট সমাধানে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে।