অচল সিকি
‘তুমি তো কম ছ্যাবলা নও!’
‘ছ্যাবলামির কি দেখলে এতে। অল্প-স্বল্প একটু মেদের টাচ থাকলে মন্দ হয় না, গাবুস-গুবুস ধরনের জব্বোর মুটকি কারই বা পছন্দের!’
‘আমি কি তাই?’ চোখ পাকিয়ে জেবুন্নেসা বললে, ‘আমি মুটকি?’
‘হতে কতক্ষণ?
‘তুমি একটা আস্ত ভ্যাদামাছ!’
‘তুমি এঁটেকচু!’
‘তুমি রাঙামুলো!’
‘তুমি চিটেগুড়!’
‘তুমি পিঁপড়ে!’
‘তুমি তাড়কারাক্ষসী-‘
এনামুলের হাত কামড়ে দিলো জেবুন্নেসা। বললে, ‘কেমন?’
‘উপযুক্ত!’
‘তবু যদি নিজের মাস্টারির টাকা সবটুকু সংসারের পেছনে না ঢালতাম।
তোমার মতো মুরোদের মানুষ গাঁ-গেরামের কুমড়ো ক্ষেতে কতো কাত হয়ে পড়ে আছে, দেখোগে-‘
‘আমার মতো মাসে দেড়শো টাকার সিগ্রেটখানেওলা একটাও দেখাতে পারবে?’
‘ইশ। ভারি গর্বের কথা আর কি! যার নেই উত্তরপূর্ব, তার মনে সদাই সুখ। তোমার চেয়ে যেকোনো সাধারণ পানবিড়িওলা বেশি রোজগার করে তা মনে রেখো। নেশাখুরির কথা শুনলে পিত্তি জ্বলে যায়।’
‘আহা আমি তো আর অস্বীকার করছি না। তোমার জন্যে আমার পানবিড়িওলা হয়ে জন্মানোই উচিত ছিলো।’